‘সাকিবের সাথে আমার আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালো’

একটা উত্তাল সময়ে মাশরাফি মুখোমুখি হয়েছিলেন খেলা ৭১-এর। চলমান বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে বলেছেন। সেই সাথে তার নিজের বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা, বোর্ডে আসার সম্ভাবনার মত বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন মাশরাফি। কথা বলেছেন সাকিবের সাথে বোর্ড সভাপতি পদে লড়াই হলে কী হবে, তা নিয়েও।

আরেকবার দেশের প্রধাণ আলোচ্য বিষয় মাশরাফি বিন মুর্তজা। এবার অবশ্য খেলা নয়; কথার কারণে আলোচনায় এই দেশের সফলতম সাবেক অধিনায়ক।

বোর্ডের বিপক্ষে অনেক অভিযোগ গত কিছুদিনে প্রকাশ করেছেন তিনি। নিজের সাথে ও খেলোয়াড়দের সাথে হয়ে যাওয়া অনিয়ম নিয়ে মুখ খুলেছেন। তাকে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন বর্তমান কোচ, নির্বাচক ও বোর্ড পরিচালকদের নিয়ে।

এরকম একটা উত্তাল সময়ে মাশরাফি মুখোমুখি হয়েছিলেন খেলা ৭১-এর।

চলমান বিষয়গুলো ব্যাখ্যা করে বলেছেন। সেই সাথে তার নিজের বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা, বোর্ডে আসার সম্ভাবনার মত বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন মাশরাফি। কথা বলেছেন সাকিবের সাথে বোর্ড সভাপতি পদে লড়াই হলে কী হবে, তা নিয়েও।

বিশ্বকাপ অনেকদিন আগে হয়ে গেলো। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন, তাও বেশ কিছুদিন আগে। এতোদিন পরে এসে এই সময়ে এসব ব্যাপারে কেন কথা বলছেন? কোনো পরিকল্পনা করেছে বলছেন?

না, আসলে এরকম কোনো প্ল্যান ছিল না। ওনারা (সাংবাদিকরা) এসেছিলেন মুজিববর্ষ নিয়ে সাক্ষাৎকার নিতে। ওনারা প্রশ্ন করেছেন, আমি বলে ফেলেছি। প্ল্যান ছিল না। তবে এটাও ঠিক যে, ওনারা আমার ফিটনেস বা অন্যান্য ইস্যু নিয়ে যেসব কথা বলছিলেন, তাতে আমি দেখেছি যে, সত্যিটা আমারও বলা প্রয়োজন। তবে টু বি অনেস্ট, এখনও এসব কথা বলা হতো না, যদি প্রশ্ন না করা হতো। কারণ, বিগত দুই তিন মাসে, আপনি জানেন, আমি কোনো সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাতকার দেইনি। দেওয়ার ইচ্ছাও ছিলো না। কিন্তু ওনারা মুজিববর্ষ আর স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী নিয়ে কথা বলতে বলতে এই প্রশ্ন করে ফেললেন। তাই আমিও বলে ফেলেছি।

এসব কথা কী চলমান খেলোয়াড় হিসেবে আপনার বলা উচিত?

আমি আমার ক্যারিয়ারে কখনো বোর্ডের বিপক্ষে কিছু বলিনি। আমি সবসময় কোড অব কন্টাক্টকে সম্মান দেখিয়েছি। আমি পেশাদারিত্ব দেখিয়েছি। বোর্ড দেখিয়েছে কি না, সে বিচার আপনারা করবেন।

আপনাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দল থেকে বাদ দেওয়ায় কী ক্ষুব্ধ হয়ে এসব বলছেন?

না। বাদ দেওয়ার কারণ যদি পারফরম্যান্স হয়, সেটার সাথে তো আমি দ্বিমত কখনো করিনি। বিশ্বকাপে যে পারফরম্যান্স করেছি, তারপরই বাদ পড়তে পারতাম। তাতে আমার বলার কিছু ছিলো না। সে সময় বোর্ড দুটো কাজই করতে পারতো-আমাকে আস্থায় রাখা, অথবা বাদ দেওয়া। আমি কিছুই মনে করতাম না। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, এর আগের তিনটি ওয়ানডে সিরিজেই সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলাম আমি। একটা বিশ্বকাপ দিয়েই একজন খেলোয়াড়ের মূল্যায়ন করাটা একটু বিস্ময়কর। তারপরও আমি এই বাদ পড়াতে আপত্তি করতাম না। কিন্তু বাদ দেওয়া প্রক্রিয়া এবং তার পরের কথাবার্তা নিয়ে আমার আপত্তি আছে।

নির্বাচকরা বলেছেন, আপনার সাথে কথা বলেই আপনাকে দলের বাইরে রাখা হয়েছে। আর আপনার ফিটনেসের কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও বোর্ডের ভাষ্য।

এই দুটো ব্যাপারেই তো আমার আপত্তি। নান্নু ভাই (প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন) বলেছেন, মাশরাফিকে জানানো হয়েছে। এটা মিথ্যা কথা। আমাকে নান্নু ভাই এসব বলেননি। আমি সুমন ভাইকে বলেছিলাম, ‘এখন আমি এটা নিয়ে কথা বলছি না। কিন্তু মিডিয়া প্রশ্ন করলে, আমি সত্যিটা বলে দেবো।’ সুমন ভাই জিজ্ঞেস করেছিলো, ‘তোকে নান্নু ভাই বলেনি?’ আমি বলেছিলাম, ‘আপনারা একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেন। আপনার এটা ভালো জানার কথা।’ দেখেন, ২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে দল করার জন্য যদি আমাকে বাদ দেওয়া হয়, কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু সেটার একটা প্রক্রিয়া থাকতে হবে তো। সমস্যা হচ্ছে, বলা হলো আমার ফিটনেসে সমস্যা।

আপনি ফিটনেসের আসলে কী অবস্থা?

এটা তো বোর্ডের ভালো জানার কথা। তাঁদের কাছে সব ডাটা আছে। দেখাক যে, আমি কখনো ফিটনেসে ফেল করেছি কি না। এখন যে কোর গ্রুপ আছে, তাঁদের সাথে আমার ফিটনেস টেস্ট নেন। আমি নিশ্চিত, আমার স্কোর ওপরের দিকেই থাকবে; সেটা বিপ টেস্ট হোক, আর ইয়ো ইয়ো টেস্ট। আমার তো এই সময় টেস্টই নেওয়া হল না। বলা হলো, আমি নাকি ফেল করবো। এটা তো আমার জন্য অপমানজনক।

দেখেন, আমরা শুনেছি, বোর্ড আপনাকে মাঠ থেকে বিদায় দিতে চেয়েছিলো। সেই সুযোগ আপনি দেননি।

সুযোগ দেওয়ার জন্য আর কী করতে পারতাম? করোনার জন্য এক বছর খেলা হয়নি। এরপর আমি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টটায় ফিরে ভালো করলাম। এক ম্যাচে ৫ উইকেট নিলাম। আর কী করতে পারতাম!

আপনাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে এরকম একটা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো না?

হ্যাঁ, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের সময় এরকম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। পাপন ভাই আমাকে যথেষ্ট সম্মান দিয়েছিলেন। কিন্তু আমি সেটা পরিকল্পনা হয়ে যাওয়ার পর এবং মিডিয়ায় আসার পর জেনেছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমি বিপিএলটা খেলে একটা সিদ্ধান্ত নেবো এবং পাপন ভাইকে জানাবো। উনি ওটা মেনে নিয়েছিলেন। ফলে আমি আরেকটা প্রস্তাব আশা করেছিলাম।

আপনি সংসদ সদস্য। এই পরিচয়টা কী আপনার বিপক্ষে কাজ করছে ক্রিকেটে?

জানি না। সেটা হলে তো আমার বলার কিছু নেই। তবে এটুকু বলতে পারি যে, ক্রিকেট মাঠে আমার একমাত্র পরিচয়, আমি ক্রিকেটার। আমি এখানে আর কোনো পরিচয় নিয়ে খেলতে আসি না।

বোর্ড থেকে ক্রিকেটারদের ব্যাপারে অনেক তথ্য আমরা পেয়ে যাচ্ছি। আপনি এটা নিয়েও বলেছেন যে, এটা পেশাদারিত্বের কাজ নয়।

আপনি বলেন, এটা পেশাদার কাজ? আপনাদের জন্য ভালো যে, আপনারা খবর পেয়ে যাচ্ছেন। আমি তো বলবো, এসব করে মিডিয়াকে ক্রিকেটারদের বিপক্ষে ব্যবহার করা হয়।

একটু পরিস্কার করে বলবেন?

এটা আমি বলতে চাইনি। কিন্তু এই দফা বেশ কয়েকবার বলে ফেলেছি। আমি যখন বিশ্বকাপে খারাপ করছি, তখন কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বকাপ দেখতে ইংল্যান্ডে থাকা দু জন বোর্ড ডিরেক্টর দেশে কিছু টিভি চ্যানেলে ফোন দিয়ে বলেছেন, ‘এটা একটা সুযোগ। এখন মাশরাফিকে কালার করে ফেলো।’ আমার ক্ষেত্রেই যদি এরকম ঘটনা ঘটতে পারে, অন্য ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে কী ঘটতে পারে, ভাবেন।

আপনার নামেও অভিযোগ আছে যে, আপনি নির্দিষ্ট কিছু মিডিয়ায় দলের ভেতরের খবর ফাঁস করে দেন?

হ্যা, এই অভিযোগ জানি। সাইফউদ্দিনের পিঠে চোটের কারণে না খেলা নিয়ে একটা পত্রিকায় লেখা হলো, ভয়ের কারণে খেলেননি সাইফউদ্দিন। বলা হলো, আমি এটা বলেছি। সাইফউদ্দিন আমাকে এটা এসে বলার পর আমি লাউড স্পিকারে ওকে সেই সাংবাদিকের কথা শুনেছিলাম। সাংবাদিক বলেছিলেন, এক নির্বাচক এটা বলেছেন। এখন বলেন, কে খবর ফাঁস করে? ভালো কথা কখনো আসে না। ওই বিশ্বকাপে বসেই সাংবাদিকদের সামনে বলেছিলাম, সাকিব ক্যাপ্টেন থাকলে এই দলটা সেমিফাইনাল খেলতো। এটা তো কোথাও এলো না!

বোর্ড পরিচালকরা ক্রিকেটারদের পাশে থাকেন না বলে বলেছেন আপনি?

এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ তো আমিই। আমার বিশ্বকাপে পারফরম্যান্স খারাপ ছিলো। তখন তো আমি এমনিতেই ভিলেন হয়ে ছিলাম মানুষের কাছে। আমাকে আর ভিলেন বানানো দরকার ছিল না। সেটাও তারা করতে চেয়েছেন। তামিমের সাথেও ২০১৫ বিশ্বকাপে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা ক্রিকেটাররা কিন্তু কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করি না। একতরফা আমরাই কথা শুনে যাই।

প্রেসিডেন্ট বক্সের কথা বলছিলেন একটা সাক্ষাৎকারে…

হ্যা, যেটা বলেছি, সত্যি। ওখানে আসলেই ক্রিকেটারদের নিয়ে যাচ্ছেতাই বলা হয়। আমি বলি, উলঙ্গ করা হয়। ওখানে তো অন্য লোকেরাও থাকে। তারা শোনে এসব বিষয়।

ক্রিকেটারদের সমালোচনা করাটাকেই কী খারাপ বলতে চাচ্ছেন?

না। কখনোই না। ক্রিকেটাররা পারফরম করতে না পারলে সমর্থকরা তো সমালোচনা করবেই। মিডিয়াও সমালোচনা করবে। শচীন টেন্ডুলকারের মতো মানুষের সমালোচনা হয়েছে। সেখানে আমাদের তো হবেই। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি, ক্রিকেট বোর্ড তো ক্রিকেটারদের অভিভাবক। তারা কেনো প্রকাশ্যে ক্রিকেটারদের সমালোচনা করবেন। তারা বরং ক্রিকেটারদের পাশে থাকবেন। প্রয়োজন মনে করলে বাদ দেবেন বা দলে রাখবেন। কিন্তু বোর্ড তো খেলোয়াড়ের নিন্দা করতে পারে না, তাকে গ্রিল করতে পারে না।

কোচ হিসেবে স্টিভ রোডস কেমন ছিলেন?

ভালো-মন্দ বলবো না। সে কাজ করতে চেয়েছিলো। সে কিন্তু ডেভ (হোয়াটমোর) ও চান্দিকার (হাথুরুসিংহে) পর সবচেয়ে সফল কোচ ছিলো। সে একটা ভালো দিকে এগোচ্ছিলো। তার সমালোচনা হলো, কে সে বিশ্বকাপের মধ্যে ছুটি দিলো খেলোয়াড়দের। অথচ সে সময় বোর্ডের প্রায় সবাই ওখানে ছিলেন। তারা জানতেন যে, ওই সময় অনুশীলনের উপায় ছিলো না। মাঠ সব অকুপাইড ছিলো। অনুশীলন করতে গেলে মাঠ ভাড়া নিতে হতো। সেটা তো বোর্ডকেই করতে হতো। সেটা তাঁরা করলো না। আর দোষ হলো কোচের। আর যেভাবে তাঁকে দেশে ডেকে এনে বরখাস্ত করা হলো, সেটা খারাপ প্রক্রিয়া ছিলো।

রাসেল ডমিঙ্গো কেমন কোচ?

সে তো দক্ষিণ আফ্রিকাতেও চাকরি হারিয়েছিলো। এরকম একটা ইতিহাস থাকার পরও আমরা তাঁকে কোচ হিসেবে দায়িত্ব দিলাম। তার পরিকল্পনা কী? কখনো সৌম্যকে নিয়ে পরীক্ষা করছে, কখনো শান্তকে নিয়ে। এই কোচ কিন্তু আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ হেরেছে। তাঁকে নিয়ে কোনো কথা নেই। আমরা আসলে কোচকে এতোটা মাথায় রাখি যে, তাঁকে সময় থাকতে প্রশ্ন করি না।

ডমিঙ্গো নাকি আপনাকে কফির দাওয়াত করেছিলেন?

হ্যা। এখনও সেই কফির অপেক্ষায় আছি। পাকিস্তান সফরের আগে একদিন আমি মাঠে এসেছিলাম, ও আমাকে প্রশ্ন করলো, আমার পরিকল্পনা কী। আমি বললাম, তোমার পরিকল্পনাটা বলো, তারপর একসাথে পরিকল্পনা করি। ও বললো, তাহলে গুলশানে আমার বাসায় একদিন কফি খাই এসো। এরপর আমি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেললাম। অধিনায়ক হিসেবে অবসর নিলাম। সেই কফি আর খাওয়া হয়নি।

কোচ নিয়োগের সময় অধিনায়কের বা খেলোয়াড়দের মতামত নেওয়া হয়?

আপনি সেটা আশা করেন? এই সংস্কৃতি বাংলাদেশে আছে? একাদশ নিয়েই মতামত পারলে নেওয়া হয় না, সেখানে কোচ নিয়োগ নিয়ে মতামতের তো প্রশ্নই আসে না।

খালেদ মাহমুদ সুজনের প্রশংসা করেছে আপনি ও সাকিব দু জনই। এভাবে দু জনের মত মিলে গেলো!

কিভাবে মিললো, তা তো আমি বলতে পারবো না। তবে এটুকু বলতে পারি যে, সুজন ভাই গেম ডেভেলপমেন্টে আসলেই অনেক কাজ করছেন। উনি যে কাজ করছেন, তার প্রমাণ তো যুব দলের বিশ্বকাপ জেতা। উনি যখনই দেখবেন, কাজের মধ্যে আছে। এই একটা লোককে আপনি ভরসা করতে পারেন। অথচ দুঃখ হলো, এই লোকটাই সবচেয়ে বেশী গালি হজম করে। উনি তো আমাদের কারো আত্মীয়ও না, বন্ধুও না। তারপরও আমরা ক্রিকেটাররা বুঝতে পারি যে, এই লোকটা কাজ করে।

আপনার এই সাক্ষাৎকারগুলো কী সাকিব আল হাসানকে দেখে সাহস পেয়ে বললেন? সাকিব সেদিন লাইভে সমালোচনা করলেন বোর্ডের।

আমি যখন সাক্ষাতকার দেই, তখন জানিও না, সাকিব এসব বলবে। ও বলার অনেক আগেই প্রথম যে সাক্ষাৎকারটা দিয়েছিলাম, সেটার রেকর্ড হয়ে গেছে। সাকিব তার মতো বলেছে, আমি আমার মতো। কারোটা দেখে কেউ বলিনি।

আপনার আর্ন্তজাতিক ক্যারিয়ার কী শেষ?

আমাকে যখন স্কোয়াড থেকে বাদ দেওয়া হলো, তখনই বুঝেছিলাম, আমার আর ফেরার সম্ভাবনা খুব কঠিন। আমার বয়সও ৩৮ হয়ে গেছে। আমি বলেছি যে, আমি খেলাটা ভালোবাসি বলে ঘরোয়া ক্রিকেট চালিয়ে যাবো।

আপনি তো মাঠে নেমে কাজ করা মানুষ। এখন বিসিবি যদি বলে যে, আসো এসব বিষয় সংস্কারে কাজ করো। আপনি নামবেন মাঠে?

সত্যি কথা বলতে, আমি তো এই মুহুর্তে রিটায়ার করিনি। আমার এখনও ডমেস্টিক খেলার ইচ্ছা আছে। ফলে আমি এখনই বোর্ডের কাচে অংশ নিতে পারবো না। তবে হ্যাঁ, কোনো খেলোয়াড়ের যদি মনে হয় যে, আমার কাছ থেকে সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আমি যতটুকু পারি বা বুঝি, তা করার জন্য তৈরি আছি। তবে এখনও যেহেতু অবসরে যাইনি, তাই সংস্কারের কাজে অংশ নেওয়াটা আমার পক্ষে সম্ভব না।

আরও পরিস্কার প্রশ্ন করি। বোর্ড সভাপতি হতে চান?

না, বোর্ড সভাপতি হওয়ার কোনো ইচ্ছা আমার এখন নাই। আগেও যেটা বললাম যে, আমি এখনও অবসরে যাইনি, তাই এরকম কোনো ইচ্ছা নাই। তবে আমি কখনোই খুব প্ল্যান করে এসব কাজ করি না। আগে থেকে কিছু ডিসাইড করে রাখি না। আমার সামনে যেটা আসে বা আসবে, সেটাই সর্বোচ্চ ভালোভাবে করার চেষ্টা করি। আপাতত বোর্ড সভাপতি হওয়ার কোনো প্ল্যান নেই। তবে সামনে কী হয়, সেটা কে জানে! একমাত্র উপরওয়ালাই বলতে পারেন।

যদি কখনো সভাপতি পদে সাকিব-মাশরাফি লড়াই হয়, লড়াইটা করবেন?

উম… এটা তো বলা মুশকিল। আমি যেটা বললাম যে, আমার তো এখন এটা পরিকল্পনা নেই। তবে কখনো তেমন লড়াই হলে কোনো সমস্যা হবে না। আমার আর ওর আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালো। ফলে কোনো সমস্যা হবে না মনে হয়। কিন্তু এ তো অনেক দূরের প্রশ্ন। অনেক দূরের কথা। সেই পর্যন্ত তো বেচে থাকতে হবে। তার আগে জীবনের কতো হিসাব নিকাশ আছে। দেখা যাক। আল্লাহ ভরসা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...