নিউজিল্যান্ডের কিংবদন্তি পেস বোলার, এই পরিচয়টা দিলে বোধহয় অনেকেই চিনবেন না ড্যানি মরিসনকে। বৈচিত্রময় উপস্থাপনা আর নাটকীয় বাচনভঙ্গি তাকে বানিয়েছে সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার। ড্যানি মরিসনের ধারাভাষ্য মানেই যেন ঝিমিয়ে যাওয়া ম্যাচটাও উপভোগের রসদ পাওয়া।
উপস্থান ভঙ্গিমায় এতটাই ব্যতিক্রম মরিসন যে তাঁর কণ্ঠ শুনে তাঁকে চিনে ফেলতে একটুও দেরি হয় না টুকটাক ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখা লোকেরও। এবার সেই ড্যানি ধারাভাষ্য দিতে এসেছেন পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল)। পাকিস্তানে এসেই পাকিস্তানের খাবারের প্রেমে মজেছেন মরিসন।
খেলোয়াড়ি জীবনটা খুব বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি। তবে যে ক’দিন খেলেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণকে। তবে সেই পরিচয় এখন কেউ খুব একটা মনে রাখেনি। সেই পরিচয় ছাপিয়ে বর্তমানে ধারাভাষ্যকার হিসেবেই বেশি পরিচিতি মরিসনের।
বিশ্বের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেন তিনি। এবার পাকিস্তানে এসে মানুষ হিসেবে রসিক ড্যানি মরিসনের খাদ্যরসিক স্বভাবের দেখাও মিললো। পাকিস্তানের খাবার দারুণ উপভোগ করছেন ড্যানি।
ড্যানি বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের খাসির মাংস খুব পছন্দ করি। পাকিস্তান কাবাব এবং বারবিকিউ এর জন্য বিখ্যাত। এছাড়াও মাসালা দোসা, বিরিয়ানি আর চাটনির ভক্ত আমি।’ ধারাভাষ্যে সব সময়ই ভিন্ন মাত্রা আনেন ড্যানি মরিসন। তাঁর নাটকীয় আর সৃষ্টিশীল উপস্থাপনা দর্শকদের জন্যও দারুণ পাওয়া। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তেই আছে ড্যানির ভক্ত।
রিচি বেনোকে আদর্শ মেনে ধারাভাষ্যে আসা ড্যানি ৪৮ টি টেস্ট ও ৯৬ টি ওডিআই খেলেছেন নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে। নিয়েছেন মোট ২৮৬ টি উইকেট। তবে এখন ধারাভাষ্যকার হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকারদের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন মরিসন।
মরিসন ছাড়াও পিএসএলের ধারাভাষ্য প্যানেলে আছেন তারিক সাইদ, ওয়াকার ইউনুস, মার্ক বুচার, নিক রাইট, বায়জিদ খান, কাস নাইডু, সিকান্দার বখস, উরোজ মুমতাজের মত নামিদামি সব মুখ।