সাদা বলের রাজা

ইংল্যান্ড এখন একাধারে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেরই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। একই সাথে দুই ফরম্যাটের বর্তমান চ্যাম্পিয়নের স্বীকৃতি এর আগে কোনো দলই পায়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল নিজেদের খেলাকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে হারানোর মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আরও অনন্য এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। যা সীমিত ওভারের ক্রিকেটের ইতিহাস আজ পর্যন্ত কোনো ক্রিকেট খেলুড়ে দলই অর্জন করতে পারেনি।

ইংল্যান্ড এখন একাধারে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটেরই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। একই সাথে দুই ফরম্যাটের বর্তমান চ্যাম্পিয়নের স্বীকৃতি এর আগে কোনো দলই পায়নি।

মেলবোর্নে বেন স্টোকসের অপরাজিত ৫২ এবং স্যাম কারেন (৩/১২) ও আদিল রশিদের (২/২২) চমকপ্রদ বোলিংয়ের ওপর ভর করে পাকিস্তানকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয় ইংলিশরা। এটা টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ শিরোপা। এর আগে ২০১০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে চির প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে প্রথম শিরোপা জিতেছিল পল কলিংউডের দল।

১৯৯২ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হারের ৩০ বছর পর ইংলিশরা যেন দারুণ এক প্রতিশোধ নিল। আর এই  প্রতিশোধ এর মূলে ছিল ইংলিশদের ডেথ ওভারে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং এবং বেন স্টোকসের অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরি  যার মাধ্যমে পাকিস্তানের দেয়া ১৩৮ রানের টার্গেট সহজেই উৎরে যায় ইংল্যান্ড। ঘটনাক্রমে ইংল্যান্ডের জয়করা দুই বিশ্বকাপ ফাইনালেই বেন স্টোকস অপরাজিত অর্ধশতক করার এক বিরল রেকর্ড ও করেন।

এর আগে ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ৫০ ওভারের ক্রিকেটে  চ্যাম্পিয়ন হয়। অবশ্য এর আগে তারা ১৯৭৯, ১৯৮৭ এবং ১৯৯২ সালে ফাইনালে উঠলেও রানার আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হওয়ার পর তারা তাদের সাদা বলের ক্রিকেটের ধরণই পাল্টে ফেলে।

এই ঘটনা সমস্ত বিশ্বজুড়েই আলোচনার সৃষ্টি করে। পরবর্তীতে সেই সাহসী ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেই ২০১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ইংলিশরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...