বাইরের হস্তক্ষেপ বাইরেই রাখতে পেরেছেন সাকিব!

অপেরা হাউজ – সিডনি শহরের সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান। সেখানে মঙ্গলবার দেখা মিলল গোটা চারেক ক্রিকেটারের – লিটন কুমার দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী চৌধুরী, নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রতিটা মুখের চাহনী বদলে দিয়েছে কেবল একটা জয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন রাতে নাকি টিম ডিনার, সেখানে আবার থাকবেন স্বয়ং বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে, এবার নাকি আগের যে কোনো সময়ের মত দলের সব কিছুতে তিনি হস্তক্ষেপ করবেন না। মানে, সাকিব আল হাসান নিজের মন মত পরিবেশই পাচ্ছেন।

সব মিলিয়ে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দলীয় সংস্কৃতিতে বিরাট এক পরিবর্তন এসেছে। এবার বাইরের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। বিষয়টা সহজ ছিল না, অধিনায়ক সাকিব ও টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম রীতিমত বোর্ডের সাথে কথাবার্তা বলে বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন। ড্রেসিংরুমে বাইরের হস্তক্ষেপ দলের জন্য ক্ষতিকর – বিষয়টা বোর্ড সভাপতি ও পরিচালক মহলে বোঝাতে পেরেছেন তাঁরা।

দল চলছে মূলত কোচ আর অধিনায়কের নির্দেশনায়। নতুন এই নীতিতে দলের বাকিরাও খুশি। আর এই নিয়মের অধীনেই এবার গণমাধ্যমের সাথে যতটা সম্ভব কম কথা বলছেন সবাই। আগের মত বিদেশ সফরের চিরায়ত সাংবাদিক আর ক্রিকেটারদের মধ্যে দূরত্ব কমে আসার রীতিতে ছেদ পড়েছে।

আর সেকারণেই অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে সাকিব একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও অধিনায়ক জয়ের সন্ধানই করছেন। শুধু জয় নয়, সাকিব চান জয়টা আসুক নতুন কোনো হিরোর হাত ধরে।

তিনি সিডনিতে বসে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের যে ১১ জন খেলবে তাদের থেকে কারও হিরো হওয়ার আরেকটা সুযোগ কাল। ঐ হিরো কে হবে? এসব ব্যাপার আমাদের কাছে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। ওপেনারদের ২০ ওভার ব্যাটিং করার সুযোগ আছে। কেন তারা করতে পারবে না? আমি বিশ্বাস করি তারা করতে পারবে। বোলাররা আগেরদিন যেমন বল করেছে, কেন আমরা আবার ১০ উইকেট নিতে পারব না? অবশ্যই পারব।’

আগের ম্যাচে প্রতিপক্ষ যাই হোক না কেন, জয় দিয়ে মোমেন্টামটা পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। এবার সেটা ধরে রাখতে চান অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে মোমেন্টাম খুবই জরুরী। তাই মোমেন্টাম পাওয়া এবং সেটা ধরে রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে-টেস্টে পারফর্মারের সংখ্যা বেশি থাকে। টি-টোয়েন্টিতে এত বেশি থাকার সুযোগ নেই। কম পারফর্মার থাকবে কিন্তু ওদের পারফরম্যান্সটা একটু বড় হতে হয়।’

জানা গেছে, আজকের ডিনারে দলের সবার সাথে মন খুলেই কথা বলবেন বোর্ড সভাপতি। তবে, সেটাও হবে দলের নতুন নীতি মেনেই। যার কারণে, ক্রিকেটাররাও আগের মত শঙ্কিত নন। সুপার টুয়েলভে ভাল খেললে এবার নতুন ইতিহাস গড়া সম্ভব, বারবারই কথাটা বলছেন সাকিব। পরিবর্তিত নিয়ম যেন সেই ইতিহাস গড়ারই একটা অংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link