তারুণ্যের বিজয়ে রাঙা আইপিএল

আইপিএলের প্রতি আসরেই উত্থান ঘটে বেশ কয়েকজন তরুণ তারকার। নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে তাঁর বেছে নেন টি টোয়েন্টির সেরা ফ্যাঞ্চাইজি আসরকেই। অনেক খেলোয়াড়ই আছেন যারা কিনা আইপিএল দিয়েই প্রথমবারের মতো পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন। আসুন দেখে নেয়া যাক এবারের আইপিএলের সেরা পাঁচ তরুণ প্রতিভাকে। 

আইপিএলের প্রতি আসরেই উত্থান ঘটে বেশ কয়েকজন তরুণ তারকার। নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে তাঁর বেছে নেন টি টোয়েন্টির সেরা ফ্যাঞ্চাইজি আসরকেই। অনেক খেলোয়াড়ই আছেন যারা কিনা আইপিএল দিয়েই প্রথমবারের মতো পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন। আসুন দেখে নেয়া যাক এবারের আইপিএলের সেরা পাঁচ তরুণ প্রতিভাকে। 

  • যশস্বী জয়সওয়াল, রাজস্থান রয়্যালস

এবারের আইপিএলে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন রাজস্থান রয়্যালসের যশস্বী জয়সওয়াল। জশ বাটলারের অফফর্ম মোটেই টের পেতে দেননি দলকে। 

শুভমান গিল অতিমানবীয় এক মৌসুম না কাটালে হয়তো টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকের খেতাব উঠতো এই ব্যাটারের গলাতেই। ১৪ ম্যাচে ৪৮.০৭ গড় এবং ১৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৬২৫ রান করেন জয়সওয়াল। গোটা মৌসুমে এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি করেন এই তরুণ। এছাড়া কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মাত্র ১৩ বলে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েন জয়সওয়াল। 

  • রিঙ্কু সিং, কলকাতা নাইট রাইডার্স

এবারের মৌসুমে শেষ চারে জায়গা করে নিতে না পারলেও কলকাতা নাইট রাইডার্সের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি রিঙ্কু সিংয়ের উত্থান। গত মৌসুমে খানিকটা ঝলক দেখালেও এবারের মৌসুমে নিজের সেরা ছন্দে ছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। 

গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে তাঁর সেই ইনিংস তো ক্রিকেট ইতিহাসেই জায়গা করে নিয়েছে। ইয়াশ দয়ালের শেষ ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে এনে দিয়েছিলেন অবিস্মরণীয় এক জয়। শেষদিকে নেমে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাচের চিত্রনাট্য বদলে দিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। গোটা টুর্নামেন্টজুড়ে কলকাতার বাকি ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন রিঙ্কু। 

এবারের মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ৫৯.২৫ গড় এবং ১৪৯.৫৩ স্ট্রাইকরেটে ৪৭৪ রান করেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। 

  • তিলক ভার্মা, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

আইপিএলের গত আসরেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের তারকাবহুল ব্যাটিং লাইন আপে আলাদা করে নজর কেড়েছিলেন তরুণ তিলক ভার্মা। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানকে খেলার ধরণের কারণে ইতোমধ্যেই তুলনা করা হচ্ছে সুরেশ রায়নার সাথে। 

এবারের মৌসুমে ইনজুরির কারণে সবগুলো ম্যাচে না খেলতে পারলেও ব্যাট হাতে ঠিকই সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। ইনিংসের একপ্রান্ত আগলে রাখার পাশাপাশি দলের প্রয়োজনে মারমুখী ব্যাটিং করতে জানেন এই তরুণ। এবারের আসরে ১০ ম্যাচে ৪২.৮৫ গড় এবং ১৫৮.৩৮ স্ট্রাইকরেটে ৩০০ রান করেন তিলক। ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৪৬ বলে অপরাজিত ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন এই ব্যাটার। 

  • আকাশ মাধওয়াল, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

জাসপ্রিত বুমরাহ এবং জোফরা আর্চারের অনুপস্থিতিতে নখদন্তহীন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পেস বোলিং লাইন আপকে একা হাতে টেনেছেন তরুণ আকাশ মাধওয়াল। মৌসুমের শুরুতে তেমন সুযোগ না পেলেও একাদশে ফিরেই নিজের জাত চিনিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার। 

বিশেষ করে এলিমিনেটরে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য ছিলেন আকাশ। ৩.৩ ওভারে মাত্র পাঁচ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট শিকার করে আনক্যাপড ক্রিকেটারদের মাঝে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড গড়েন। এবারের আসরে আট ম্যাচে তাঁর শিকার ১৪ উইকেট। 

  • সাই সুদর্শন, গুজরাট টাইটান্স

এবারের আসরে নিয়মিত একাদশে জায়গা না পেলেও যখনই সুযোগ পেয়েছেন  নিজের সামর্থ্যের জানান দিয়েছেন গুজরাট টাইটান্সের তরুণ ব্যাটসম্যান সাই সুদর্শন। ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে রীতিমতো অপ্রতিরোধ্য ছিলেন এই তরুণ, খেলেন ৪৭ বলে ৯৬ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস। এবারের আসরে ছয় ইনিংসে দুই ফিফটিতে ২২৩ রান করেন এই ব্যাটার।  

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...