ব্যস্ত সূচির সামনে মেয়েরা

গত বছর করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায় মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব এবং এশিয়া কাপ। চলতি বছরের জুলাইয়ে বাছাই পর্বের স্থগিত হওয়া ম্যাচ গুলো শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাছাই পর্বের ম্যাচ গুলো নিয়েই পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

করোনা বিপর্যয়ে দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে ছিলো ক্রিকেট।

সব বাঁধা উপেক্ষা করে মুশফিক তামিমরা মাঠে ফিরলেও এখনো মাঠে ফেরার সুযোগ পাননি দেশের নারী ক্রিকেটাররা। এমনকি অনুশীলন করারও সুযোগ মেলেনি তাদের। অবশেষে দেশের নারী ক্রিকেটারদের অপেক্ষার প্রহর খুব দ্রুতই শেষ হচ্ছে। সামনে তাদের জন্য অপেক্ষা করছে ব্যাস্ত সূচি।

বিসিবির উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী বলেছেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে, কেমন সূচী হবে নারী দলের।

গত বছর করোনার কারণে স্থগিত হয়ে যায় মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব এবং এশিয়া কাপ। চলতি বছরের জুলাইয়ে বাছাই পর্বের স্থগিত হওয়া ম্যাচ গুলো শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাছাই পর্বের ম্যাচ গুলো নিয়েই পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে নারী দলের ম্যানেজার নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি এবং কোচ নিয়োগের প্রক্রিয়াও শেষের দিকে। বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব খেলতে যাওয়ার আগে চলতি বছরের মার্চে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ইমার্জিং দলের সাথে সিরিজ খেলবে রুমানা সালমারা।

পরিকল্পনার অংশ এখানেই শেষ নয়। বিসিবির ভাবনা আরো প্রসারিত। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ শেষে জুন মাসে ত্রিদেশী সিরিজ আয়োজন করতে চায় বিসিবি। তবে বিসিবির উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানিয়েছেন সব কিছু নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর।

গতকাল এক ভিডিও বার্তায় নাদেল বলেন, ‘সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা ইমার্জিং দল আসবে। জুন মাসে একটা ত্রিদেশীয় সিরিজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। সবকিছু করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। এক বছর খেলাধুলার বাইরে থাকায় আমাদের মেয়েরা শারীরিক ও মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে।’

গত মার্চে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলো জাহানারা সালমারা। করোনা প্রকোপের কারণে এরপর আর মাঠে নামা হয়নি নারী ক্রিকেটারদের। এমন কি এই সময় অনুশীলনেরও সুযোগ হয়নি তাদের। যার কারণে শারীরিক ও মানসিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে নারী ক্রিকেটাররা।

তাদের শারীরিক ও মানষিক ভাবে চাঙ্গা করতে  ৩ জানুয়ারি থেকে সিলেটে শুরু হয়েছে প্রস্তুতি ক্যাম্প। ক্যাম্পে অংশ নিচ্ছে ২৮ জন ক্রিকেটার। ক্যাম্প শেষে ক্রিকেটাররা আগের অবস্থানে ফিরে আসবেন বলে আশাবাদী শফিউল আলম চৌধুরি নাদেল।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘তারা ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে শারীরিক ও মানসিকভাবে কিছুটা আগের জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে। আমরা এখনো সেটিই চেষ্টা করছি, আশা করি এই ক্যাম্পের মাধ্যমে তারা কিছুটা হলেও পূর্বের জায়গায় ফিরে যেতে পারবে।’

ভারতীয় কোচ আঞ্জু জেইন চলে যাওয়ার পর থেকেই শূন্য ছিলো বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের হেড কোচের আসন। আপাদত বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্টের সদস্য ও নারী দলের নির্বাচক মঞ্জুরুল ইসলামের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে ক্যাম্প। তবে খুব দ্রুতই হেড কোচ দলের দায়িত্ব নিবেন বলে জানিয়েছেন নাদেল।

তিনি বলেন, ‘জানুয়ারির শেষ ভাগে হয়তো আমাদের যে কোচের সাথে কথা হয়েছে সে কথা চূড়ান্ত হলে তিনি এই ক্যাম্প চলাকালীন এসেই দলের সাথে যোগ দিবেন। আপাদত মঞ্জুরুল ইসলাম আছে। সে আমাদের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমান নারী দলের নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করছে। গেম ডেভলপমেন্ট বিভাগ থেকে কয়েক জন যোগ দিয়েছে তাদের অধীনে ক্যাম্পটি পরিচালিত হবে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘করোনা পরিস্তিতির জন্য কাজটা বিলম্ব হয়েছে। তবে আমরা যার সাথে কথা বলেছি তিনি বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর একজন কোচ। ইংল্যান্ডের মতো দলের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার সাথে আমাদের  কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে । তিনি হয়তো এ মাসের শেষের দিকেই দলের সাথে যোগ দিবেন।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...