টেস্টের রাস্তা বিশ্বকাপ হয়ে যায়

স্কটল্যান্ড বর্তমানে আইসিসির সহযোগী দেশ। তবে তাঁরা খুব করে চাইছেন পরবর্তী সংযোজনে তাঁরা যেন বনে যেতে পারেন আইসিসির পূর্ণ সদস্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই খেলে যাচ্ছেন ক্যালাম ম্যাকলিওডরা। তিনি তাঁদের এবারের বিশ্বকাপপের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, ‘আমরা মূল সদস্য হওয়ার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে থাকতে চাই। যাতে করে পরবর্তীতে মূল দল সংযোজনে আমরা যেন অন্যতম বিকল্প হতে পারি।’

বিশ্বকাপে খেলা সব দলের লক্ষ্য থাকে শিরোপা জেতা। সেটা যেকোন বিশ্বকাপই হোক। জেতা যাক কিংবা না যাক। নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের এক বড় মঞ্চ এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলো তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আইসিসির সহযোগী দেশগুলো এ সকল বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে খেলতে আসে বিভিন্ন ধরণের লক্ষ্য নিয়ে।

কেউ আসেন নিজেরদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে। কারো কারো মনে হয় বড় দলগুলোর সাথে খেলতে পারলে অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারী হবে খানিকটা। কেউ চান তাঁদের ভাল পারফর্মেন্স দিয়ে দেশের মানুষের মন জয় করতে, ক্রিকেটাকে নিজেদের দেশে ছড়িয়ে দিতে।

স্কটল্যান্ড খানিকটা ভিন্নধর্মী লক্ষ্য নিয়ে এবারের টি-টোয়ান্টি বিশ্বকাপে হাজির হয়েছেন। লক্ষ্যে অটুট বলা চলে। ইতিমধ্যেই তাঁরা বাছাইপর্ব উতরে গেছেন বিনা পরাজয়ে। এমনকি নিজেদের গ্রুপে থাকা বাংলাদেশের মতো অভিজ্ঞ  দলকেও হারিয়ে দিয়েছে স্কটল্যান্ড। মূল পর্বে তাঁদের প্রথম প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান।

স্কটল্যান্ড বর্তমানে আইসিসির সহযোগী দেশ। তবে তাঁরা খুব করে চাইছেন পরবর্তী সংযোজনে তাঁরা যেন বনে যেতে পারেন আইসিসির পূর্ণ সদস্য। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই খেলে যাচ্ছেন ক্যালাম ম্যাকলিওডরা। তিনি তাঁদের এবারের বিশ্বকাপপের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, ‘আমরা মূল সদস্য হওয়ার দৌড়ে সবার থেকে এগিয়ে থাকতে চাই। যাতে করে পরবর্তীতে মূল দল সংযোজনে আমরা যেন অন্যতম বিকল্প হতে পারি।’

স্কটল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার আরো বলেন, ‘আপনারা যদি একটু খেয়াল করেন তাহলে দেখতে পাবেন আফগানিস্তান ও আয়াল্যান্ড বিশ্বকাপকেই তাঁদের মূল অস্ত্র বানিয়েছিলেন টেস্ট স্ট্যাটাস কিংবা পূর্ণ সদস্য হবার লক্ষ্যে।” সর্বশেষ ২০১৭ সালে আইসিসির সদস্য দেশের সংখ্যা ১০টি থেকে বেড়ে গিয়ে দাঁড়ায় ১২টিতে। আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড সেবার টেস্ট স্ট্যাটাস পায় এবং সহযোগী দেশ থেকে মূল সদস্য দেশে উন্নিত হয়।’

ক্রিকেটের আভিজাত্য, সম্মানের পুরোটা জুড়েই রয়েছে টেস্ট। ক্রিকেট খেলুড়ে সবগুলো দেশের মূল লুক্ষ্য থাকে সম্মানের মর্যাদার ওই সাদা জার্সি এবং লাল বলের ক্রিকেটে পদার্পণ করা। আইসিসি তাঁর এই মর্যাদাপূর্ণ ফরম্যাট নিয়ে থাকেন বেশ সতর্ক। তাই হাজার কাঠ-খড় পুড়িয়েও যায়গা মেলে না সাদা পোশাকের এলিট দলে।

ইংল্যান্ডের মতো ক্রিকেটীয় পরাশক্তি দলকে ওয়ানডেতে হারানোর সুখস্মৃতিও রয়েছে স্কটল্যান্ডের। বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টির বাছাই পর্বের তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় পাওয়া স্কটিশরা বেশ উজ্জিবিত মূল পর্বের খেলাকে সামনে রেখে। ম্যাকলিওড আরো বলেন, ‘আমরা ম্যাচের মধ্যেই ছিলাম। আমরা জানি আবহাওয়া, ম্যাচের মোমেন্টাম বুঝে পদক্ষেপ নেওয়াও জানি আমরা। অন্যদিকে আফগানরা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে। তাঁরা স্বাভাবিক ভাবেই একটু সমস্যায় পড়বে। আমরা সেই সুযোগটা কাজে লাগিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিতে মুখিয়ে আছি।’

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সহযোগী দুই দেশ স্কটল্যান্ড ও প্রথম বারের মতো খেলতে আসা নামিবিয়া উঠেছে মূল পর্বে। দুই দলের লক্ষ্য হয়ত ভিন্ন, খেলার ধরণেও রয়েছে ভিন্নতা। তবে দুই দলই চাইবে এইবারের বিশ্বকাপে নিজেদের ছাপ ফেলে যেতে।

সত্যিকার অর্থেই সহযোগী দেশগুলোর সুযোগ কম। তাঁদের সামর্থ্য, শক্তিমত্তা প্রমাণের সর্বোচ্চ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ মঞ্চ বিশ্বকাপ। সব দল তাঁদের নিজ নিজ লক্ষ্য পূরণে সফল হোক। ক্রিকেটে আসুক নতুন দল। বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয়তা পাক ক্রিকেট।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...