শেষ দানেও আছি…

প্রথম ম্যাচে লিটন দাস করেন ৫৩ রান আর কোয়ালিফায়ার মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। লিটন দাস ৯ ম্যাচে ৩৭০ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১০ ম্যাচে ২৮০ রান সংগ্রহ করেছে সৌম্য সরকার। ফাইনালেও এদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল। এছাড়া এদের সাথে চোখ থাকবে শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উপর।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শেষের পথে। শুধু মাত্র ফাইনালের মহাযুদ্ধ বাকি রয়েছে। ফাইনালের মঞ্চ প্রস্তুত; আর শেষ দৃশ্যপটে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম ও জেমকন খুলনা।

গ্রুপ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ছিলো দুই ফাইনালিস্ট। প্রথম কোয়ালিফায়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়েছে জেমকন খুলনা। আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বেক্সিমকো ঢাকাকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে গাজি গ্রুপ চট্টগ্রাম। দেখে নেওয়া যাক ফাইনালের মঞ্চে দুই দলের হয়ে ফ্রন্ট লাইটে থাকবেন কারা।

  • লিটন দাস ও  সৌম্য সরকার

গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ইনিংসের গতিপথ অনেকটাই নির্ভর করে দুই ওপেনার লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের উপর। টুর্নামেন্টে অন্যতম সফল উদ্বোধনী জুটি চট্টগ্রামের। টুর্নামেন্টে নয় ম্যাচে ওপেন করতে নেমে এই জুটি ৪৬.৮৮ গড়ে সংগ্রহ করেছে ৪২২ রান। ৯ ম্যাচে ৩ টি অর্ধশত ও ১ টি শতরানের জুটি গড়েছে তারা।

জেমকন খুলনার সাথে খেলা ৩ ম্যাচে এই জুটির সংগ্রহ ৯৮ রান। যেখানে প্রথম ম্যাচেই ৭৯ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। খুলনার বিপক্ষে খেলা ৩ ম্যাচে চট্টগ্রামের ২ জন ব্যাটসম্যান অর্ধশতক করেছিলেন। প্রথম ম্যাচে লিটন দাস করেন ৫৩ রান আর কোয়ালিফায়ার মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৫৩ রান। লিটন দাস ৯ ম্যাচে ৩৭০ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ১০ ম্যাচে ২৮০ রান সংগ্রহ করেছে সৌম্য সরকার। ফাইনালেও এদের দিকেই তাকিয়ে থাকবে দল। এছাড়া এদের সাথে চোখ থাকবে শামসুর রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের উপর।

  • মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম

বোলারদের ভিতরেও শীর্ষে চট্টগ্রামের আইকন মুস্তাফিজুর রহমান। ৯ ম্যাচে মোস্তাফিজের শিকার ২১ উইকেট। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ৩ বার ম্যাচ সেরা হয়েছেন মুস্তাফিজ। জেমকন খুলনার সাথে খেলা ৩ ম্যাচে মোস্তাফিজের শিকার ৮ উইকেট। ৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও হয়েছিলেন কাটার মাস্টার। মুস্তাফিজের সাথে বল হাতে আলোচোনায় থাকবেন শরিফুল ইসলামও। টুর্নামেন্টে ১২ উইকেট নিয়েছেন শরিফুল। খুলনার সাথে গ্রুপ পর্বের ২য় ম্যাচে ৩ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।

  • মাশরাফি বিন মুর্তজা ও জহুরুল ইসলাম

প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাশরাফির টি-টুয়েন্টিতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ও জহুরুলের ব্যাটিং বীরত্বে  চট্টগ্রামকে হারিয়ে ফাইনালে এসেছে খুলনা। ফাইনালেও এদের দিকেই নজর থাকবে সবার। টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও কোয়ালিফায়ারে শেষের দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলা ও বল হাতে নিয়মিত ভালো করা সাকিব আল হাসানকে ফাইনালে মিস করবে জেমকন খুলনা। শশুর মৃত্যুবরণ করায় যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের কাছে গিয়েছেন সাকিব।

জেমকন খুলনার হয়ে টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন জহুরুল ইসলাম। ৯ ম্যাচে তার সংগ্রহ ২৫৪ রান। জহুরুলের সাথে ব্যাট হাতে খুলনার হয়ে আলো ছড়াতে পারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শুভাগত হোম ও আরিফুল হক। চট্টগ্রামের সাথে খেলা ৩ ম্যাচে খুলনার হয়ে অর্ধশতক পেয়েছেন শুধু জহুরুল ইসলাম। কোয়ালিফায়ারে ৮০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

  • হাসান মাহমুদ ও শুভাগত হোম

বল হাতে আগের ম্যাচে ৫ উইকেট পাওয়া মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে ফাইনালে  ফ্রন্ট লাইটে থাকবেন হাসান মাহমুদ ও শুভাগত হোম। মাশরাফি ৩ ম্যাচে নিয়েছেন ৭ উইকেট। হাসান মাহমুদের ঝুলিতে ৮ ম্যাচে ১০ উইকেট এবং শুভাগত হোম নিয়েছেন ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট। চট্টগ্রামের সাথে মুখোমুখি হওয়া ৩ ম্যাচে বল হাতে মাশরাফির সাথে ভালো করেছে সাকিব ও শুভাগত হোম। গ্রুপের পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে এই দু’জন দু’টি করে উইকেট শিকার করেছিলেন।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...