একটা সময় আকাশী-নীল জার্সি গায়ে ভারতের বোলিং আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই দিন এখন অনেক পুরনো অতীত, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে তাঁর দূরত্ব এখন যোজন যোজন। তবু নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে চলছেন; পারফরম করছেন তরুণদের সাথে পাল্লা দিয়ে। বলছি সাড়ে ছয় ফুট উচ্চতার ইশান্ত শর্মার কথা।
সবশেষ গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। দলটির শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের ধ্বস নেমেছিল তাঁর হাত ধরেই। নতুন বলে কেবল দুই ওভার বল করে দুই উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি, সেটাই বাকি বোলারদের পথ চিনিয়ে দিয়েছিল। ফলে তাসের ঘরের মত ভেঙে গিয়েছে শুভমান গিলরা।
দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমেই এই ডানহাতি পেসারের তোপের মুখে পড়েছিল গুজরাটের টপ অর্ডার। আহমেদাবাদের বাইশ গজে কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারেন গিল সেটা সবারই জানা, অথচ গিলকে এদিন দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরান তিনি।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আবারো তাঁকে আক্রমণে আনেন দিল্লির কাপ্তান ঋষাভ পান্ত। অধিনায়কের ভরসার প্রতিদান দিতে এবার প্রোটিয়া তারকা ডেভিড মিলারের উইকেট ঝুলিতে পুরেন এই পেসার। সবমিলিয়ে দুই ওভার হাত ঘুরিয়ে আট রান খরচ করেন তিনি, বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ দুই ব্যাটারকে আউট করেন। অবশ্য এরপর পুনরায় বোলিংয়ে আসা হয়নি তাঁর।
আসবেন-ই বা কেন, সতীর্থরাই তো ভাগাভাগি করে নিয়েছে বাকি উইকেট। বিশেষ করে মুকেশ কুমার ছিলেন দারুণ ছন্দে। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারেই ঋদ্ধিমান সাহার উইকেট পেয়েছিলেন তিনি, শেষদিকে আবার ইনিংসের সেরা ব্যাটার রশিদ খানকে সাজ ঘরের পথ দেখিয়েছেন। এক বল পরে নুর আহমেদও পরাস্ত হয়েছেন তাঁর জাদুতে।
জাতীয় দলে এখনো জায়গা পাকা হয়নি মুকেশের, তাই তো দিল্লির হয়ে লড়াই করছেন নিজেকে নতুন করে চেনানোর। একই লড়াই ভিন্নভাবে করছেন আরেক পেসার খলিল আহমেদ, চলতি আইপিএলে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছেন তিনি। গুজরাটের বিপক্ষেও পেয়েছেন এক উইকেট; নতুন বল যেভাবে ব্যবহার করছেন এই তরুণ সেটাই মূলত বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে।