আইপিএলের পাশে কাউন্টির চার ক্লাব

বিসিসিআইয়ের এমন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের চার কাউন্টি ক্লাব আইপিএলের এবারের আসরের বাকি ৩১টি ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ক্লাব চারটি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) একটি চিঠি দিয়েছে। এদিকে আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের ইংল্যান্ড সফর শেষে আইপিএলে স্থগিত বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের চিন্তা করেছে বিসিসিআই।

করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ভারতে হুট করেই মাঝপথে বন্ধ হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জমজমাট ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি আসন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) এবারের আসর। এ অবস্থায় এবছর ভারতে আর আইপিএল আয়োজন সম্ভব বলে মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা।

করোনার এমন পরিস্থিতিতে বিদেশি ক্রিকেটাররাও আসতে সংকোচ করবে৷ যদি এ বছর আইপিএল আয়োজন না কর‍তে পারে তাহলে দেশটির ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ কোটি রুপির লোকসান গুনতে হবে।

বিসিসিআইয়ের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ডের চার কাউন্টি ক্লাব আইপিএলের এবারের আসরের বাকি ৩১টি ম্যাচ আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ক্লাব চারটি ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে (ইসিবি) একটি চিঠি দিয়েছে। এদিকে আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের ইংল্যান্ড সফর শেষে আইপিএলে স্থগিত বাকি ম্যাচগুলো আয়োজনের চিন্তা করেছে বিসিসিআই। ইংল্যান্ডের চারটি ক্লাব মিডলসেক্স, সারে, ল্যাঙ্কাশায়ার এবং ওয়ারউইকশায়ার আইপিএলের বাকি ম্যাচ গুলো আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।

আগামি ১৪ই সেপ্টেম্বর ভারতের ইংল্যান্ড সফর শেষ হবে। এরপরই পরবর্তী ২০ দিনের মধ্যে আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করতে চায় বিসিসিআই। ভারতের জনপ্রিয় ক্রিকেট ভিত্তিক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফোর তথ্য মতে, লর্ডস-ওভাল (লন্ডন), এজবাস্টন (বার্মিংহাম), ওল্ড ট্রাফোর্ড (ম্যানচেস্টার) ইসিবিকে তাদের সদিচ্ছা জানিয়ে আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে একটি চিঠি দিয়েছে। সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করা যেতে পারে বলেও তথ্য দেয় গণমাধ্যমটি।

এদিকে আগামি বৃহস্পতিবার আইসিসির এক কর্মকর্তা সহ, বিসিসিআই এবং ইসিবির একটি সভা হবার কথা রয়েছে। এতে ইসিবি এই প্রস্তাবটি সবার সামনে তুলে ধরতে পারে৷ এদিকে শুরুতে আরব আমিরাতে আয়োজনের কথা ভাবলেও ভারতের এমন অবস্থায় বিশ্বকাপের নিরপেক্ষ ভেন্যু হিসেবে আরব আমিরাতই আয়োজক হবে।

এতে বিশ্বকাপ ও আইপিএল একই জায়গায় অনুষ্ঠিত হলে পরবর্তীতে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ভাগের খেলায় পিচ স্লো হয়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। সেসব দিক বিবেচনায় জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে ইংল্যান্ডে আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করার।

এদিকে ভারতের ইংল্যান্ড সফর শেষে প্রায় ৩০ ক্রিকেটার সেখানে থাকবে। বাকি যারা আইপিএলের দলে আছেন তাদের প্রত্যেকের কোয়ারেন্টাইন ইস্যু মাথায় রেখে ইংল্যান্ড সফরের ব্যবস্থা করাও বেশ জটিল ব্যাপার হয়ে দাঁড়াতে পারে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...