নুন আনতে পান্তা ফুরাবে কেকেআরের!

কলকাতার হাতে খুব বেশি বাজেট বাকি নেই। তবে তাঁদের দলে প্যাট কামিন্স, অ্যালেক্স হেলস, স্যাম বিলিংসসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের শূন্যস্থান রয়েছে। নিলামে স্বল্প বাজেটে  তাঁদের এই শূন্যস্থানে যথার্থ ব্যক্তিদের দলে ভেড়াতে হবে।

উপমহাদেশে শীত আসি আসি করছে। সেই শীতল হাওয়া যেন ভারতীয় আইপিএলের গরমে উদ্দেলিত হতে শুরু করেছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) যত ঘনিয়ে আসছে, ক্রিকেটপাড়া ততটাই সরগরম হচ্ছে। আইপিএল ট্রেড উইন্ডোর মাধ্যমে ক্রিকেটারদের নিয়ে দলবদল শুরু হয়ে গিয়েছে। এ যেন নিলামের আগেই ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে ফ্রাঞ্চাইজি দলগুলোর মাঝে। কে কার আগে কোন ভালো খেলোয়াড়কে নিজেদের করে নিতে পারেন সেই প্রতিযোগিতা।

বলিউড বাদশাহ শাহ্‌রুখ খানের দল বলেই কিনা কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রতি সবার একটু বিশেষ মনোযোগই থাকে। তবে এবারের আইপিএলের নিলামের আগেই কলকাতা নাইট রাইডার্স যেন বিধ্বংসী সিদ্দ্বান্ত নিলো। প্রায় ষোলজন ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিয়েছে দলটি।

ভাবখানা এমন যেন পুরনোদের বাদ দিয়ে নতুন করে দলকে ঢেলে সাজাতে যাচ্ছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। তাছাড়া তাঁদের তারকা ক্রিকেটার প্যাট কামিন্স, অ্যালেক্স হেলস, স্যাম বিলিংস আগেই জানিয়ে দিয়েছেন এই মৌসুমে তাঁরা এই আইপিএলে খেলছেন না। অন্তত এই খবরের পর কলকাতা নাইট রাইডার্স নড়েচড়ে বসার কথা।

ঘরোয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে কেকেআর অজিঙ্কা রাহানেকে ছেড়ে দিয়েছে। এদিকে পেসার শিবম মাভি, শুভমান গিল, কমলেশ নাগরকোটিকেও বাদ দিয়েছে দলটি। মাভিকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের ধৈর্য শেষ হয়ে গিয়েছে সম্ভবত, কারণ তিনি প্রায়ই ইনজুরিতে ছিলেন। আবার শেলডন জ্যাকসন এবং বাবা ইন্দ্রজিৎকেও বাদ দিয়েছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। বাদ দেওয়া খেলোয়াড়ের তালিকায় আরও রয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামিকা করুনারত্নে ও আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী, আমন খান, অভিজিত তোমর, অশোক শর্মাসহ আরো কয়েকজন।

গেল মৌসুমে বোলিং সাইডে বেশ ভুগতে হয়েছিল দুইবারের আইপিএল জয়ী দলটিকে। তাই তাঁরা এবার বোলিং সাইড শক্তিশালী করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। ট্রেড উইনডোর মাধ্যমে গুজরাট টাইটান্স থেকে নিউজিল্যান্ডের পেসার লকি ফার্গুসনকে ফেরানোর প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে নাইটরা।

ফার্গুসন অবশ্য ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কলকাতার হয়ে খেলেছিলেন।এদিকে আবার দিল্লী ক্যাপিট্যালস থেক বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরকেও দলে ভিড়িয়েছে দলটি। গত মৌসুমে ১৪ ম্যাচে ১৫টি উইকেট এবং ব্যাট হাতে ১২০ রান করেছিলেন শার্দুল।

এদিকে আবার আফগানিস্তানের রহমানুল্লাহ গুরবাজকেও গুজরাটের ফ্রাঞ্চাইজি থেকে কিনে নিয়েছে কলকাতা। তাঁকে দলে নেয়ায় একই সঙ্গে কলকাতার উইকেটরক্ষকের এবং ওপেনারের ভূমিকার সমাধান হয়েছে। গুরবাজকে কেনার জন্য বিপুল পরিমাণ খরচ করেছে ফ্রাঞ্চাইজিটি। এদিকে আবার নিজেদের পুরানো খেলোয়াড় সুনীল নারাইন এবং আন্দ্রে রাসেলের উপর বিশ্বাস রেখে তাঁদের ধরে রেখেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

গত মৌসুমটা একেবারেই ভালো যায়নি কলকাতার। পয়েন্ট তালিকায় সাত নম্বরে থেকে মৌসুম শেষ করেছিল কলকাতা। তাই ব্যর্থতা গুছিয়ে এবার নতুন করে দল সাজিয়ে আইপিএল মিশনে নামবে দলটি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর কোচিতে বসবে নিলামের আসর।

কলকাতার হাতে খুব বেশি বাজেট বাকি নেই। তবে তাঁদের দলে প্যাট কামিন্স, অ্যালেক্স হেলস, স্যাম বিলিংসসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের শূন্যস্থান রয়েছে। নিলামে স্বল্প বাজেটে  তাঁদের এই শূন্যস্থানে যথার্থ ব্যক্তিদের দলে ভেড়াতে হবে। তারপরই জানা যাবে কলকাতার হয়ে আর কারা কারা খেলবেন এই মৌসুমে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...