দ্য আদার ম্যারাডোনা
আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ষোল জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে তিনি খেলেছিলেন গোটা এগারোটা ম্যাচ। ১৯৮৫ অনূর্ধ্ব ষোল সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৫ সালে চীনে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ষোল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছিলেন এবং কঙ্গোর বিরুদ্ধে জোড়া গোলও করেছিলেন।
আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব ষোল জাতীয় ফুটবল দলের জার্সি গায়ে তিনি খেলেছিলেন গোটা এগারোটা ম্যাচ। ১৯৮৫ অনূর্ধ্ব ষোল সাউথ আমেরিকান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৫ সালে চীনে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ষোল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলেছিলেন এবং কঙ্গোর বিরুদ্ধে জোড়া গোলও করেছিলেন।
খেলতেন মাঝমাঠে। অনেক আশা ও স্বপ্ন ছিল তাকে ঘিরে ফুটবলেপ্রমীদের মাঝে। মাত্র আঠার বছর বয়সেই আর্জেন্টিনোস জুনিয়র ক্লাব থেকে অনেক আশা নিয়ে ইতালির সিরি ‘এ’ ক্লাব এসকোলি তাঁকে নিয়ে আসে ইউরোপের মাটিতে।
কিন্তু তারপরই, ক্রমাগত ব্যর্থতা যেন তাঁর নিত্যসঙ্গী হয়ে ওঠে। এরপর ইতালি, স্পেন, অস্ট্রিয়ার নানা ক্লাবে খেললেও নজর কাড়তে পারেননি কোথাও। ১৯৯২ সালে বাধ্য হয়েই চলে আসেন জে লিগ খেলতে জাপানে।
বছর ছয়েক জাপানের নানা ক্লাবে খেললেও, ইউরোপ ও লাতিন আমেরিকার ফুটবলের মূলস্রোতে ফিরতে পারেন নি আর কখনও। ১৯৯৯ সালে কানাডার একটি ক্লাব থেকে খেলে অবসর নিয়ে নেন , বয়স তখন তাঁর মাত্র ত্রিশ।
খেলা ছাড়ার পর চেষ্টা করেছিলেন কোচিং করারও। কিন্তু পুয়ের্তো রিকোর একটি ক্লাব দলকে ছাড়া আর সেভাবে সুযোগও পাননি। শেষমেশ ইতালির নেপলস অঞ্চলে কচিকাঁচাদের কোচিং করিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন।
আর্জেন্টিনা সিনিয়র জাতীয় দলে খেলা তো দূরের কথা, অনূর্ধ্ব ষোল জাতীয় দল ছাড়া আর কোনো রকম আর্জেন্টিনা বয়সভিত্তিক দলেও সুযোগ পাননি নিয়মিতভাবে। না ছাপ ফেলতে পেরেছেন কোনো প্রথম সারির ক্লাব ফুটবলে। এমন পরিসংখ্যান ও পারফরমেন্স নিয়ে বহু ফুটবলার হারিয়ে গেছেন ফুটবল প্রেমীদের বিস্মৃতির অতলে।
কিন্তু, তাঁকে মনে রেখেছে মানুষ। এমনকি ১৯৮৬ সালে যখন দিয়েগো আর্মান্দো মারাদোনা নামক বেটেখাঁটো আরেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার সারা বিশ্বকে সম্মোহিত করে হয়ে উঠেছিলেন প্রায় ফুটবলের ঈশ্বরস্বরূপ, তখনও দিয়েগোর সাথে সাথে উঠে আসতো সেই সময়ে অনূর্ধ্ব ষোল আর্জেন্টিনা দলে খেলা সেই ফুটবলারটির নামও।
কারণ, তিনিও তো ডিয়েগোর মতোই উঠে এসেছিলেন একই একই এলাকা, একই আর্থসামাজিক পরিবেশ এমনকি একই পরিবার থেকেই । তাঁর নামের শেষেও তো আছে ডিয়েগোর মতোই একই পদবী – ‘ম্যারাডোনা’ । হ্যাঁ, তিনি প্রয়াত ডিয়েগো ম্যারাডোনার সহোদর হুগো ম্যারাডোনা। দাদার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর কিছু দিনের মধ্যেই যিনি পারি জমান প্রিয় দাদার কাছে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৫২ বছর বয়সে প্রয়াত হন কিংবদন্তি ম্যারাডোনার ভাই ব্যর্থ ফুটবলার হুগো হার্নান ম্যারাডোনা। কোচ হিসেবেও কিছুদিন কাজ করেছিলেন, কিন্তু বড় ভাইয়ের মত তিনিও এখানে সাফল্য পাননি তেমন।