রেফারি মাত্র কিক অফের বাঁশি দিয়েছে; দর্শকরা ঠিকঠাক বসার আগেই আবারো বাঁশির আওয়াজ, গোলের সংকেত। অথচ দুইটি বাঁশির ব্যবধান স্রেফ বারো সেকেন্ড – অবিশ্বাস করার কোন কারণ নেই, ইতালি বনাম ফ্রান্স ম্যাচে সত্যিই এত দ্রুত সময়ে জালের দেখা পেয়েছেন ফরাসি তরুণ ব্র্যাডলে বারকোলা। যদিও শেষ হাসি হাসতে পারেনি তাঁর দল।
ইউরোতে ইতালির খেলা দেখেছেন নিশ্চয়ই, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন হয়েও তাঁরা উপহার দিয়েছিল টুর্নামেন্টের অন্যতম হতশ্রী পারফরম্যান্স। অথচ কয়েক মাসের ব্যবধানে পুরোপুরি বদলে গেল দলটা, উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্সকে নিয়ে স্রেফ ছেলেখেলা করেছে। তাঁদের জাদুকরী ফুটবলে অসহায় হয়ে পড়েছিল ফ্রান্স!
আজ্জুরিওদের শুরুটা যে দুঃস্বপ্নের মত হয়েছে সেটা তো আগেই বলা হলো, এবার প্রত্যাবর্তনের গল্প শোনা যাক। মূলত গোল হজমের পর থেকেই নিজেদের গুছিয়ে আক্রমণ করতে থাকে তাঁরা, কিন্তু সমতায় ফিরতে হয় অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ৩০ মিনিট।
সান্দ্রো তোনালির অসাধারণ এক ফ্লিক থেকে ডি বক্সের বাম দিকে বল পেয়ে যান ফেদেরিকো ডিমোরকো। সজোরে সেটা জালে জড়াতে এরপর ভুল হয়নি তাঁর। আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে বিরতির পরপরই এগিয়ে যায় দলটি, মাতেও রেতেগুইয়ের অ্যাসিস্টে গোলের দেখা পান ডেভিড ফ্রাত্তেসি।
পিছিয়ে পড়েও ফ্রান্স লড়াই করে যাচ্ছিলো ম্যাচে ফেরার, হয়তো ফিরতেও পারতো। কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি, বারবার চেষ্টা করেও ইতালিয়ানদের রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি কিলিয়ান এমবাপ্পের বাহিনী। উল্টো ৭৪ মিনিটে ফরাসিদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন জিয়াকোমো রাস্পাদোরি। ম্যাচের বাকি অংশে আর কেউ গোল না করলে ৩-১ ব্যবধানে জয় সফরকারীরা।
ইতালি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স থাকায় গ্রুপ-২ কে গ্রুপ অব ডেথও বলা যায়। আর এই কঠিনে গ্রুপে কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জিতে নিজেদের এগিয়ে রাখলো ডি লরেঞ্জো, বাস্তোনিরা। অন্যদিকে, ফ্রান্সের আকাশে জমা হলো শঙ্কার কালো মেঘ।