চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে উন্মুক্ত চাঁদ

এরপর ঢাকা ডমিনেটর্স দলে ভিড়িয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটার শান মাসুদকে। বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোয় এমনিতেই একটা বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছিল ড্রাফট রুমে। তবে সেই উত্তেজনা চূড়ান্ত হল যখন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একজন ভারতীয় ক্রিকেটার দলে ভেড়ালেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথমবারের মত দেখা যাবে একজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে।

প্রথম দুই সেটেই একজন করে লোকাল ক্রিকেটার দলে ভেড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলো। বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোর সুযোগ এল এরপর। সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি একজন করে বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভেড়াতে পারবে। লটারিতে প্রথমেই ডাকার সুযোগ পেল খুলনা টাইগার্স। দলটার কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন দলে ডেকে নিলেন দাসুন শানাকা।

এরপর ঢাকা ডমিনেটর্স দলে ভিড়িয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটার শান মাসুদকে। বিদেশি ক্রিকেটারদের দলে ভেড়ানোয় এমনিতেই একটা বাড়তি উত্তেজনা কাজ করছিল ড্রাফট রুমে। তবে সেই উত্তেজনার চূড়ান্ত হল যখন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স একজন ভারতীয় ক্রিকেটার দলে ভেড়ালেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথমবারের মত দেখা যাবে একজন ভারতীয় ক্রিকেটারকে।

উন্মুক্ত চাঁদ ড্রাফটের তালিকায় থাকার পর থেকেই একটা আলাদা আগ্রহ কাজ করছিল সমর্থকদের মাঝে। অবশেষে ভারতের একজন ক্রিকেটার বুঝি বিপিএলে খেলবেন। সেই আশাই পূরণ করল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ড্রাফট থেকে প্রথম বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবেই দলে উন্মুক্ত চাঁদকে দলে নেয় তাঁরা।

ওদিকে ভারতের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক উন্মুক্ত চাঁদ। যদিও, ভারতীয় ক্রিকেট থেকে তিনি আগাম অবসর নিয়ে ফেলেছেন। তিনি এখন থাকেন মূলত আমেরিকায়। সেখানে মেজর লিগ ক্রিকেট খেলেন। হয়তো, সব ঠিকঠাক থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলে ফেলবেন।

অবসর নিয়ে ফেলায় বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কোনো বিধি-নিষেধ তাঁর ক্ষেত্রে খাটে না। তাই ফ্র্যাঞ্চাইজি আসর চাইলে খেলতে পারেন। বিগব্যাশে তিনি মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে খেলেছেন।

চাঁদ অবশ্য এর আগেও এসেছেন বাংলাদেশ। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট  লিগে তিন মৌসুম খেলেছেন। তবে বিপিএল ড্রাফট কিংবা দলে এই প্রথম কোন ভারতীয় ক্রিকেটারকে দেখা গেল। সব কিছু ঠিক থাকলে ২০২৩ সালের জানুয়ারির ৫ তারিখে শুরু হতে যাওয়া বিপিএলে চট্টগ্রামের হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।

২০১২ সালে তাঁর নেতৃত্বে ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জিতেছে। এছাড়া ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন এই ওপেনার। তবে, সেখানে বলার মত পারফরম্যান্স ছিল না। ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি তিনি। বিরাট প্রতিভাধর ছিলেন তিনি। তবে, সেটা সঠিক সময়ে, সঠিক জায়গায় কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। বলা উচিৎ, প্রতিভার সদ্ব্যবহার করতে না পেরে জাতীয় দলের ধারে কাছেও আসতে পারেননি তিনি।

তিনটি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন মোটে ২১ টা ম্যাচ, ২০ ইনিংস। যেখানে ১০০ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ১৫ গড়ে করেছেন ৩০০ রান। সর্বসাকুল্যে ২০১৫ সালে একটা হাফ সেঞ্চুরি করতে পেরেছিলেন।

এছাড়া ড্রাফট থেকে ড্রাফট  মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, শুভাগত হোম, মেহেদি হাসান রানা ও ইরফান শুক্কুরকে দলে ভিড়িয়েছে চট্টগ্রাম। এর আগে ড্রাফটে বাইরে থেকে আফিফ হোসেন, বিশ্ব ফার্নান্দো, কার্টিস ক্যাম্ফার, আশান প্রিয়ঞ্জনকে দলে ভিড়িয়েছিল তাঁরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...