বিতর্ক এড়িয়ে সেরা সাকিব

সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পেয়েছেন তিনি অন্যদিকে, তাঁর নিকটতম প্রার্থী অ্যাডভোকেটর রেজাউল হাসান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৩৩ ভোট। 

সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করেছেন সাকিব আল হাসান। জনসভায় থাপ্পড় দেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনা যেন ভোটের ময়দানে পাত্তাই পেল না।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাগুরা- ১ আসনে নির্বাচন করে বিশাল ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট পড়েছে নৌকা মার্কায়, অন্যদিকে তাঁর নিকটতম প্রার্থী অ্যাডভোকেটর রেজাউল হাসান পেয়েছেন ৪৫ হাজার ৯৩৩ ভোট।

তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক সাকিব, এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার জন্য তিন আসন থেকে মনোনয়ন পত্র কিনেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নিজের এলাকা মাগুরা থেকেই নির্বাচন করার সুযোগ পান; তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে তখন থেকেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিল প্রায় সবাই।

তবু প্রচার প্রচারণায় কার্পণ্য করেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ছুটে বেড়িয়েছেন মাগুরার অলিতে গলিতে, দেখা করেছেন ছোট বড় সবার সাথে। তাঁদের সাথে কুশল বিনিময় করেছেন, ভোট চেয়েছেন তিনি। মাগুরাবাসীও নিজেদের আরাধ্য মানুষকে হাতের কাছে পেয়ে টেনে নিয়েছে বুকে, নির্বাচনের ফলাফলেও সেই ভালবাসার প্রতিফলন ঘটেছে।

এর আগে এই আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন সাইফুল্লাহ শিখর। কিন্তু দল থেকে সাকিবকে নমিনেশন দেয়ায় এবার আর নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি বরং দলীয় সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে ‘নৌকা’কে সমর্থন দিয়েছেন। সেজন্য এই তারকাকে তেমন বড় কোন বাধার মুখেই পড়তে হয়নি – দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকেই বেছে নিয়েছে তাঁকে।

এখন অবশ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে এই বাঁ-হাতিকে। ক্রিকেট ও রাজনীতি সমান্তরালে চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে, দুই জায়গাতেই নিজের সেরাটা দিতে হবে।

ব্যাটে-বলে তো অনেক আগ থেকেই ক্রিকেটপ্রেমীদের ভরসার প্রতিদান দিয়ে আসছেন তিনি, এখন থেকে সেটা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি মাগুরাবাসীর ভালবাসার প্রতিদানও দিতে হবে – কাজ করতে হবে দেশ ও সমাজের উন্নয়নে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...