কী অবাক কাণ্ড!

ক্রিকেট এক অনিশ্চয়তায় ভরা বিস্ময়কর খেলা। এই বিস্ময়ে মাত্রা যোগ করে নতুন নতুন সব রেকর্ড গুলো। কিছু কিছু রেকর্ড বছরের পর বছর কেও ছুঁতে পারেনা। আবার প্রতিদিনই তেরি হচ্ছে নতুন সব রেকর্ড। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের এই নাটকীয়তা, এই পারফর্মেন্স, এই রোমাঞ্চ ক্রিকেটকে নিয়ে গিয়েছে আলাদা একটি উচ্চতায়।

ক্রিকেট এক অনিশ্চয়তায় ভরা বিস্ময়কর খেলা। এই বিস্ময়ে মাত্রা যোগ করে নতুন নতুন সব রেকর্ড গুলো। কিছু কিছু রেকর্ড বছরের পর বছর কেও ছুঁতে পারেনা। আবার প্রতিদিনই তেরি হচ্ছে নতুন সব রেকর্ড। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের এই নাটকীয়তা, এই পারফর্মেন্স, এই রোমাঞ্চ ক্রিকেটকে নিয়ে গিয়েছে আলাদা একটি উচ্চতায়।

ক্রিকেটে এমন এমন কিছু রেকর্ডও হয় যেগুলো প্রায় অবিশ্বাস্য,যা অবাক করে গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে। আজ আমরা বলবো এমনই কিছু অবাক করা সব রেকর্ডের গল্প।

  • টেস্ট ক্রিকেটে এক ওভারে সর্বাধিক রান

অ্যাশেজের একটি টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডের পেসার জেমস অ্যান্ডারসন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ওভারে সর্বোচ্চ রান দেন। এন্ডারসনের ওই ওভারে অজি ব্যাটসম্যান জর্জ বেলি ২৮ রান নেন।

  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক ডাক

শ্রীলংকার কিংবদন্তি স্পিনার মুত্তিয়া মুলালিধরণ এই রেকর্ডের মালিক। টেস্ট ক্রিকেটে ৮০০ উইকেট নেয়া এই স্পিনারের রয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বাধিক ডাক। তাঁর ক্যারিয়ারে তিনি মোট ৫৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছেন।

  • এক ওভারে সর্বাধিক ডেলিভারি

২০০৪ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের পেসার মোহম্মদ সামি তাঁর এক ওভার শেষ করতে মোট ১৭ টি বল করেছিলেন। ওই ওভারে তিনি ৭টি ওয়াইড ও ৪টি নো-বল দিয়েছিলেন।

  • কোনো বল না করেই সর্বাধিক রান

২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই কাণ্ড করেন পাকিস্তানের স্পিনার আব্দুর রেহমান। কোনো লিগাল ডেলিভারি ছাড়াই তিনি দিয়েছিলেন ৮ রান। ওই ওভারে তিনি পরপর তিনটি ফুল টস ডেলিভারি করেন এবং আম্পায়ার তাঁর ওভার বাতিল করেন। সেই ম্যাচে তাঁর বোলিং ফিগার ছিল ০-০-৮-০।

  • কোনো রান ছাড়াই নাই চার উইকেট

১৯৫২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শূন্য রানেই চার উইকেট হারায় ভারত। এটাই টেস্ট ক্রিকেটে কোনো ব্যাটিং দলের জন্য সবচেয়ে বাজে শুরু।

  • রান ছাড়া খেলেছেন সর্বোচ্চ বল

১৯৯৯ সালে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জিওফ অ্যালট ৭৭ বল খেলার পর শূন্য রানে আউট হন। এটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ।

  • সর্বোচ্চ বলে হাফ সেঞ্চুরি

১৯৫৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এক টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান ট্রেভর বেলি এই কীর্তি করেন। হাফ সেঞ্চুরি করার জন্য তিনি মোট ৩৫০ বল খেলেন।

  • ডাকবিহীন সফর

ইন্ডিয়ার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান রাহুল দ্রাবিড় কোনো ডাক ছাড়াই খেলেন সর্বাধিক ইনিংস। রাহুল দ্রাবিড় টানা ১৭৩ ইনিংস কোনো ডাক মারেননি।

  • উইকেটরক্ষকদের বোলিং

২০১৩ সালে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার একটি টেস্ট ম্যাচে দুই দলের কিপারই বোলিং করেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স দুই উইকেটরক্ষক বল তুলে নেন সেই ম্যাচে।

  • এক ইনিংসে সর্বাধিক অতিরিক্ত রান

২০০৭ সালে পাকিস্তান এক ইনিংসে ৭৬ রান দিয়েছিল অতিরিক্ত খাতে। এটি ছিল ভারতের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ।

  • প্রতি সেশনে শত রান

অবিশ্বাস্য এই রেকর্ডটি করেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান। ১৯৩০ সালে এক টেস্ট ম্যাচে তিনি একদিনেই করেন ৩০৯ রান। দিনের প্রতিটা সেশনেই তিনি শত রান করেন।

  • ক্ষুদ্রতম টেস্ট ম্যাচ

১৯৩২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে এই টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেই ম্যাচটি মাত্র ৬৫৬ বলেই শেষ হয়ে যায়। ম্যাচটি অস্ট্রেলিয়া ৭২ রানে জয় লাভ করে।

  • এক সিরিজে সর্বাধিক ক্রিকেটার

একটি অ্যাশেজ সিরিজে মোট ৩০ জন ক্রিকেটার কে খেলিয়েছিল ইংল্যান্ড। ১৯২১ সালে ৫ ম্যাচের সেই টেস্ট সিরিজটি অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বাধিক ধারাবাহিক মেইডেন

১৯৬৪ সালে ভারতীয় স্পিনার বাপু নাদকার্নি এই রেকর্ডটি করেন। সেই ম্যাচে তিনি টানা ২১ ওভার মেইডেন করেন এই স্পিনার। ওই ইনিংসে তিনি ৩২ ওভার করে দিয়েছিলেন মাত্র ৫ রান।

  • ‘বুড়ো’ অভিষেক

ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান জেমস সাউথারটন ৪৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে অভিষিক্ত হন। তিনিই সবচেয়ে বেশী বয়সী ক্রিকেটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...