‘সে ভয়ঙ্কর বোলার’
পাকিস্তানকে বলা হয় পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য। ক্রিকেটের শুরু থেকেই ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতারদের মতো পেসার উঠে আসছে পাকিস্তানের মাটি থেকে। হালের শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ কিংবা মোহাম্মদ হাসনাইনরাও বা কম কিসে। পাকিস্তানে পেস বোলারদের এতই প্রাচুর্যতা যে মোহাম্মদ আমিরের মতো পেসারকে তারা দল থেকে ছেঁটে ফেলতে পারে নির্দ্বিধায়।
পাকিস্তানকে বলা হয় পেস বোলারদের স্বর্গরাজ্য। ক্রিকেটের শুরু থেকেই ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস, শোয়েব আখতারদের মতো পেসার উঠে আসছে পাকিস্তানের মাটি থেকে। হালের শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ কিংবা মোহাম্মদ হাসনাইনরাও বা কম কিসে। পাকিস্তানের পেস বোলারদের এতই প্রাচুর্যতা যে মোহাম্মদ আমিরের মতো পেসারকে তাঁরা দল থেকে ছেঁটে ফেলতে পারে নির্দ্বিধায়।
এবারের ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে পাকিস্তানের পেস বোলিং লাইনআপের নেতৃত্বে আছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। হাঁটুর ইনজুরির কারণে গত জুলাই এর পর মাঠের বাইরে তিনি। বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে কোনো প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না খেলা বাম হাতি এই পেসার বিশ্বকাপের আগে ওয়ার্মআপ ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরলেন তিনি। ফিরেই আবারো ক্রিকেট বিশ্বকে মুগ্ধ করেছেন এই পেসার।
সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার টম মুডি শাহীন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে বলেন , ‘নতুন বলে সে ভয়ঙ্কর এক বোলার। তাঁর আত্মবিশ্বাস ও বোলিং দক্ষতা এককথায় অনন্য। রহমানউল্লাহ গুরবাজকে সে যে বলে আউট করলো তা কোনো ব্যাটারের পক্ষে খেলা অসম্ভবই বটে।’
তিন মাস পর ইনজুরি থেকে মাঠে ফিরেই শাহীন শাহ আফ্রিদি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ার্মআপ ম্যাচে দুই ওভারে ৭ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি। কিন্তু পরেই ম্যাচেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। বিশ্বকাপের ঠিক আগে নিজেদের সেরা বোলারের এমন পারফরম্যান্স নিশ্চয়ই আশাবাদী করবে পাকিস্তানি সমর্থকদের।
পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণকে অনেকটা শক্তিশালী করে তুললেন স্বরুপে ফেরা শাহীন শাহ আফ্রিদি। তিনি ফর্মে থাকা মানেই পাকিস্তানে পরিকল্পনার সকল ছক বাস্তবায়িত হওয়া। পাকিস্তান ক্রিকেটের উপরের থেকে সকল শঙ্কা উবে যাওয়া এখন কেবল সময়ের ব্যাপার।