শোয়েব-সানিয়ার ‘বিচ্ছেদ’

ক্রীড়াঙ্গনের প্রথিতযশা তারকা তাঁরা। লম্বা সময় ধরে সংসার করছিলেন কোনো রকম গুঞ্জন আর গুজবকে তোয়াক্কা না করেই। সেই শোয়েব মালিক ও সানিয়া মির্জার সংসারেই এবার টানাপোড়েন। আর সেটা নাকি এতটাই যে রীতিমত বিবাহ বিচ্ছেদও হতে পারে তাঁদের।

ভারতীয় ও পাকিস্তানি কিছু গণমাধ্যম বলছে, একটা বিজ্ঞাপনের অংশ নিতে গিয়ে অন্য এক নারীর সাথে সম্পর্কে জড়ান শোয়েব মালিক। তেমন খবর জানাজানি হওয়ার পরই, সকলের নজর এসে পড়েছে শোয়েব-সানিয়ার সম্পর্কের ওপর। গুঞ্জন আরও বেড়েছে সানিয়ার ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি দেওয়ার পর।

সেখানে একটি স্টোরিতে সানিয়া লেখেন, ‘ভাঙা হৃদয় কোথায় যায়?’ সৃষ্টিকর্তাকে খুঁজতে।’ ছেলের সঙ্গে একটি ছবিও পোস্ট করেন তিনি। তাতে দেখা যাচ্ছে, মায়ের নাকের উপর চুমু খাচ্ছে সানিয়া-পুত্র ইজহান মির্জা মালিক। সানিয়া ছবিতে ক্যাপশন দিয়ে লিখেছেন, ‘যে মুহূর্তগুলো কঠিন সময় পার করে দেয়।’

‘কঠিন সময়’ বলতে সানিয়া কি বুঝিয়েছেন, সেটা জানা না গেলেও নেটিজেনদের মতে সেটা শোয়েব মালিকের সাথে বিচ্ছেদের সাথে সম্পর্কিত। যদিও, দু’জনেরই কেউই এই বিচ্ছেদ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মুখ খোলেননি।

ক’দিন আগে শোয়েব ও সানিয়া – দু’জনকে এক সাথে ছেলের জন্মদিন উদযাপন করতেও দেখা গেছে। সেই জন্মদিনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোয়েব মালিক পোস্ট করলেও সানিয়া করেননি। সূত্রের খবর হল, সানিয়া এবং শোয়েব এখন আর একসঙ্গে থাকছেন না। যদিও, তাঁদের একমাত্র সন্তানকে দু’জন মিলেই দেখাশোনা করছেন।

২০১০ সালে এই জুটি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৮ সালে তাঁদের একমাত্র সন্তানের জন্ম হয়। দুবাইয়ে বিলাসবহুল এক বাড়িতে তাঁদের সংসার।

শোয়েব মালিক হলেন এখনকার ক্রিকেট দুনিয়ার গুটিকয়েক মানুষদের একজন যারা ২০০০ সালের আগে আন্তর্জাতিক ময়দানে অভিষিক্ত হওয়ার পরও খেলে যাচ্ছেন। যদিও, পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে তাঁকে রাখেনি। আর সেই অভাবটাও ঠিকই টের পাচ্ছে বাবর আজমের দল।

মালিক বর্তমানে ক্রিকেট শো ‘আস্ক দ্য প্যাভিলিয়ন’-এ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনুস ও মিসবাহ উল হকদের সাথে। সেখানেই তাঁর কাছে সানিয়া মির্জার টেনিস অ্যাকাডেমির ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়। শোযেব মালিক বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমার তেমন কোনো ধারণা নেই। আমি ওর কোনো অ্যাকাডেমিতেই কখনও যাইনি।

জবাবে ওয়াকার ইউনুস মজা করে বলেছিলেন, ‘তুমি কেমন স্বামী বলো তো!’ ওয়াকার নেহায়েৎ মজা করে বললেও – ভক্ত সমর্থক কিংবা গণমাধ্যম বেশ সিরিয়াস হয়েই এবার এই প্রশ্নটা করছে!