অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের প্রথম সদস্য হিসাবে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ভালো করে সবার নজর কাড়েন এই পেসার। প্রথম বার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাসিত শরিফুল ইসলাম। তাঁর বিশ্বাস একদিন জাতীয় দলের হয়েও বিশ্বকাপ জিতবেন তিনি।
শরিফুল বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্ খবরটা শোনার পর অনেক ভালো লাগছে। প্রথমবারের মত জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকার খবর শুনে অনেক খুশি লাগছিল। ইনশাআল্লাহ্ ভালো কিছু করার চেষ্টা করব।
মূলত তিনটি টুর্নামেন্ট দিয়ে সবার নজরে আসেন শরিফুল ইসলাম। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সাথে দারুণ পারফর্ম করেন প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৩.৬৪ ইকোনোমিতে শরিফুল নিয়েছিলেন ৯ উইকেট। প্রেসিডেন্টস কাপে ৩ ম্যাচে ৪ উইকেট পেলেও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ১০ ম্যাচে নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট। জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ পেলেও এই পারফরমেন্স ধরে রাখতে আশাবাদী শরিফুল।
এই পেসার বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মোটামুটি ভালো খেলেছি। জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ পেলে সেই পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করব। জায়গা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
শরিফুলের স্বপ্ন ছিলো জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে খেলার। গত ১০ জানুয়ারি থেকে অনুশীলনের সুবাদে সবার সাথেই আছেন শরিফুল। শরিফুল জানিয়েছেন নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য তাকে সবই শেখাচ্ছেন সিনিয়ররা।
শরিফুল বলেন, ‘জাতীয় দলের পরিবেশ অনেক ভালো লাগছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় থেকেই ভাবতাম সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, মুস্তাফিজ ভাই উনাদের সাথে যদি খেলতে পারতাম। স্বপ্ন ছিল, পূরণ হয়েছে। চেষ্টা করব সবসময় তাদের সাথে থাকার। আমার ভুল হলে তারা ধরিয়ে দিচ্ছেন। সেরাটা দেওয়ার জন্য যা করা দরকার শেখাচ্ছেন। খেলায় যাতে প্রভাব না পড়ে এজন্য প্র্যাকটিসেই ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসার এবার বিশ্বকাপ জিততে চান জাতীয় দলের হয়েও। একতা আর দেশপ্রেম দিয়েই বিশ্বকাপ জিতেছিলেন যুবারা। শরিফুল মনে করেন জাতীয় দলেও একতা ও দেশপ্রেম থাকলে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয়ের মূল শক্তি ছিল- সবাই একত্রে ছিলাম এবং দেশের জন্য লড়েছি। ঐ একতা যদি এখানেও থাকে আর দেশের জন্য লড়তে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ্ মূল বিশ্বকাপও জিততে পারব।’