হিথ স্ট্রিককে চিনতে কষ্টই হচ্ছে। তার পাশে বসা ওই ভদ্রলোককে হয়তো এখন চিনতে পারছেন না অনেকে। তবে একসময় বাংলাদেশেও তিনি বেশ পরিচিত ছিলেন। রে প্রাইস, রেমন্ড প্রাইস।
আজকে সকালেই স্ট্রিকের সঙ্গে দেখা করেছেন প্রাইস। সাবেক এই বাঁ-হাতি স্পিনার ছবিটি ফেইসবুকে পোস্ট করেছেন ঘণ্টাখানেক আগে। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘Morning tea with best friend.’
এই ছবি পোস্ট করার একটু আগে প্রাইস ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘ফেসবুকে ও অন্যান্য জায়গায় লোকে যেমনটি বলছেন, আসলে হিথ স্ট্রিক কিন্তু বিদায় নেননি। সত্যি বলতে, আমরা এখন একসঙ্গে তার বারান্দায় বসেই চা পান করছি ও সূর্যোদয় দেখছি।’
হেনরি ওলোঙ্গার সঙ্গেও কথা বললাম। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় অ্যাডিলেডে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। মাঝেমধ্যে টুকটাক কথা হয় এখনও। সাবেক এই পেসার বললেন যে, ভুল খবর পেয়ে তিনিও শোকপ্রকাশ করেছিলেন। পরে স্ট্রিকের সঙ্গে তার কথা হয়েছে।
তবে ওলোঙ্গা এটাও জানিয়েছেন, বেঁচে থাকলেও খুব ভালো নেই স্ট্রিক। যদিও স্ট্রিক নিজে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন এবং সেরে উঠছেন।
গত মে মাসে যখন স্ট্রিকের কোলন ও লিভারের ক্যান্সারের কথা জানা যায়, তখনই জিম্বাবুয়ের ক্রীড়া মন্ত্রী বলেছিলেন যে, ‘একদম শেষ পর্যায় চলছে…’ শন উইলিয়ামস তখন বলেছিলেন যে, ‘ক্যান্সারের চতুর্থ পর্যায় চলছে…’
এই শন উইলিয়ামস ও জিম্বাবুয়ের আরও অনেক ক্রিকেটার স্ট্রিক ও তার পরিবারের কাছে ঋণী। বছরের পর বছর ধরে হারারের বাইরের অনেক ক্রিকেটারের ঠিকানা হয়েছে স্ট্রিকদের বাড়ি। স্ট্রিক ও তার বাবা সাবেক ক্রিকেটার ডেনিস স্ট্রিক নানাভাবে সাহায্য করেছেন উঠতি ক্রিকেটারদের।
স্ট্রিকদের পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই শন উইলিয়ামসও শোক প্রকাশ করে ফেলেছিলেন স্ট্রিকের চলে যাওয়ার খবরে। রয়টার্স, আরও বিভিন্ন বার্তা সংস্থা, গার্ডিয়ানসহ আরও অনেক সংবাদমাধ্যম খবর প্রকাশ করেছিল তো বটেই। যাই হোক, আপাতত হিথ হিল্টন স্ট্রিক নট আউট ৪৯!
– ফেসবুক থেকে