আফিফকে বল মেরে শাহীনের সাজা

পরের বলটাতেই আসে বিপদ। গুড লেন্থের ডেলিভারিতে স্ট্রেট ড্রাইভ করেছিলেন আফিফ। সেটা কুড়িয়ে সোজা স্ট্যাম্প ভাঙতে চেয়েছিলেন শাহীন শাহ। তাতে, বলটা স্ট্যাম্পে না লেগে আঘাত হানে আফিফের গোড়ালিতে। সাথে সাথে বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান লুটিয়ে পড়েন উইকেটে। দলীয় ফিজিও এসে শুশ্রুষা করার পর আবারও ব্যাটিং শুরু করেন আফিফ।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ঘটনা। প্রথম দেখাতেই পাকিস্তানি পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদিকে রীতিমত ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন বাংলাদেশের আফিফ হোসেন ধ্রুব। লেগ স্ট্যাম্পের ওপর টসটসে এক হাফভলিকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে বাউন্ডারির ওপারে ফেলেন আফিফ হোসেন।

তবে, পরের বলটাতেই আসে বিপদ। গুড লেন্থের ডেলিভারিতে স্ট্রেট ড্রাইভ করেছিলেন আফিফ। সেটা কুড়িয়ে সোজা স্ট্যাম্প ভাঙতে চেয়েছিলেন শাহীন শাহ। তাতে, বলটা স্ট্যাম্পে না লেগে আঘাত হানে আফিফের গোড়ালিতে। সাথে সাথে বাঁ-হাতি এই ব্যাটসম্যান লুটিয়ে পড়েন উইকেটে। দলীয় ফিজিও এসে শুশ্রুষা করার পর আবারও ব্যাটিং শুরু করেন আফিফ।

তবে, এই বিষয়টাকে স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। তাঁরা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শাহীন শাহ আইসিসির আচরণ বিধির লেভেল ওয়ান ভঙ্গ করেছেন। ফলে, তাঁর ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ কেটে রাখা হয়েছে।

আইসিরি আচরণ বিধির আর্টিকেল ২.৯ নম্বর ধারায় বলা আছে, মাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ চলাকালে খেলোয়াড়, সাপোর্টিং স্টাফ, আম্পায়ার বা ম্যাচ রেফারিকে উদ্দেশ্য করে বল (বা অন্য কিছু যেমন পানির বোতল) ছুড়ে মারাটা খুবই বিপজ্জনক। এই ঘটনায় শাহীন শাহ’র নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হল। ২৪ মাসের পিরিয়ডে প্রথমবারের মত এই ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেন আফ্রিদি।

ম্যাচের দায়িত্ব প্রাপ্ত আম্পয়ার গাজী সোহেল, সোহেল তানভির, তৃতীয় আম্পায়ার মাসুদুর রহমান ও চতুর্থ আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (সৈকত) ঘটনাটি ম্যাচ রেফারির আমলে আনেন। ম্যাচ রেফারি নিয়ামুর রশিদ রাহুলের কাছে শাহীন শাহ নিজের ভুল শিকার করে নেওয়ায় কোনো আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

লেভেল ওয়ান আচরণবিধি ভঙ্গের সর্বোচ্চ সাজা ম্যাচ ফি’র ৫০ শতাংশ কেটে রাখা ও সাথে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। সেদিক থেকে বলা চায় শাহীন শাহ আফ্রিদি অল্প সাজাতেই পার পেয়ে গেছেন। ২৪ মাসের মধ্যে তিনি আরো তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে তিনি পাবেন একটি সাসপেনশন পয়েন্ট। সাসপেনশন পয়েন্ট দু’টি হলে ওই তিনি এক টেস্ট কিংবা দুই ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টির জন্য নিষিদ্ধ হবেন।

প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের দু’টোতেই হেরেছে বাংলাদেশ দল। প্রথমটায় প্রতিদ্বন্দ্বীতা গড়তে পারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সেটাও হয়নি। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান দল। আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি। সব ঠিকঠাক থাকলে এই ম্যাচটায় খেলবেন ইমন।

জানিয়ে রাখা ভাল, টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে অনুষ্ঠিত হবে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। ২৬ নভেম্বর প্রথম টেস্ট শুরু হবে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে চার ডিসেম্বর, মিরপুরে। টেস্টের দল এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...