আবারও হতশ্রী ব্যাটিং পারফরম্যান্স, আফগান বোলারদের দাপটের সামনে বাংলাদেশী ব্যাটারদের অসহায়ত্ব। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে আফগানিস্তান।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই আউট মুনিম শাহরিয়ার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে লিটন দাস, মোহাম্মদ নাইম শেখরা ফিরলে ৩৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে বাংলাদেশ। শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা মুশফিকের সঙ্গি তখন সাকিব।
ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই ব্যাট হাতে ব্যর্থতার চাঁদরে থাকা সাকিব ফিরেন মাত্র ৯ রানে। ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন মুশফিক। বলের সাথে পাল্লা দিয়েও রান তুলতে ব্যর্থ তখন বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে এই দু’জনের ৪৩ রানের জুটি আবারও বড় সংগ্রহের আশা জাগালেও ফারুকী-ওমরজাইদের বোলিং জাদুতে শেষদিকে আবারও ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের।
৮৮ রানে ৪ উইকেট থেকে মাত্র ১৭ রান যোগ করতেই ৯ উইকেট হারিয়ে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৫ রান করতে সমর্থ হয় টাইগাররা। মুশফিক সর্বোচ্চ ৩০ ও রিয়াদ করেন ২১ রান। আফগানিস্তানের পক্ষে ফারুকী ও ওমরজাই নেন ৩টি করে উইকেট।
জবাবে লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই নিজের বলেই হজরতউল্লাহ জাজাইর সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন নাসুম আহমেদ। পরের ওভারেই রহমানউল্লাহ গুরবাজকে ফেরান মেহেদি হাসান। এরপরের পথটা বাংলাদেশের জন্য বিষাদময়। ক্যাচ মিসের মহড়ায় আর উইকেটই পড়েনি আফগানদের।
বেশ কয়েকবার ক্যাচ উঠলেও সুযোত হাতছাড়া করেন আফিফ-নাইমরা। সুযোগের সেরা ব্যবহার করে ৩৭ বলে ফিফটি তুলে নেন জাজাই। ১৫ ওভারেই দলের রান তখন ১০৩। ম্যাচ থেকে যখন পুরোপুরি ছিটকে গেছে বাংলাদেশ তখনি মাহমুদউল্লাহর বলে ৪৭ রানে ফিরেন উসমান গনি। দু’জনে মিলে গড়েন ৯৯ রানের দুর্দান্ত এক জুটি।
শেষ পর্যন্ত জাজাইয়ের ৪৫ বলে ৫ ছক্কা ও ৩ চারে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে ১৪ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় আফগানিস্তান।
- সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ – ১১৫/৯ (২০ ওভার); মুশফিক ৩০(২৫), রিয়াদ ২১(১৪), লিটন ১৩(১০); ফারুকী ৪-০-১৮-৩, ওমরজাই ৪-০-২২-৩, নবি ৪-০-১৪-১।
আফগানিস্তান – ১২১/২ (১৭.৪ ওভার); জাজাই ৫৯(৪৫), গণি ৪৭(৪৮); মেহেদি ৪-০-১৯-১, মাহমুদউল্লাহ ১-০-২-১।
ফলাফল: আফগানিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী।