আফ্রিকায় জন্ম, অস্ট্রেলিয়ায় কর্ম

তাছাড়া আফ্রিকা অঞ্চলের আরেক নিয়মিত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের মান এবং তাঁর সাথে ব্যবস্থাপনার গ্রাফ ক্রমশ নিম্নগামী। এর সাথে দলগুলোতে রয়েছে বর্ণের কোটা। নানান রকমের প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে আফ্রিকা অঞ্চলের ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা পাড়ি জমাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হওয়া এবং জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আফ্রিকা অঞ্চলের ক্রিকেটারদের একটা ছোট্ট তালিকা থাকছে আজ।

পাঁচটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ রয়েছে ক্যাবিনেটে, সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছে একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। রীতিমত ক্রিকেটের পরাশক্তি অস্ট্রেলিয়া। কাগজে-কলমে, মাঠের খেলায় সব খানেই দাপট যেন স্পষ্ট। অপরদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা অন্যতম পরাশক্তি দল ক্রিকেটের। তবে আইসিসির বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট গুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকা যেন খেই হারিয়ে ফেলে নিজেদের। সাফল্যের কেবিনেটে নেই কোন বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের শিরোপা।

তাছাড়া আফ্রিকা অঞ্চলের আরেক নিয়মিত ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের মান এবং তাঁর সাথে ব্যবস্থাপনার গ্রাফ ক্রমশ নিম্নগামী। এর সাথে দলগুলোতে রয়েছে বর্ণের কোটা। নানান রকমের প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়ে আফ্রিকা অঞ্চলের ক্রিকেট খেলোয়াড়েরা পাড়ি জমাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সাথে যুক্ত হওয়া এবং জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা আফ্রিকা অঞ্চলের ক্রিকেটারদের একটা ছোট্ট তালিকা থাকছে আজ।

  • মাইকেল নেসের (দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সাথে সদ্য যুক্ত হওয়া আফ্রিকান খেলোয়াড় মাইকেল নেসের শুরুতেই ক্যারিয়ারের শুরুতেই সুযোগ পেয়েছন দেশটির ক্রিকেটের বনেদি ফরম্যাটে। শুধু যে টেস্ট ক্রিকেটেই তাঁর অভিষেক ঘটেছে তা নয়, তাঁর অভিষেক হয়েছে সবচেয়ে মর্যাদার টেস্ট সিরিজ ‘অ্যাশেজ’-এ, তাও আবার গোলাপি বলের টেস্টে।

স্বপ্নের এক অভিষেক বলাই যেতে পারে। তবে তিনি দলে সুযোগ পেয়েছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স টেস্ট থেকে বাদ পড়ায়। কামিন্স করনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার ফলে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয় অ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্ট থেকে। নিজের অভিষেক সিরিজেই নেসের হয়ত চাইবেন নিজের প্রতিভার ছাপ ফেলে যেতে। যাতে করে তাঁর অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলের একাদশে পুনরায় আসার পথ মসৃণ হয়। ইতোমধ্য়ে প্রথম বোলিং ইনিংসে একটি উইকেট পুরেছেন নেসের নিজের ঝুলিতে।

  • মার্নাস লাবুশেন (দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া)

অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলের এক অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হওয়া লাবুশেনের জন্ম দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে নিজের জন্মভূমিতে কোটায় জর্জরিত হওয়া ক্রিকেটে সুযোগের সম্ভাবনা ক্ষীণ দেখেই তিনি সম্ভবত গায়ে জড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জার্সি। এখন তো তিনি রীতিমত বনে গেছেন একজন তারকা ব্যাটার।

এই বছর এখন পর্যন্ত খেলেছেন চারটি টেস্ট। সেই চার টেস্টে তিনি ৭৫ গড়ে করেছেন ৫২৫। তাছাড়া টেস্টে দ্রুততম ২০০০ রান পার করা খেলোয়াড়দের তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে ইতিহাসের পাতায় নিজের নামটি খোদাই করার পথেই রয়েছেন মার্নাস লাবুশেন। তাছাড়া এখন পর্যন্ত অস্ট্রলিয়ার হয়ে ২০ টেস্টের ৩৫ ইনিংস ব্যাট করে লাবুশেন রান করেছেন ২১১৩। তাঁর ব্যাটিং ক্যারিয়ারে ছয়টি শতকের পাশাপাশি ১২টি অর্ধ-শতক যুক্ত হয়েছে।

  • কেপলার ওয়েসেলস (দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে অস্ট্রেলিয়া)

কেপলার ওয়েসেলস দক্ষিণ আফ্রকা ও অস্ট্রেলিয়া দুই দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। কেপলার ছিলেন একজন বাঁ-হাতি ব্যাটার। তাঁর ক্যারিয়ারে তিনি ওয়ানডে ও টেস্ট মিলিয়ে করেছিলেন প্রায় ছয় হাজার রানের বেশি।

এর পাশাপাশি ওয়ানডেতে তাঁর ১৮টি উইকেটও রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেট নিষেধাজ্ঞায় থাকাকালীন সময়ে কেপলার খেলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে। তবে ক্যারিয়ারের শেষদিকে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়েও প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এবং অবসর গ্রহণ করেছিলেন একজন প্রোটিয়া ক্রিকেটার হিসেবে। অবসরের পর ওয়েসেলস বিভিন্ন পেশা দিয়ে ক্রিকেটের সাথে যুক্ত ছিলেন। কখনো কোচ, কখনো আম্পায়ার কিংবা কখনো ম্যাচ রেফারি হিসেবে।

  • হিলটন কার্টরাইট (জিম্বাবুয়ে থেকে অস্ট্রেলিয়া)  

জিম্বাবুয়ের হারারেতে জন্মগ্রহণ করা হিলটন কার্টরাইট পরিবার সমেত পাড়ি জমিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াতে তাঁর কিশোর বয়সেই। এরপর অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলে যাওয়া কার্টরাইট খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের হয়েও।

তিনি দুইটি করে ওয়ানডে ও টেস্ট খেলেছেন অজিদের হয়ে। ঠিক তাঁর প্রতিভার প্রতিফলন ঘটাতে পারেননি জাতীয় দলের জার্সিতে। ভিন্ন ফরম্যাটের চারটি ম্যাচ থেকে তিনি ব্যাট হাতে সংগ্রহ করেছেন মোট ৫৭ রান। ওয়ানডের দুই ম্যাচেই সাজঘরে ফিরেছেন এক রান করে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...