নার্ভাস নাইন্টিজে আটক

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিন শেষে অপরাজিত ৮২ রান নিয়ে মাঠ ছাড়লেন মুশফিকুর রহিম। স্বাভাবিকভাবেই সকালবেলা মুশফিকের সেঞ্চুরি দেখতে মাঠে আসে দর্শক। সকালের কঠিন সময়টা খুব দেখেশুনে পার করলেন মুশফিক। তবে আরেকবার স্বপ্নভঙ্গ করে কাটা পড়লেন নার্ভাস নাইন্টিজে। ২২৫ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেই তাঁর ইনিংস শেষ হয়।

চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথমদিন শেষে অপরাজিত ৮২ রান নিয়ে মাঠ ছাড়লেন মুশফিকুর রহিম। স্বাভাবিকভাবেই সকালবেলা মুশফিকের সেঞ্চুরি দেখতে মাঠে আসে দর্শক। সকালের কঠিন সময়টা খুব দেখেশুনে পার করলেন মুশফিক। তবে আরেকবার স্বপ্নভঙ্গ করে কাটা পড়লেন নার্ভাস নাইন্টিজে। ২২৫ বলে ৯১ রানের ইনিংস খেলেই তাঁর ইনিংস শেষ হয়।

তবে মুশফিকের নার্ভাস নাইন্টিজে নার্ভাস হয়ে পড়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে টেস্ট ক্রিকেটে আরো তিন বার নব্বইয়ের ঘরে কাটা পড়েছেন এই ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্রিকেটে মুশফিক তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন এই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। তবে এরপর তিনবার নব্বইয়ের ঘরে আউট হয়েছেন এই মাঠেই।

২০১০ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আউট হন ৯৫ রানে। চট্টগ্রামের বাইরে একবারই নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হন মুশফিক। সেটা ছিল ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে স্টেডিয়ামে। এরপর আবার ২০১৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে আউট হন ৯২ রানে। সবশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে এই টেস্টে ৯১ রান করে সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়েছেন তিনি। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৮ বার নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়েছেন তিনি।

এছাড়া বাংলাদেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবালও আছেন এই তালিকায়। টেস্টে তিনি নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়েছেন মোট তিনবার। এছাড়া সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের নার্ভাস নাইন্টিজ ইনিংস মোট ৬ টি।

টেস্টে তামিমের সমান সংখ্যকবার নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসানও। তিনিও এই ফাঁদে পা দিয়েছেন মোট তিনবার। সাকিবের ক্যারিয়ারে প্রথম এই ঘটনা ঘটে ২০০৮ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঢাকায় সেই টেস্টে সাকিব করেছিলেন ৯৬ রান। এরপর ২০১০ সালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। এবারো ঢাকায় আউট হন ৯৬ রানে, তবে প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড।

২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেঞ্চুরির আরো কাছে গিয়ে ফিরে এসেছিলেন তিনি। খুলনায় সেবার করেছিলেন ৯৭ রান। টেস্টে সাকিব আর তামিম সমান সংখ্যকবার নার্ভাস নাইন্টিজে আউট হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিব এগিয়ে আছেন। সবমিলিয়ে সাকিবের নার্ভাস নাইন্টিজ ইনিংস মোট ৭ টি।

তবে নার্ভাস নাইন্টিজে যে শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাই আটকা পড়েন এমন না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অনেক বড় বড় তারকারাও এই নার্ভাস নাইন্টিজের ফাঁদে পড়েছেন। ক্রিকেটে ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক শচীন টেন্ডুলকারও এই ফাঁদে পা দিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ১০ বার নার্ভাস নাইন্টিজে ইনিংস থেমেছে শচীন টেন্ডুলকারের ইনিংস।

লিটল মাস্টারের সমান ১০ বার টেস্টে নার্ভাস নাইন্টিজে ইনিংস থেমেছে রাহুল দ্রাবিড় ও স্টিভ ওয়াহরও। এছাড়া মাইকেল স্ল্যাটার এই ফাঁদে আটকেছেন মোট ৯ বার। ওদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শচীন সব মিলিয়ে নব্বইয়ের ঘরে থেমেছেন সর্বোচ্চ ২৮ বার। এছাড়া এবি ডি ভিলিয়ার্স ও রাহুল দ্রাবিড় আটকেছেন ১৪ বার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...