দ্বিতীয় টেস্টের আত্মবিশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক এবং হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। আর দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির সম্ভবনা তৈরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। এই ফ্ল্যাট উইকেটে বোলারাও মোটামুটি ভালোই বল করেছেন। তাই ম্যাচ শেষে দলগত পারফর্মের প্রশংসা করেছেন মুমিনুল হক।

পালেকেল্লেতে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্র হয়েছে। রান বন্যার এই ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়েই দাপট দেখিয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। এই ম্যাচে একটি ডাবল সেঞ্চুরির সাথে সেঞ্চুরি হয়েছে তিনটি। ব্যাটিং স্বর্গে ম্যাচ ড্র হওয়ার পর দুই দলের অধিনায়কই ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করেছেন।

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক এবং হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। আর দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির সম্ভবনা তৈরি করেছিলেন তামিম ইকবাল। এই ফ্ল্যাট উইকেটে বোলারাও মোটামুটি ভালোই বল করেছেন। তাই ম্যাচ শেষে দলগত পারফর্মের প্রশংসা করেছেন মুমিনুল হক।

মুমিনুল বলেন, ‘এটি দলগত পারফরম্যান্স ছিলো। সবাই সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছে। বিশেষ করে শান্ত। তামিম ও মুশফিক গুরুত্বপূর্ণ নক করেছিলো। বিশেষ করে তাসকিন এবং স্পিনাররা সত্যিই অনেক চেষ্টা করেছে। আপনি যখন প্রথম টেস্ট ভালো ভাবে শুরু করবেন, এটি অবশ্যই আপনাকে পরবর্তী ম্যাচে আত্ববিশ্বাস দেবে।’

মুমিনুলের সাথে করুনারত্নেও ব্যাটসম্যানদের প্রশংসা করলেও এমন উইকেটকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। ম্যাচ শেষে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক জানিয়েছেন এমন উইকেট কাম্য নয়। উইকেটে বোলারদের জন্য কিছু হলেও থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমার কঠিন সময় গেছে। তাই আমি এটা পুরোপুরি কাজে লাগাতে চেয়েছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম উইকেটে গতি এবং এবং বাউন্স থাকবে। তবে উইকেট ফ্ল্যাট ছিলো। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সত্যিই দুর্দান্ত খেলেছে।’

করুনারত্নে আরো বলেন, ‘বোলারদের জন্য তেমন কিছুই ছিল না, এটি ছিলো ব্যাটিং স্বর্গ। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটসম্যানদের জন্য কঠিন ছিলো না। এই ধরণের উইকেটে আমরা তেমন কিছুই করতে পারিনি। বোলারদের উইকেটে কিছু দরকার। কারণ জয়ের জন্য ২০ উইকেট প্রয়োজন।’

শ্রীলঙ্কায় গিয়ে তিন দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর অনুশীলন করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এরপর থেকে আবার জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবলে থাকতে হচ্ছে তাদের। মুমিনুল হক জানিয়েছেন এটার সাথে সমন্বয় করে নিয়েছেন তারা।

তিনি বলেন, ‘আপনি যখন দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন তখন আপনাকে জৈব সুরক্ষা বায়ো বাবল ও বিধিনিষেধের সাথে সমন্বয় করতে হবে। আপনাকে সেই অনুযায়ী সমন্বয় করতে হবে মানসিক ভাবে সুস্থ থাকতে হবে।’

প্রথম টেস্ট ড্র হয়ে যাওয়ার পর শেষ টেস্ট টাতেই এখন সিরিজের ভাগ্য নির্ধারন হবে। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী এক মে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...