পোল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচেই তো দুই গোল আর এক অ্যাসিস্টে শিরোনাম দখলে নিয়েছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে উড়তে থাকা রোনালদো সেই ফর্ম ধরে রেখেছেন ক্লাবের হয়েও, আল কাদাসিয়ার বিপক্ষে পেয়েছেন জালের দেখা।
৩২ মিনিটের সময় ডান দিক থেকে আসা ক্রস ডি বক্সে জটলা তৈরি করে, আর সেখান থেকে বল পেয়ে যান এই স্ট্রাইকার। ডান পায়ের জোরালো শটে অতঃপর জালের ঠিকানা খুঁজে নেয়াটা কঠিন ছিল না তাঁর জন্য। এরই সুবাদে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় আল নাসের।
যদিও জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না এই তারকার গোল, মিনিট পাঁচেক পরেই কাদাসিয়ার হয়ে সমতাসূচক গোল করে বসেন জুলিয়ান কুইনন্স। তিনিই আবার বিরতির পর খুলে দেন জয়সূচক গোলের পথ। তাঁর লফটেড পাস থেকে হেডারে গোল করেন পিয়েরে এমরিক আউবামাং।
পিছিয়ে পড়ে আর সমতায় ফেরা হয়নি আল নাসেরের, বারবার প্রতিপক্ষের রক্ষণে হানা দিয়েও আরাধ্য লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি তাঁরা। ষাট ভাগের বেশি সময় বল দখলে রেখে বিশ বার শট নিয়েছিল দলটি, কিন্তু বেলজিয়ান গোলরক্ষক কওয়েন ক্যাস্টিলসকে ফাঁকি দেয়া সম্ভব হয়নি। পাঁচ পাঁচটা সেভ দিয়েছিলেন তিনি।
অবশ্য গোল করলেও পরাজয়ের দায় পুরোপুরি এড়াতে পারেননি রোনালদো। স্কোরবোর্ডে নাম লেখানো ছাড়া সে অর্থে কিছু করতে পারেননি তিনি। কোন সুযোগ তৈরি হয়নি তাঁর মাধ্যমে, জেতেননি একটা ডুয়েলও। এছাড়া ফাইনাল থার্ডে তাঁকে স্রেফ একটা পাস দিতে দেখা গিয়েছে।
যদিও উইঙ্গার, মিডফিল্ডার কারোই দায় কম নয় এই পরাজয়ে। সত্যি বলতে কেউই প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেনি। তবে দায় যাদেরই হোক, মাশুল দিতে হবে পুরো দলকেই। শিরোপার লড়াই থেকে কেবল দূরে সরে যাচ্ছে তাঁরা।