দু’বছরেও ফিরবেন না পান্ত

দিল্লী-দেহরাদুন মহাসড়কে গত ডিসেম্বরে ভয়ংকর এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষাভ পান্ত। তাতে হাঁটুর মূল তিনটি লিগামেন্টই ছিড়ে গিয়েছিল এ উইকেট রক্ষক ব্যাটারের। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিটকে যান তিনি। আগেই জানা গিয়েছিল এবারের আইপিএলের আগে অন্তত মাঠে ফেরা হচ্ছে না তাঁর। তবে নতুন খবর বলছে, ২০২৩ সাল তো বটেই, ২০২৪ সালেও পান্ত মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। 

দিল্লী-দেহরাদুন মহাসড়কে গত ডিসেম্বরে ভয়ংকর এক সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার ঋষাভ পান্ত। তাতে হাঁটুর মূল তিনটি লিগামেন্টই ছিড়ে গিয়েছিল এ উইকেটরক্ষক ব্যাটারের। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছিটকে যান তিনি।

আগেই জানা গিয়েছিল এবারের আইপিএলের আগে অন্তত মাঠে ফেরা হচ্ছে না তাঁর। তবে নতুন খবর বলছে, ২০২৩ সাল তো বটেই, ২০২৪ সালেও পান্ত মাঠে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বেশ সংশয় প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা।

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, আগামী ১৮ মাসের জন্য মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে পান্তকে। সে হিসেবে এবারের আইপিএল সহ আগামী আইপিএল আসরেও তাঁকে পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। একই সাথে এ বছরে ঘরের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপও তিনি মিস করতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া, চলমান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপেও আর তাঁকে পাওয়া যাবে না। এমনকি আগামী ২০২৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও তাঁকে মাঠের বাইরে কাটাতে হতে পারে।

গুরুতর এ ইনজুরিরে পরে দু’বার অস্ত্রোপচার হয়েছিল পান্তের শরীরে। কিন্তু তাতেও পুরো চোট সারেনি। ছয় মাস বাদে আরো একবার অস্ত্রোপচার হবে পান্তের। এর আগে প্রথমে তাঁর ডান পায়ের হাঁটু ও তার পরে ডান পায়ের গোড়ালির লিগামেন্টে অস্ত্রোপচার হয়েছিল।

বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) ক্রীড়া অস্থি বিশেষজ্ঞ দিনেশ পরদিওয়ালার নেতৃত্বে এ অস্ত্রোপচার করা হয়। আর এখন থেকে পান্ত ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালের ক্রীড়া বিজ্ঞান এবং সুস্থতা বিভাগের প্রধান বৈভব দাগার অধীনে থাকবেন। সেখান থেকেই তাঁর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে।

ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড- বিসিসিআই অবশ্য সামনে ওয়ার্ল্ড কাপে পান্তকে পাওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী ছিল। কিন্তু পান্তের বর্তমান অবস্থাতে বছরের শেষ দিকে তাঁর চোট সারলেও ম্যাচ খেলার মতো ফিট হতে বেশ সময় লাগবে। তাই অতি নাটকীয় কিছু না হলে, নিশ্চিতভাবেই আসন্ন বিশ্বকাপটি তিনি মিস করতে যাচ্ছেন।

এখন দেখার বিষয় হলো, এমন ইনজুরির কারণে পান্তের ক্যারিয়ার ঠিক কোনদিকে মোড় নেয়। এমনিতে ভারতের এই দলটাতে নিজের জায়গা ধরে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত ক্রিকেটারদের লড়ে যেতে হয়। সেখানে পান্ত দলে থাকবেন না প্রায় দেড় বছর।

স্বাভাবিক ভাবেই এই দীর্ঘ সময়ের অনুপস্থিতি তাঁর জায়গাকে নড়বড়ে করে দিতে পারে। এমনকি দীর্ঘ ১৮ মাসের এই বিরতিতে ক্যারিয়ারের শেষও দেখে ফেলতে পারেন পান্ত। কারণ দীর্ঘদিন পর দলে ফিরেই যে তিনি আগের মতো পারফর্ম করবেন সেটারও তো কোনো নিশ্চয়তা নেই।

অবশ্য লাল বলের ক্রিকেটে ঋষাভ পান্ত বেশ দারুণ গতিতে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসরের পর তাঁর অভাবটা বেশ ভালভাবেই পুষিয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে গ্যাবার সেই ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের নায়ক তো ছিলেন তিনিই।

সাদা পোশাকে দুর্দান্ত ফর্মের কারণে গতবছরের বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের মনোনয়নও পেয়েছিলেন পান্ত। কিন্তু হঠাৎ এক ইনজুরি এসে সব কিছু থামিয়ে দিল। এখন কবে নাগাদ তিনি মাঠে ফিরবেন সেটিও অজানা। এমন এক সময়ে একটা প্রশ্নই শুধু উঁকি দেয়, এই ইনজুরিতে সম্ভাবনার এক অপমৃত্যু হল না তো?

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...