অবিক্রিত থাকার শঙ্কায় তাঁরা

আইপিএলের কাড়ি কাড়ি টাকার ঝনঝনানির মাঝে সবাই দেখতে চায় নিজের নাম, খেলতে চায় আইপিএল। প্রতি বছর তাই নিলামে দেখা যায় বড় বড় দেশের ছোট-বড় সব তারকাকেই। তবে এবার মনে হচ্ছে, বড় কিছু ক্রিকেটারের ভাগ্যের সিঁকে নাও ছিঁড়তে পারে। তা কারা তাঁরা?

বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) – তা নিয়ে সন্দেহ নেই। আর এই আইপিএল নিয়ে আছে নানা মুনির নানা মত। ইংলিশ কুর‌্যান ভাইদের একজন যেমন বলেছিলেন আইপিএল খেলা তাঁর স্বপ্ন ছিল, তেমনি কেউ কেউ মনে করে আইপিএল নষ্ট করে দিচ্ছে ক্রিকেটের যাপিত সৌন্দর্য্য।

তা সেই বিতর্ক আরেক দিনের জন্যে মূলতবি থাক, আপাত দৃষ্টিতে কিন্তু বাস্তব চিত্র বেশ ভিন্নই। আইপিএলের কাড়ি কাড়ি টাকার ঝনঝনানির মাঝে সবাই দেখতে চায় নিজের নাম, খেলতে চায় আইপিএল। প্রতি বছর তাই নিলামে দেখা যায় বড় বড় দেশের ছোট-বড় সব তারকাকেই। তবে এবার মনে হচ্ছে, বড় কিছু ক্রিকেটারের ভাগ্যের সিঁকে নাও ছিঁড়তে পারে। তা কারা তাঁরা?

  • মঈন আলী (ইংল্যান্ড)

তিন ম্যাচ – ১৬ বলে ১২ রান- এক উইকেট! এটাই মঈন আলীর গত মৌসুমে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে পরিসংখ্যান। এমন পারফরম্যান্সের পর যা হবার ঠিক তাই হয়েছে- দল থেকে ছাঁটাই হয়েছেন তিনি। এবার তাই মঈনকে দেখা যাবে নিলামের মঞ্চে।

এমনিতে হয়তো বা দল পেতেও পারতেন। কিন্তু ফর্ম খুব বেশি কথা বলছে না তাঁর পক্ষে, সাথে আইপিএলের পূর্ব ব্যার্থতাও একটা কাল হতে পারে। খুব বেশি এদিক-ওদিক না হলে এবার মঈন আলীকে আইপিএল দেখতে হবে ঘরের সোফাতে টিভিতে বসেই!

  • শেলডন কটরেল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

সাড়ে আট কোটি রুপি দিয়ে কেনা কোনো পেসার যদি সাড়ে আটের বেশি ইকোনমিতে বল করেন, দলের মালিকেরা তো ‘ব্যাবসা লস’বলে মাথায় হাত দেবেই! ঠিক এই লাইনটাতেই কটরেলের গত মৌসুমের সামারি আছে। বহু আশা নিয়েই ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই স্পিডস্টারকে কিনেছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

কিন্তু, পারফরম্যান্সে একেবারেই তথৈবচ অবস্থা ছিল কটরেলের। বাধ্য হয়েই তাই দল থেকে ছাঁটাই হয়েছেন তিনি। এমনিতে কটরেলের শক্তির জায়গা ‘পাওয়ারপ্লে’। কিন্তু এবার সেখানে প্রত্যেক দলেই যথেষ্ট পেসার আছে, কটরেলকে সম্ভবত তাই এবার অবিক্রীত থাকতে হবে!

  • মিশেল ম্যাকক্লেনাঘান (নিউজিল্যান্ড)

স্পিডস্টার ম্যাকক্লেনাঘানের গল্পটা অবশ্য আলাদা। ২০১৫ থেকেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিবিরের অবিচ্ছেদ্য সদস্য তিনি। ৭১ উইকেট নিয়ে ২০১৫ থেকে দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীও এই ব্ল্যাক ক্যাপ। কিন্তু দলে এসেছেন স্বদেশি ট্রেন্ট বোল্ট।

আর বোল্টকে জায়গা দিতে গত মৌসুম থেকেই অনিয়মিত মিশেল ম্যাকক্লেনাঘান। এবার তাই ম্যাকলেহানকে ছেড়ে দিচ্ছে মুম্বাই। কিন্তু ৩৪ বছর বয়সী এই পেসার ইতোমধ্যেই নিজের স্বর্ণসময় ফেলে এসেছেন। খুব সম্ভবত এবার তাই নিলামে নিজেকে ‘আনসোল্ড’ ট্যাগে দেখতে হবে ম্যাকক্লেনাঘানকে।

  • হরভজন সিং (ভারত)

হরভজন সিং অবশ্য খুব বেশি আশাহত হবেন বলে মনে হয়না। এমনিতে বয়সটা হয়ে গেছে ৪০ , এই বয়সে ক্রিকেট ছেড়ে দিয়ে ধারাভাষ্য/কোচিংয়ে যোগ দেবার কথা তাঁর। কিন্তু ঐ যে ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা, এটাই হরভজনকে এখনও আইপিএল নিলামে নাম লেখাতে বাধ্য করছে।

গত মৌসুম অবধি ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসে। যদিও, শেষ মৌসুমটায় আরব আমিরাতে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি খেলেননি। তবে এবার তাকে ছেড়ে দিচ্ছে মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বের চেন্নাই। আর যে বয়স, নতুন দল হয়তো আর পাবেন না ভারতীয় ক্রিকেটের ভাজ্জি! এ বছর তিনি ক্যারিয়ারেরও ইতি টানতে পারেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...