বিশ্বকাপের বিদায় বাঁশি

ভারত এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে একবার শিরোপা জেতার পাশাপাশি একবার রানার্স আপও হয়েছে। এছাড়া আরেকবার খেলেছে সেমিফাইনাল। বাকি আসরগুলোতে সুপার এইট থেকেই বাদ পড়েছে ভারত। তবে এই বিশ্বকাপের আসর থেকেই নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটার। যারা নিজেদের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই বিশ্ব আসরেই। তাঁদের নিয়েই এই তালিকা।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবসময়ই ফেভারিট দল হিসেবে শুরু করে ভারত। ২০০৭ সালে এই ফরম্যাটের প্রথম বিশ্বকাপেই তাঁরা পেয়েছিল শিরোপার স্বাদ। মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে তখন থেকেই এক নতুন পথে হাঁটতে শুরু করে ভারতের ক্রিকেট। যদিও এরপর আর কখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে পারেনি ভারত। একমাত্র এবছর বাদে এর আগে সবগুলো আসরেই দলটির অধিনায়ক ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র দল হিসেবে দুইবার শিরোপা জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ভারত এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে একবার শিরোপা জেতার পাশাপাশি একবার রানার্স আপও হয়েছে। এছাড়া আরেকবার খেলেছে সেমিফাইনাল। বাকি আসরগুলোতে সুপার এইট থেকেই বাদ পড়েছে ভারত। তবে এই বিশ্বকাপের আসর থেকেই নিজেদের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছেন বেশ কয়েকজন ভারতীয় ক্রিকেটার। যারা নিজেদের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন এই বিশ্ব আসরেই। তাঁদের নিয়েই এই তালিকা।

  • বীরেন্দ্র শেবাগ (ভারত)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারতের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন বীরেন্দ্র শেবাগ। পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই খেলেছেন আক্রমণাত্মক ক্রিকেট। তবে এই ফরম্যাটকে শেবাগ বিদায় জানিয়েছেন বিশ্বকাপের মঞ্চেই।

২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচ খেললেন শেবাগ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচে শেবাগ ১৪ বলে ১৭ রানের একটি ইনিংসও খেলেছিলেন। রবিন পিটারসনের বলে আউট হয়ে বিদায় জানিয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে।

  • যোগিন্দর শর্মা (ভারত)

ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের ইতিহাসে অবিচ্ছেদ্য অংশ জগিন্দার শর্মা। ২০০৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ফাইনাল ম্যাচের শেষ ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন তিনিই। তাঁর শেষ ওভারেই প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় ভারত।

তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচের পর আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি এই অলরাউন্ডার। ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচেই শেষ হয়ে যায় তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

  • রুদ্র প্রতাপ (ভারত)

ভারতের বিপক্ষে মাত্র ১০ টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই থেমে গিয়েছিল তাঁর ক্যারিয়ার। তবে তিনিও ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ী দলের একজন সদস্য ছিলেন। তবে ২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নিজের শেষ ম্যাচ খেলেন এই বাঁহাতি পেসার। নটিংহামে সেই ম্যাচটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

  • অজিত আগারকার (ভারত)

ভারতের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের আরেকজন সদস্য অজিত আগারকার। ভারতের এই অলরাউন্ডার ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন। সেখানে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেও একাদশে ছিলেন। গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর অবশ্য আর টি-টোয়ন্টি ক্রিকেট খেলা হয়নি আগারকারের। ওই বিশ্বকাপেই থেমে যায় তাঁর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার।

  • লক্ষ্মীপতি বালাজি (ভারত)

এই তালিকার আরেকজন সদস্য হিসেবে আছেন ভারতের পেসার লক্ষ্মীপতি বালাজি। ডানহাতি এই পেসারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি হয়েছে বিশ্বকাপের মঞ্চেই। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তিনি। তবে এরপর আর কখনো ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাননি তিনি।

  • জহির খান (ভারত)

ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম পেসারদের একজন জহির খান। ভারতের ক্রিকেটের এই কিংবদন্তি বোলারও নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন বিশ্বকাপের মঞ্চেই। ২০১২ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই খেলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।

  • ইরফান পাঠান (ভারত)

২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচের নায়ক ছিলেন ইরফান পাঠান। সেই ম্যাচে হয়েছিলেন ম্যান অব দ্য ম্যাচও। তবে এরপর ২০১২ বিশ্বকাপ অবধিও খেলেছেন এই ফরম্যাটে। ওই বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনিও নিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন। সেদিনই নিজেদের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন মোট চারজন ভারতীয় ক্রিকেটার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...