পিএসএলে ‘অচল’ তালিকায় তারকার হাট

পাকিস্তানে আসলে প্রতিভার কমতি নেই, তাই সব ক্রিকেটারকে পারফরম করার মঞ্চ তৈরি করে দেয়ার জন্য ছয়টা দল যথেষ্ট নয়। আরো একটা বা দুইটা দল বাড়লে হয়তো সুযোগ আসবে সবার জন্য।

ঝমকালো আয়োজনে শেষ হল পিএসএলের ড্রাফট অনুষ্ঠান, তবে আলোর পিছনেই আছে অন্ধকার। সেই অন্ধকার গ্রাস করে নিয়েছে অনেক ক্রিকেটারকে, অভিজ্ঞ আর সম্ভাবনাময়ী তরুণ মিলে এমন অনেক দেশীয় তারকা আছেন যাদের দল না পাওয়া অবাক করার মতনই।

সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের নামটা সবার আগে বলতে হয়। জাতীয় দলে জায়গা হারালেও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে নিঃসন্দেহে ভরসা করা যেত তাঁর ওপর। পরের নামটাই বোধহয় শাহনেওয়াজ দাহানির, দল পাবেন এই নিশ্চয়তা যাদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি ছিল তাঁদের একজন তিনি। অথচ ড্রাফটে কেউ ফিরেও তাকালো না তাঁর দিকে।

শাহিবজাদা ফারহান তো পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি দলেই আছেন, ভাল করতে না পারলে সম্ভাবনার কমতি নেই তাঁর মধ্যে। একই কথা বলা৷ যায়, কাসিম আকরাম, রোহাইল নাজিরদের নিয়ে। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস – তাঁদের ভরসা করতে চাইলো না একটা ফ্রাঞ্চাইজিও।

অভিজ্ঞ উমর আকমল, ইমাম উল হক, হারিস সোহেল, আহমেদ শেহজাদ, শারজিল খান, মোহাম্মদ আব্বাসও দল পাননি এবারের পিএসএলে। টেস্ট দলের দুই স্পিনার নোমান আলী, সাজিদ খানও রয়ে গিয়েছেন অবিক্রীত। অথচ সাদা পোশাকে রীতিমতো ইতিহাস তৈরি করেছিলেন তাঁরা। একইভাবে লেগ স্পিন ডুয়ো উসমান কাদির, ইয়াসির শাহ ড্রাফটে দল পাননি। বিশেষ করে আব্দুল কাদির পূত্র উসমানের দল না পাওয়াটা বেশ বিস্ময়করই বটে।

এমনকি ইনজুরি থেকে ফেরা ইহসানউল্লাহকেও বাড়িতে বসে দেখতে হবে ঘরোয়া অঙ্গনের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এছাড়া চ্যাম্পিয়ন্স টি-টোয়েন্টি কাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী মুসা খান কোন দল পাননি।

অবিক্রীত থেকে যাওয়া বাকিদের মধ্যে আছেন সাদ নাসিম, মির্জা বেগ, সামিন গুল, আমাদ বাট, রমিজ আজিজ। যেকোনো দিন এরা প্রায় সবাই অন্তত পিএসএলের কোন দলে জায়গা পাওয়ার দাবিদার। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, টিম ম্যানেজম্যান্টের পছন্দ আর সুযোগের সমন্বয় হল না।

পাকিস্তানে আসলে প্রতিভার কমতি নেই, তাই সব ক্রিকেটারকে পারফরম করার মঞ্চ তৈরি করে দেয়ার জন্য ছয়টা দল যথেষ্ট নয়। আরো একটা বা দুইটা দল বাড়লে হয়তো সুযোগ আসবে সবার জন্য।

Share via
Copy link