এই আগ্রাসী ডি ককের ছিল অপেক্ষা

টি-টোয়েন্টি যে তাঁর প্রিয় ফরম্যাট- তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্বেই প্রমাণ দিলেন আরও একটিবার। নিজের চিরচেনা আগ্রাসী রুপে আবির্ভূত হলেন কুইন্টন ডি কক। তেড়েফুড়ে ব্যাট চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোবল করলেন চুরমার।

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে অবশ্য সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি তাঁকে। কিন্তু তাতে কি? সুপার এইটের পর্বে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে খেলে ফেললেন ৭৪ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস। পুরো ইনিংসের ছিল এক অদৃশ্য আত্মবিশ্বাসের ছাপ।

ইনিংসের শুরুর দিকেই রিজা হেন্ডরিক্স প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেও, ২২ গজে সেই শূন্যতা অনুভূত হতে দেননি ডি কক। তাকে সঙ্গ দেন দলপতি এইডেন মার্করাম। এদিন অ্যান্টিগার বাতাস যেন ডি ককের পক্ষেই ছিল। একের পর এক নান্দনিক শটে রানের চাকা সচল রাখতে থাকেন। জাসদীপ সিংয়ের এক ওভার থেকেই এই দুই প্রোটিয়া মিলে তুলে নেন ২৮ রান।

৩১ বছর বয়সী এই বাহাতি ব্যাটারের শেষ দশ ম্যাচের পরিসংখ্যান তাঁর পক্ষ নেয় না। সেখানে নেই আহামরি কোনো পারফরমেন্স। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এ যেন ভিন্ন এক ডি কক। ৭ টি চার এবং ৫ টি চোখ ধাঁধানো ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর এই ইনিংস।

যেখানে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৫’র ঘরে। তবে হারমিত সিংয়ের বলে শায়ান জাহাঙ্গীরের তালু বন্দি হয় শূন্যে ভাসিয়ে দেয়া তাঁর ক্যাচ। অপ্রত্যাশিত ইতি ঘটে তাঁর বিধ্বংসী ইনিংসের।

বিশ্বকাপের আগামী ম্যাচগুলোতে প্রতিপক্ষের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারেন এই বাঁহাতি; সেই আভাসই তিনি দিয়ে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। এই ইনিংসেই তাঁর ব্যাটই যেন জানান দিচ্ছিল ডি কক ফিরেছেন সেই চিরচেনা রূপে। মারকুটে ব্যাটিংয়ের সাথে নান্দনিকতার দারুণ মিশ্রণ ঘটিয়ে হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন প্রোটিয়া উইকেট রক্ষক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link