বিশ্বকাপে বিদায়ের বিউগল!

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ আসরটি হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপের পর কিছু ক্রিকেটার দাঁড়ি বসাতে পারেন তাঁদের ক্যারিয়ারে।

বিশ্বকাপ খেলাটা সব ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে। একজন ক্রিকেটার একদম ছোট বয়সে অ্যাকাডেমিতে যাওয়ার দিনগুলি থেকে স্বপ্ন বুনতে থাকে একদিন বিশ্বকাপ খেলার। আর হালের নতুন আকর্ষণ হল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ আসরটি হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালে। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে সেই বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে ২০২১ সালে। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই বিশ্বকাপের পর কিছু ক্রিকেটার দাঁড়ি বসাতে পারেন তাঁদের ক্যারিয়ারে।

সেরকম ছয় জন ক্রিকেটার নিয়েই আজকের গল্পটা!

  • ডেল স্টেইন

দক্ষিণ আফ্রিকান এই পেসারকে সমর্থকেরা আদর করে ডাকেন ‘স্টেইন-গান’। তবে এই স্টেইন গানের ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় সময়টা ভাল যাচ্ছেনা। ইতোমধ্যেই ২০২১ সালের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকান স্কোয়াডেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০২১ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করছেন তিনি, এ টুর্নামেন্টের পরই ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন এই কিংবদন্তি।

  • লাসিথ মালিঙ্গা

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্রিস গেইল যদি হন ব্যাটিংয়ের পোস্টার বয়, বোলিংয়ে সে দায়িত্ব লাসিথ মালিঙ্গার। টি-টোয়েন্টি’র শুরু থেকে এই ফরম্যাটে বোলিংয়ের পাইওনিয়ার তিনি। এ ফরম্যাটে তাঁর উইকেটও ৪০০ ছুঁইছুঁই (৩৯০)। তবে শ্রীলঙ্কান এই কিংবদন্তির সময়টা গত কয়েক বছর ধরেই ভাল যাচ্ছে না।

এমনও শোনা যাচ্ছে, যেকোন সময় বুটজোড়া তুলে রাখতে পারেন তিনি। তবে, সবচেয়ে বেশি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে – টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরটি খেলেই ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেবেন এই লঙ্কান মায়েস্ত্রো।

  • ইমরান তাহির

বয়সটা হয়ে গেছে চল্লিশ ছুঁইছুঁই। এখনও খেলে যাচ্ছেন ফ্রাঞ্চাইজি বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি তে। তবে, দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এখন ঠিক অপরিহার্য সদস্য নন ইমরান তাহির। এদিকে বয়সও হয়ে যাচ্ছে খুব বেশি।

তাই ২০২১ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা যদি তাহিরকে দলে নেয়, তবে এটাই হতে পারে তাহিরের শেষ কোন টুর্নামেন্ট। এরপরই খুব সম্ভবত বিদায় বলে দেবেন এই পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার।

  • মোহাম্মদ হাফিজ

মোহাম্মদ হাফিজের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকেই। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদও পড়েছিলেন তিনি। তবে সেসময়ই নিজেকে আমূল বদলে ফেলেন হাফিজ। টাইমিং আর স্কিল হিটিংয়ে উন্নতির জোরে এখন তিনি টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের অপরিহার্য খেলোয়াড়।

সামনের বিশ্বকাপেও তাঁর দলে থাকা এক প্রকার নিশ্চিত। তবে , এরপর তো বয়স আর বাঁধ মানে না। তাই খুব সম্ভবত এই চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই ব্যাট প্যাড তুলে রাখবেন তিনি।

  • শোয়েব মালিক

মোহাম্মদ হাফিজের মত পাকিস্তান ক্রিকেটের আরেক ‘সিনিয়র সিটিজেন’ শোয়েব মালিক। এই মুহুর্তে শুধু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটেই খেলছেন তিনি। শোয়েব মালিকের ক্যারিয়ারের স্বপ্ন বিশ্বকাপ জেতা। এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই আরেকবার সেই স্বপ্নের সন্ধানে নামতে পারেন তিনি।

তবে এরপর আর না, ২০২১ এর আসরটা খেলেই তিনি তাঁর ক্যারিয়ারের ইতি টেনে দেবেন বলে গুঞ্জন, আর পাওয়া যাবেনা পাকিস্তানী এই অলরাউন্ডারকে।

  • রস টেইলর

রস টেইলর সব সময়ই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আড়ালের পারফর্মার। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি ধারাবাহিক পারফর্ম করে গেলেও  খুব কম সময়ই নিজেকে তিনি পাদপ্রদীপের আলোর নিচে খুঁজে পেয়েছেন। তবে, নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট সবসময়ই রস টেইলরের গুরুত্ব নিয়ে সজাগ থেকেছে। তাই তো, বড় কোন টুর্নামেন্টের দল তাঁরা সাজায় রস টেইলরকে কেন্দ্র করেই। তবে সেই পরিকল্পনাতে টেইলর সম্ভবত শেষবারের মত থাকবেন ২০২১ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এরপর হয়তো আর ব্যাট হাতে নামতে দেখা যাবেনা তাকে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...