আফগান বধের বহর ছক

ইনজুরির কারণে টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান থাকছেন না দলে। অন্যদিকে তাসকিন আহমেদও মাত্রই ইনজুরি কাটিয়ে উঠেছেন। তিনিও থাকছেন না দলে, সেটা প্রায় নিশ্চিত।

আফগানিস্তানের সাথে টেস্ট টাইগারদের নেই সুখস্মৃতি। প্রথম ও একমাত্র টেস্টে ফলাফল গিয়েছে আফগানিস্তানের পক্ষে। তাইতো পরিকল্পনায় রাখা যাবে না কোন ত্রুটি। কিন্তু ইনজুরির কারণে টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান থাকছেন না দলে।

অন্যদিকে তাসকিন আহমেদও মাত্রই ইনজুরি কাটিয়ে উঠেছেন। তিনিও থাকছেন না দলে, সেটা প্রায় নিশ্চিত। এমন পরিস্থিতিতে সেরা একাদশটা কেমন হবে সে প্রশ্ন আসতে পারে, যে কারো মনে। অধিনায়ক হিসেবে লিটন দাসের অভিষেক হবে আসন্ন টেস্টে। সে ঘোষণা এসেছে বহুদিন আগেই।

টেস্টে লিটন সাধারণত লোয়ার মিডেল অর্ডারে ব্যাট করে থাকেন। তাইতো ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী নিয়ে একটু আলাপ হতেই পারে। স্বাভাবিক নিয়ম অনুসারে জাকির হাসান থাকার কথা একাদশে। কেননা নিজের অভিষেক টেস্টেই বাজিমাত করেছিলেন সম্ভাবনাময় এই ব্যাটার।

সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতের বিপক্ষে। এরপরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট তিনি খেলতে পারেননি চোটের কারণে। চোট কাটিয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশ এ দলের হয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে খেলেছেন জাকির। টুকটাক রানও করেছেন।

তবে জাকিরের অন্তর্ভুক্তিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়ালেন মাহমুদুল হাসান জয়। টেস্ট অভিষেক হয়েছে তার ২০২১ এর শেষ দিকে। বেশ কয়েকটি দূর্দান্ত ইনিংস উপহারও দিয়েছেন জয়। ভাবা হচ্ছিল তিনিই থিতু হবেন টেস্ট দলে। তবে ধারাবাহিক ব্যর্থতায় তাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছিল। সেই জয় অবশ্য দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে শেষ চারদিনের ম্যাচে।

শতক আর অভিজ্ঞতা মিলিয়ে জয়কেও দেখা যেতে পারে একাদশে। তেমনটা না হলেও জয় আবারও ফিরতে পারেন তিনি দলে। এরপরের তিনটি পজিশন মোটামুটি স্থির। তিনে নাজমুল হোসেন শান্ত, চারে মুমিনুল হক ও পাঁচে মুশফিকুর রহিম। যেহেতু দলে সাকিব নেই।

অন্যদিকে মুমিনুল হক হয়তাবা চলে যেতে পারেন একাদশের বাইরে। কেননা ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে শেষ চারদিনের ম্যাচে ইয়াসির আলী চৌধুরিও রানে ফিরেছেন। তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হলে চারে মুশফিক ও পাঁচে লিটন। ছয়ে ইয়াসির। এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন বাংলাদেশ ঠিক কতজন বোলার নিয়ে খেলবে?

যেহেতু সাকিব নেই, তাই বা-হাতি স্পিনার হিসেবে টেস্ট দলে তাইজুল ইসলাম থাকছেন। অন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজকে ছাড়া বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের একাদশ কল্পনা করা বেশ কঠিন একটি বিষয়। স্পিন ডিপার্টমেন্টে এই দুইজনের যোগদান সুনিশ্চিতই বলা চলে।

তাসকিন না থাকায় পেস বোলিংয়ের নেতৃত্বভার এবাদত হোসেনের কাঁধে। তার সঙ্গী হিসেবে খালেদ আহমেদও থাকতে পারেন। যদি তিন পেসার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ তাহলে, শরিফুল ইসলাম যুক্ত হতে পারেন। আবার অভিষেক হয়ে যেতে পারে রেজাউর রহমান রাজারও। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি রয়েছেন পরিকল্পনায়।

আবার ভিন্ন চিত্রে তিন স্পিনার নিয়ে পরিকল্পনা সাজালে নাঈম ইসলাম বহুদিন বাদে হয়ত গায়ে চড়াবেন সাদা জার্সি। বোলিং ইউনিটের পুরো ছক নির্ভর করে উইকেটের উপর। মিরপুরের উইকেট বেশ স্পিন বান্ধব। তবে আফগান স্পিনারদের কথা মাথায় রেখে নিশ্চয়ই আত্মঘাতি হতে চাইবে না টাইগাররা। সেদিক থেকে তিন পেসার নিয়ে খেলার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি।

লিটন দাস যেহেতু অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন, সেহেতু বাড়তি চাপ এড়াতে সোহান হয়ত থাকবেন স্ট্যাম্পের পেছনে। সেদিক থেকে মুমিলুন হক কিংবা রাব্বিকে থাকতে হতে পারে একাদশের বাইরে। কিন্তু খেলোয়াড়দের সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনায় রাব্বির এগিয়ে থাকার কথা।

তাছাড়া বাংলাদেশ বেশ আগ্রাসী ক্রিকেট খেলছে চাণ্ডিকা হাতুরুসিংহের দ্বিতীয় মেয়াদে। সেদিকটা মাথায় রেখে আট ব্যাটার নীতির বাস্তবায়ন দেখার সম্ভাবনা ক্ষীন। নয়ত সোহান ও রাব্বি দুইজন একাদশে সুযোগ পেয়ে যাওয়ার কথা। এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...