চার নো বলেই ম্যাচ শেষ

সিডনির এই উইকেটে রান হবে, ব্যাটাররা বাউন্ডারির পশরা সাজাবেন সেটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ আফ্রিকাও তাই করেছে। বিশ ওভার শেষে তাঁদের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২০৫ রান। তবে এতেও বাংলাদেশের বোলারদের হয়তো খুব বেশি দোষ দেয়ার সুযোগ ছিল না। এমনকি তাঁদের বোলিংয়ের প্রশংসাও করা যেত শুধু চারটা নো বল না হলেই।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের উইকেট, আর দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ। তিনে মিলে যা হবার কথা ঠিক তাই হয়েছে। সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেন আগুন জ্বলে উঠেছিল। আর সেই আগুনে ঘি ঢেলে ছিল নো বল। পুরো ইনিংসে বাংলাদেশের বোলাররা নো বল দিয়েছেন মোট চারটা। আর এটাই সম্ভবত ম্যাচের সবচেয়ে বড় টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিডনির এই উইকেটে রান হবে, ব্যাটাররা বাউন্ডারির পশরা সাজাবেন সেটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ আফ্রিকাও তাই করেছে। বিশ ওভার শেষে তাঁদের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২০৫ রান। তবে এতেও বাংলাদেশের বোলারদের হয়তো খুব বেশি দোষ দেয়ার সুযোগ ছিল না। এমনকি তাঁদের বোলিংয়ের প্রশংসাও করা যেত শুধু চারটা নো বল না হলেই।

এই চারটা নো বলেই আসলে ম্যাচ থেকে অনেকটা ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ। কেননা এই চার নো বল এবং চার ফ্রি হিট থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে নিয়েছে ৩০ রান। অর্থাৎ এই রান গুলো না হলে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর হতে পারতো ১৮০ এর কম। সিডনির এমন উইকেটে যা খুব বড় স্কোর নয়।

তবে তাসকিন আহমেদরা ঝামেলাটা পাকিয়েছেন নো বল গুলো দিয়েই। নিজের ওভারে টানা দুটি নো বল দিয়েছিলেন এই ফাস্ট বোলার। আর ফ্রি হিট সহ সেই দুই বল থেকেই এসেছিল ১৬ টা রান। এরপরের দুই নো বল ও ফ্রি হিট থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে নিয়েছিল আরও ১৪ রান। সব মিলিয়ে এই নো বল গুলোই হয়তো বাংলাদেশের মনোবল ভেঙে দিয়েছে।

তবে আজ ডেথ ওভারে খুব ভাল ভাবেই ফিরে এসেছে বাংলাদেশ। শেষ পাঁচ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা নিতে পেরেছিল মাত্র ২৯ রান। আর শেষ চার ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছিল তিন উইকেট।

তবে ক্ষতি যা হবার আসলে ম্যাচের শুরুতেই হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপকে রীতিমত দিশেহারা করে তুলেছিলেন রাইলি রুশো। এই ব্যাটার ৫৬ বল খেলে করেছিলেন ১০৯ রান। ১৯৪.৬৪ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করা এই ইনিংসটিতে ছিল মোট আটটি ছয়।

এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার কুইন্টন ডি ককও ৩৮ বল খেলে করেছেন ৬৩ রান। মূলত এই দুজনের ব্যাটিংটাই বাংলাদেশকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। যদিও এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার আর কোন ব্যাটারই রানের দেখা পাননি।

বাংলাদেশের বোলাররা সবাই মোটামুটি খরুচে ছিলেন আজ। তবে তুলনামূলক ভাল বোলিং করেছেন হাসান মাহমুদ। চার ওভার বল করে ৩৬ রান খরচ করে নিয়েছেন এক উইকেট। তবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বিশ্বকাপের আগে অফ ফর্মের কারণে দল থেকেই বাদ পড়েছিলেন। তবে এখন পর্যন্ত তাঁর বোলিংয়ের ঝাঁঝটা আবার টের পাওয়া যাচ্ছে।

আজ প্রোটিয়া ব্যাটারদের ঝড়ের মুখে দাড়িয়েও ইকোনমিক্যাল বোলিং করেছেন ফিজ। চার ওভার বোলিং করে খরচ করেছেন মাত্র ২৫ রান। ইকোনমি রেট ছিল মাত্র ৬.২৫। যদিও উইকেটের দেখা পাননি বাঁ-হাতি এই পেসার। তবে, ফিজের ফেরার দিনে বাংলাদেশ দল চলে গেল ব্যাকফুটে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...