আশা হারিয়ে ফেলেছে আর্জেন্টিনা

একটা অপ্রত্যাশিত দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হয়েছে টিম আর্জেন্টিনা। এবারের বিশ্বকাপটি ছিল লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ। সেই হিসেবে মেসির জন্য এর গুরুত্ব অন্যরকম, পুরো আর্জেন্টিনা দল এবং সমর্থকরাও এবারের বিশ্বকাপে সফলকাম হতে মরিয়া। অথচ সেই আসরের শুরুটাই হয়েছে একেবারে অঘটনের মধ্য দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই হতাশা বিরাজ করছে পুরো আর্জেন্টাইন শিবিরে।

একটা অপ্রত্যাশিত দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হয়েছে টিম আর্জেন্টিনা। এবারের বিশ্বকাপটি ছিল লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ। সেই হিসেবে মেসির জন্য এর গুরুত্ব অন্যরকম, পুরো আর্জেন্টিনা দল এবং সমর্থকরাও এবারের বিশ্বকাপে সফলকাম হতে মরিয়া। অথচ সেই আসরের শুরুটাই হয়েছে একেবারে অঘটনের মধ্য দিয়ে। স্বাভাবিকভাবেই হতাশা বিরাজ করছে পুরো আর্জেন্টাইন শিবিরে।

খেলাশেষে সংবাদ সম্মেলনে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে মেসির সমর্থন চেয়ে বার্তা, ম্যাচ শেষে টিম বাসে পিনপতন নীরবতা, বিমর্ষ ডিনার- সবমিলিয়ে আর্জেন্তাইন খেলোয়াড়রা বড্ড কঠিন সময় পার করছেন। এমনকি রাতের ঘুমও যে উবে গেছে তাঁদের একথা তো অনুমেয়।

মেসি তাঁর সতীর্থদের অবস্থা প্রকাশ করতে গিয়ে বললেন, ‘সত্য হলো, তাঁরা একেবারেই মরে গেছে। এটি খুব কঠিন ধাক্কা কারণ আমরা এইভাবে বিশ্বকাপ শুরু করার আশা রাখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তিনটি পয়েন্টের আশায় ছিলাম, যা আমাদের বাকি ম্যাচগুলোর আগে কিছুটা স্বস্তি দিত। সবকিছুর পেছনেই একটা কারণ থাকে। সামনে যা আছে তাঁর জন্য আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

পরাজয়ের পর থেকেই আলবিসেলেস্তেরাদের শিবিরে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। স্টেডিয়ামের লকার রুমে মেসির কাছ থেকে খুব বেশি শব্দ আসেনি। খুব সম্ভবত পরিস্থিতি হজম করতে পারছিলেন না ফুটবলের এই জাদুকর। ভাষাহীন ছিলেন দলের বাকিরাও।

টিম বাসে যখন তাঁরা কাতারের মরুভূমি পার করছিলেন তখন মেসি উঠে দাঁড়ালেন। শত হলেও অধিনায়ক বলে কথা। এইসব টানপোড়েনের সময় শক্ত হাতে তাঁকেই সামলাতে হবে। সবার উদ্দেশ্যে মেসি দলটি কতটা শক্তিশালী, সবাই মিলে এখান থেকে সামনে এগিয়ে যেতে যে সক্ষম একথাই মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন। দলের সবাইকে আরও শক্তিশালী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন লিওনেল মেসি।

কাতার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে আর্জেন্টিনা দলটি। গন্তব্যে পৌছানোর পর দলের ম্যানেজার স্কালোনি এবং কোচিং স্টাফরা মিলে দল নিয়ে একটি মিটিংয়ে বসেন। সেখানে তাঁদের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। আলবিসেলেস্তেরা স্কোয়াডের বেশিরভাগ ফুটবলারের এটি প্রথম বিশ্বকাপ। তাই এইসব পরিস্থিতিদের তাঁদের মানসিকভাবে আত্মবিশ্বাসী রাখা বড্ড গুরুত্বপূর্ণ। তারপর দলের সবাই মিলে ডিনার করেছে, যেখানেও খুব একটা শোরগোল ছিলনা।

সব মিলিয়ে একটি খারাপ রাত পার করেছে টিম আর্জেন্টিনা। মরুর দেশে মরুভূমিতে আটকে পড়া দিশাহীন পথিকের মতোই ছিল তাঁদের অবস্থা। তবে দলটিকে সব হতাশা ভুলে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। একটি হার মানে সব এখানেই শেষ নয়। ঘুরে দাঁড়িয়ে বাকী ম্যাচগুলোতে শক্তিমত্তার পরিচয় দিতে হবে মেসিদের। সেই লক্ষে তাঁদের প্রশিক্ষণের সময়েও পরিবর্তন এনেছে দলটির ম্যানেজমেন্ট। আপাতত মেক্সিকো ও পোল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দুইটির দিকেই চোখ থাকবে বিশ্বের সকল আর্জেন্টাইন সমর্থকদের।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...