ক্রীড়াঙ্গনের খরুচে বিবাহ বিচ্ছেদ!

জনপ্রিয় হবার নানা সুবিধা থাকলেও অনেক সময়েই মুখোমুখি হতে হয় নানা অপ্রিয় সত্যের। গোপনীয়তা বজায় রাখার সুযোগ এক প্রকার থাকেই না। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদদের নানা কেলেঙ্কারিতে সরগরম হয়েছে গোটা বিশ্ব। কেলেঙ্কারিতে ফলে অনেকের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে, হারাতে হয়েছে অর্ধেক সম্পত্তিও।

জনপ্রিয় হবার নানা সুবিধা থাকলেও অনেক সময়েই মুখোমুখি হতে হয় নানা অপ্রিয় সত্যের। গোপনীয়তা বজায় রাখার সুযোগ একপ্রকার থাকেই না। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রিয় ক্রীড়াবিদদের নানা কেলেঙ্কারিতে সরগরম হয়েছে গোটা বিশ্ব। 

কেলেঙ্কারিতে ফলে অনেকের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে, হারাতে হয়েছে অর্ধেক সম্পত্তিও। আসুন দেখে নেয়া যাক, ক্রীড়াবিদদের ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি অর্থ মূল্যের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা।  

  • টাইগার উডস এবং এলিন নর্দেগ্রিন

নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন গলফ সুপারস্টার টাইগার উডস। ২০০৯ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় পর উডসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের খবর ফাঁস হয়ে যায়। এরপর আদালতে ক্ষমা চেয়েও শেষ রক্ষা হয়নি, ছয় বছরের সংসার জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দেন তাঁর স্ত্রী এলিন নর্দেগ্রিন। 

তাঁদের ডিভোর্স ক্রীড়াবিদদের ইতিহাসের অন্যতম বিতর্কিত এক অধ্যায়ের জন্ম দেয়। আর্থিকভাবে এটাই ছিল সবচেয়ে বেশি অর্থের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা। উডসকে ৭১০ মিলিয়ন ডলারের পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতির জন্য অতিরিক্ত ১৭২ মিলিয়ন ডলার দিতে হয় এলিনকে।

  • রোমান আব্রামোভিচ এবং এরিনা আব্রামোভিচ

চেলসির সাবেক মালিক রোমান আব্রামোভিচ একজন রাশান ব্যবসায়ী। এছাড়া রাশিয়ার প্রেডিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কাছের লোক হিসেবেও পরিচিত তিনি। ব্যবসায়ী হিসেবে খ্যাতি পাবার আগেই ইরিনার সাথে বিবাহ বন্ধনের আবদ্ধ হন রোমান।

কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে ১৬ বছর একত্রে কাটানোর পর ২০০৭ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন দুজনে। রাশিয়ার আইন অনুসারে ডিভোর্সের পর দুজনেই সমান সম্পত্তির ভাগিদার হবার নিয়ম থাকলেও রোমান ভাগ্যবান ছিলেন। তাঁর সম্পত্তির মোটে ১.৬৭% তথা ৩০০ মিলিয়ন ডলারে সমঝোতায় আসেন ইরিনা। এছাড়া মুদ্রাস্ফীতি বাবদ অতিরিক্ত ২ মিলিয়ন দিতে হয় রোমানকে। 

  • মাইকেল জর্ডান এবং জুয়ানিতা জর্ডান

২০০৬ সালে নিজের স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বাস্কেটবল তারকা মাইকেল জর্ডান। জুয়ানিতার সাথে ১৭ বছর সংসার জীবন কাটানোর পর জর্ডানের বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা চমক হয়ে এসেছিল গোটা বিশ্ববাসীর জন্য। ডিভোর্স বাবদ ১৬৮ মিলিয়ন ডলার ছাড়াও মুদ্রাস্ফীতির জন্য ৫৮ মিলিয়ন অতিরিক্ত প্রদান করতে হয় জর্ডানকে। 

  • গ্রেগ নরম্যান এবং লরা আন্দ্রাসি

অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত উদ্যোক্তা এবং গলফার হিসেবে সুখ্যাতি আছে গ্রেগ নরম্যানের। নিজের জীবনের প্রায় ২৬ বছর লরা আন্দ্রাসির সাথে কাটিয়েছেন একই ছাদের তলায়। বিনা মেঘে বজ্রপাতের মত ২০০৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন এই দম্পতি। ১০৩ মিলিয়ন ডলারের পাশাপাশি অতিরিক্ত ৩২ মিলিয়ন প্রদান করতে হয়েছিল নরম্যানকে।

  • ল্যান্স আর্মস্ট্রং এবং ক্রিস্টিন আর্মস্ট্রং

২০০৩ সালে উঠতি এক গায়িকার সাথে কেলেঙ্কারিতে জড়ান আমেরিকান সাইক্লিস্ট ল্যান্স আর্মস্ট্রং। ফলশ্রুতিতে তাঁর সাথে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাঁর স্ত্রী ক্রিস্টিন আর্মস্ট্রং। আদালতের রায় অনুসারে ২০ মিলিয়ন ডলারের পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি বাবদ অতিরিক্ত পাঁচ মিলিয়ন পান ক্রিস্টিন। বিবাহবিচ্ছেদের সেই ঘটনা ভালোই বিপাকে ফেলেছিল ল্যান্স আর্মস্ট্রং কেননা তিনি তখন সবেমাত্র ১০০ মিলিয়নের ক্লাবে প্রবেশ করেছিলেন। 

  • মাইক টাইসন এবং রবিন গিভেন্স

আট বছর সংসারজীবন কাটানোর পর ১৯৮৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন আমেরিকান বক্সার মাইক টাইসন এবং মডেল রবিন গিভেন্স। অবশ্য কয়েক বছর আগে থেকেই দুজনের মাঝে টানাপোড়েন চলছিল। টাইসন প্রকাশ্যেই গিভেন্সকে সুযোগসন্ধানী বলে আখ্যায়িত করেন। অবশেষে আদালতের মধ্যস্থতায় ১০ মিলিয়ন ডলার এবং ২ মিলিয়ন মুদ্রাস্ফীতি মূল্যের বিনিময়ে ডিফোর্স নেন দুজনে। 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...