একদিবসীয় ম্যারাথন

সাদা বলের ক্রিকেটে বল খেলার পাশাপাশি রানের চাকা সচল রাখাও যে ভীষণ জরুরি। একজন ব্যাটসম্যান অনেকগুলো বল খেললেন, কিন্তু রান যদি খুব বেশি না করেন তাতে বরং দলের ক্ষতিই হয়। ফলে রঙিন পোশাকে বড় ইনিংস খেলার পাশাপাশি স্কোর বোর্ডের দিকেও নজর দিতে হয়।

একটা ওয়ানডে ম্যাচে একজন ব্যাটসম্যান সর্বোচ্চ কতগুলো বল খেলতে পারেন?

সাদা বলের ক্রিকেটে বল খেলার পাশাপাশি রানের চাকা সচল রাখাও যে ভীষণ জরুরি। একজন ব্যাটসম্যান অনেকগুলো বল খেললেন, কিন্তু রান যদি খুব বেশি না করেন তাতে বরং দলের ক্ষতিই হয়। ফলে রঙিন পোশাকে বড় ইনিংস খেলার পাশাপাশি স্কোর বোর্ডের দিকেও নজর দিতে হয়।

তাই হয়তো কখনো কখনো দেখা যায় একজন ব্যাটসম্যান অনেকটা ঝুকি নিয়েই বড় শট খেলার চেষ্টা করেন। কখনো সফল হন কখনো আবার আউট হয়ে ফিরে যান। কিন্তু তাতে সেই ব্যাটসম্যানকে একটুও দোষ দেয়া যায় না। কেননা এখানে বল ও রান দুটোই জরুরি। এই তালিকায় আমরা দেখব একটি ওয়ানডে ম্যাচে সর্বোচ্চ বল খেলা ব্যাটসম্যানদের।

  • জাভেদ মিয়াঁদাদ (পাকিস্তান)

জাভেদ মিয়াদাদ মূলত তাঁর আক্রমণাত্মক ব্যাটিং এর জন্যই পরিচিত। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান ১৯৮৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন। পার্থে সেই ম্যাচে তিনি একাই খেলেছিলেন ১৬৩ টি বল। সেই ম্যাচে ক্যারিবীয় বোলিং তোপে মাত্র ৫৯ রানেই প্রথম ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ফলে মিয়াঁদাদের লক্ষ্য ছিল যেভাবেই হোক পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করা। তাই তাঁর খেলা ১৬৩ বল থেকে করেছিলেন মাত্র ৬৩ রান। তাঁর ইনিংসে ভর করে ৫০ ওভারে ১৪০ রান বোর্ডে জমা করেছিল পাকিস্তান। যদিও সেই ম্যাচটাইয় পরে উইন্ডিজরা খুব সহজেই জয় পায়।

  • ডেভিড বুন (অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ওপেনারও আছেন আমাদের এই তালিকায়। ১৯৮৭ বিশ্বকাপ ফাইনালের ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান। ১৯৯১ সালে ভারতের বিপক্ষে এক ওয়ানডে ম্যাচে একাই ১৬৮ বল খেলেন ডেভিড বুন। আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১৭৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। বুন তাঁর ১৬৮ বলের ইনিংস থেকে করেছিলেন ১০২ রান। তাঁর অপরাজিত এই ইনিংসে সহজ জয়ই পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।

  • জেনম্যান মালান (দক্ষিণ আফ্রিকা)

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথমটায় কোনো ফল আসেনি। দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ফলে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ শক্ত জবাবই দেয়ার কথা ছিল প্রোটিয়াদের। সেই দায়িত্বটাই তুলে নিয়েল ২৫ বছর বয়সী জেনম্যান মালান। ডাবলিনে ১৬৯ বলে খেলেন ১৭৭ রানের বিশাল এক ইনিংস। মালানের এই ইনিংসে ছিল ১৬ টি চার ও ৬ টি ছয়। তাঁর এই ইনিংসে ভর করে ৩৪৬ রানের বিশাল সংগ্রহ করে জেনম্যান মালান।

  • আশিষ বাগাই (কানাডা)

আশিষ বাগাই কানাডার একজন ব্যাটসম্যান। ২০০৭ সালে ওয়নাডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বলের ইনিংস খেলেন তিনি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তাঁর সেই ইনিংসে তিনি খেলেছিলেন মোট ১৭২ বল। সেখানে তাঁর ঝুলিতে এসেছিল ১৩৭ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। এটিই ছিল তাঁর ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। যদিও সেই ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে মাত্র ৭ রানে হেরে যায় কানাডা।

  • রোহিত শর্মা (ভারত)

সাদা বলের ক্রিকেটে এই সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর ক্রিকেটারদের একজন রোহিত শর্মা। ওয়ানডে ক্রিকেটে বল ও রান দুইদিক থেকেই সবচেয়ে বড় ইনিংসের মালিক রোহিত শর্মা। ভারতের এই ওপেনার ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাঁর ঐতিহাসিক সেই ইনিংসটি খেলেছিলেন। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে সেদিন রীতিমত ঝড় তুলেছিলেন তিনি। ১৭৩ বলে খেলেছিলেন ২৬৪ রানের সুবিশাল এক ইনিংস। ১৫২.৬০ স্ট্রাইকরেটের সেই ইনিংসে ছিল ৩৩ টি চার ও ৯ টি ছয়।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...