একদিনের রাঙানো অভিষেক

আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক যে কোন ক্রিকেটারের কাছে সবচেয়ে আনন্দের একটি মূর্হত। দেশের হয়ে প্রথম মাঠে নামার দিনটি জীবনের সেরা দিনগুলোর একটি তাতে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু সেই প্রথম ম্যাটটি যদি আবার হয়ে যায় অবিস্মরণীয় কোন পারফরমেন্স দিয়ে তাহলে তো সোনায় সোহাগা।

যেকোনো ক্রিকেটারের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন দেশের হয়ে বা জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা।দেশের জার্সি গায়ে জড়াতে রাতদিন একাকার করে পরিশ্রম করে চলেন একেকজন তরুণ। কারো সেই স্বপ্ন ধরা দেয় হাতের মুঠোয়,কারো বা এই স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।

আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক যে কোন ক্রিকেটারের কাছে সবচেয়ে আনন্দের একটি মূর্হত। দেশের হয়ে প্রথম মাঠে নামার দিনটি জীবনের সেরা দিনগুলোর একটি তাতে কোনো সন্দেহ নেই কিন্তু সেই প্রথম ম্যাটটি যদি আবার হয়ে যায় অবিস্মরণীয় কোন পারফরমেন্স দিয়ে তাহলে তো সোনায় সোহাগা।

অভিষেক ম্যাচে দারুন কিছু করে দেখানোর সৌভাগ্য সবার হয় না। ওয়ানডে ক্রিকেটের ৪৮ বছরের ইতিহাসে ম্যাচ হয়েছে চার হাজারের ও বেশি খেলেছেন অসংখ্য ক্রিকেটার কিন্তু এমন কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছেন হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটার আর তাদের নিয়েই থাকছে আজকে আমাদের এই আয়োজন।

  • রেজা হেনড্রিকস

আফ্রিকান ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান একদিনের আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে নিজের অভিষেক ম্যাচেই সেঞ্চুরী করেন।শ্রীলঙ্কার মাটিতে তাদের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে অভিষেক হয় রেজার। তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ৮৯ বলে ১০২ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন।

  • ইমাম উল হক

পাকিস্তানি কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ইনজামাম উল হকের ভাতিজা হওয়ায় দলে সুযোগ পেয়েছেন কি না এই নিয়ে যখন বির্তক দলছিলো, তখনই ব্যাট হাতে সমালোচনার জবাব দেন তিনি ব্যাট হাতে। ইমাম উল হকের অভিষেক ম্যাচের প্রতিপক্ষ ছিলো শ্রীলঙ্কা ২০১৭ সালে।

  • ডেনিস অ্যামিস

অভিষেক ওয়ানডে তে প্রথম সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এই ক্রিকেটার। একই সাথে সেটি ছিলে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি। আবার ওয়ানডে ইতিহাসেরই দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল সেটা। সেদিন ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয় অ্যামিসের। অস্টেলিয়ার ২২২ রান তাড়া করতে নেমে ১৩৪ বলে ১০৩ রানের একটি ইনিংস খেলেন তিনি।

  • ডেসমন্ড হেইন্স

ডেনিস অ্যামিসের প্রথম অভিষেক সেঞ্চুরির ছয় বছর পর দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসাবে এই কৃতি গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্স।

এই তালিকায় আরো আছেন অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, সেলিম এলাহি, মার্টিন গাপটিল, কলিন ইনগ্রাম ও ভারতের লোকেশ রাহুলের মতো ক্রিকেটাররা। গৌরবজনক এই তালিকায় আছেন ক্রিকেট খেলতে গিয়ে বাউন্সারের আঘাতে জীবন নদীর ওপারে চলে যাওয়া ফিলিপ হিউজও।

অভিষেক ওয়ানডে’তে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আফ্রিকান ব্যাটসম্যানদের (তিনটি)। অভিষেকে সেঞ্চুরিয়ানদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইনিংস ডেনমন্ড হেইন্সের (১৪৮)। সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি করছেন রেজা হেনড্রিকস (৮৯) বলে।

এবার আসা যাক বোলারদের প্রসঙ্গে।

দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার পেসার কাগিসো রাবাদা ওয়ানডে অভিষেকে সেরা বোলিংয়ের রের্কডের মালিক। ২০১৫ সালে জুলাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে অভিষেক হয় তাঁর। প্রথম ম্যাচেই গুড়িয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নেন ছয়টি উইকেট।

রাবাদার আগে এ রের্কডটি ছিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিদেল অ্যাডওয়ার্ডসের এর দখলে। ২০০৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২২ রানে তিনি ও নিয়েছিলেন ছয়টি উইকেট তবে রান কম খরচ করায় রের্কড বুকে রাবাদার নামটিই উপরে থাকবে।

অভিষেক ওয়ানডেতে ৫ উইকেট করে নেওয়ার কৃতিত্ব আছে আরো ১২ জন বোলারের। তাঁদের মধ্যে দুই জন হলেন বাংলাদেশের। তাসকিন আহমেদ (২০১৪) ও মুস্তাফিজুর রহমান (২০১৫) – দু’জনেরই অভিষেক হয়েছে ভারতের বিপক্ষে, এছাড়া তাইজুল ইসলামের অভিষেকে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব আছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। যদিও, তাইজুল কালক্রমে মূলত টেস্ট বোলারই হয়ে উঠেছিলেন। ওয়ানডেতে কখনোই নিয়মিত হননি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...