শেষ ম্যাচে বিশ্রামে সাকিবরা

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থাকতে পারেন সাকিব আল হাসান। মূলত আঙুলের পুরোনো ব্যথা ফিরে আসায় বিশ্রামে থাকবেন এই অলরাউন্ডার। সাকিবের সাথে শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থাকতে পারেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থাকতে পারেন সাকিব আল হাসান। মূলত আঙুলের পুরোনো ব্যথা ফিরে আসায় বিশ্রামে থাকবেন এই অলরাউন্ডার। সাকিবের সাথে শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থাকতে পারেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান ও নাসুম আহমেদ।

বিষয়টি খেলা ৭১ – কে নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘনিষ্ঠ এক সূত্র। শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থাকলে আপাতত লাসিথ মালিঙ্গাকে ছোঁয়া বা ছাড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে না সাকিবের। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হতে সাকিবের প্রয়োজন ছিল শেষ ম্যাচে দুটি উইকেট।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মালিঙ্গার উইকেট ১০৭ টি। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা সাকিবের উইকেট ১০৬ টি। শেষ ম্যাচে বিশ্রামে থাকলে আরো একটি রেকর্ডের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে সাকিবকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ হাজার রানের সাথে ৬০০ উইকেট নেই আর কোন ক্রিকেটারের। সাকিবের ১২ হাজার রান আগেই হয়ে গেছে। ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে প্রয়োজন ছিল দুটি উইকেট।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে মালিঙ্গাকে পিছনে ফেলতে ও ৬০০ উইকেট স্পর্শ করতে সাকিবের প্রয়োজন ছিলো ছয়টি উইকেট। সিরিজ শুরুর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের উইকেট ছিল ৫৯৪ টি এবং টি-টোয়েন্টিতে উইকেট ছিল ১০২ টি।

প্রথম দুই ম্যাচে সাকিব শিকার করেছিলেন দুটি করে উইকেট। রেকর্ড গড়তে সাকিবের প্রয়োজন ছিল শেষ তিন ম্যাচে দুটি উইকেট। তবে সিরিজের তৃতীয় ও চতুর্থ ম্যাচে সাকিব উইকেট শূন্য থাকাতে রেকর্ড গড়তে তাকে এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত।

ওয়ানডে ও টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আরেক শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরণ। টেস্টে এই স্পিনারের শিকার ৮০০ উইকেট এবং ওয়ানডেতে ৫৩৪ উইকেট। আর দুই উইকেট শিকার করলেই তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় মুরালিধরণের সাথে সাকিবের নামটাও উচ্চারিত হবে।

দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে ৮৮ ম্যাচে ৬.৭৭ ইকোনোমিতে ২০.৬৮ গড়ে ১০৬ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। আর ৮হ ম্যাচে ১৭৬৩ রান এসেছে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে। টেস্টে ৫৮ ম্যাচে সাকিব শিকার করেছেন ২১৫ উইকেট। এই ফরম্যাটে ৫৮ ম্যাচে ৩৯.৩৩ গড়ে সাকিব করেছেন ৩৯৩৩ রান। আর ওয়ানডেতে ২১৫ ম্যাচে সাকিবের শিকার ২৭৭ উইকেট। ব্যাট হাতে ওয়ানডেতে করেছেন ৩৭.৭১ গড়ে ও ৮২.১৪ স্টাইকরেটে ৬৬০০ রান।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মালিঙ্গার ও সাকিবের পর উইকেট শিকারির তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার টিম সাউদি। তাঁর শিকার ৮৩ ম্যাচে ৯৯ উইকেট। আর ৯৯ ম্যাচে ৯৮ উইকেট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি এবং ৯৫ উইকেট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের রশিদ খান।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...