ব্যাটারদের রান উৎসবের ম্যাচে কোন বোলার রাজ করবেন সেটা বোধহয় ভাবতে পারেনি কেউই। কিন্তু কেউ যা ভাবেনি সেটাই করেছেন আর্শদীপ সিং, ব্যাটিং স্বর্গে দাঁড়িয়ে ব্যাটারদের নিয়ে মেতেছিলেন ছেলেখেলায়। ভারতের রান পাহাড়ের বিপরীতে দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াইয়ের আশা শুরুতেই শেষ করে দিয়েছেন তিনি।
অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব বরাবরের মতই ইনিংসের শুরুটা করেছিলেন এই বাঁ-হাতিকে দিয়ে। নতুন বল হাতে পেয়ে পুরোপুরি জাদুকর বনে গিয়েছিলেন তিনি, চোখের ইশারায় নাচিয়ে ছেড়েছেন রিজা হেন্ড্রিকসকে। প্রথমে আউটসুইংয়ে পরাস্ত করার পর দ্বিতীয় বলেই দারুণ একটা ইনসুইং ডেলিভারি – সরাসরি বোল্ড প্রোটিয়া ওপেনার।
দ্বিতীয় ওভারে আরো বিধ্বংসী হয়ে উঠেন এই পেসার, এক ওভারের ব্যবধানে স্বাগতিক টপ অর্ডার ধসিয়ে দেন। এইডেন মার্করামের কাছে চার হজমের পরের বলেই তিনি আউটসাইড অফ ডেলিভারির ফাঁদে ফেলেন প্রোটিয়া কাপ্তানকে। বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মার্করাম।
তবে হেনরিখ ক্লাসেনের আউট সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার, জয়ের শেষ আশা শেষ হয়ে গিয়েছিল তিনি বিদায় নেয়ার পরই। তাঁর আসলে কিছু করার ছিল না, আর্শদীপের ইনসুইং ঠেকাবে এমন সাধ্য আছে ক’জনের।
অবশ্য নতুন বল হাতে আর্শদীপ সত্যিই অপ্রতিরোধ্য; ইনসুইং, আউটসুইং আর বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে যেকোনো দলের টপ অর্ডারকে নাকানিচুবানি খাইয়ে দিতে পারেন তিনি। এদিন প্রথম দুই ওভার শেষে তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ২-০-১০-৩! আগের ইনিংসে যেখানে রান হয়েছে ২৮৩ রান, সেখানে মিনিট দশেক পরেই বল হাতে এমন পারফরম্যান্স – দুর্দান্তই বটে।
এরপর আর দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি, ব্যাটাররা কেউই সে অর্থে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই বিশাল পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেতে হয়েছে তাঁদের। আর ভারতের এ জয়ের পিছনে যতটা অবদান আছে স্যামসন বা তিলক ভার্মার, ততটা অবদান আছে আর্শদীপেরও।