বিশ্বকাপ কাঁপানো অলরাউন্ডার

তবে অলরাউন্ডারদের জন্য বেশ ভালো সুযোগ থাকে বিশ্ব দরবারে সবার সামনে নিজেকে মেলে ধরবার। বল এবং ব্যাট দুটোতেই সমান তালে পারফরম্যান্স করে সেরাদের একজন হওয়াটাই অলরাউন্ডারদের মূল লক্ষ্য থাকে। আর এই অলরাউন্ডাররাই বিশ্বকাপের মঞ্চে মূল পার্থক্য গড়ে দেন।

বিশ্ব আসরে দলের পক্ষে সেরা পারফর্মার হওয়াটা অবশ্যই চাট্টিখানি কথা নয়। চার বছর পর পর ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়। আর সেখানে দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখার স্বপ্নটা কেই বা না দেখে?

তবে অলরাউন্ডারদের জন্য বেশ ভালো সুযোগ থাকে বিশ্ব দরবারে সবার সামনে নিজেকে মেলে ধরবার। বল এবং ব্যাট দুটোতেই সমান তালে পারফরম্যান্স করে সেরাদের একজন হওয়াটাই অলরাউন্ডারদের মূল লক্ষ্য থাকে। আর এই অলরাউন্ডাররাই বিশ্বকাপের মঞ্চে মূল পার্থক্য গড়ে দেন।

এখন পর্যন্ত পাঁচজন অলরাউন্ডারের দেখা মিলেছে যারা বিশ্বকাপের আসরে কমপক্ষে ৩০০ করে রান ও কমপক্ষে ১০ টি উইকেট নিয়েছেন। কারা তাঁরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

  • যুবরাজ সিং (ভারত)

২০১১ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে দলের পক্ষে শিরোপা জয়ের পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন যুবরাজ সিং। ব্যাট-বল দুই দিকেই সমান তালে পারফরম্যান্স করেছেন যুবরাজ।

ওই বিশ্বকাপে ৩৬২ রানের সাথে ১৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। এক সেঞ্চুরির সাথে করেছেন চারটি ফিফটি। যুবরাজ সিংকে মূলত ব্যাটসম্যানই বলা যায়, তবে ওই বিশ্বকাপে বল হাতেও জ্বলে উঠেছিলেন তিনি।

  • কপিল দেব (ভারত)

১৯৮৩ বিশ্বকাপে কপিল দেবের অধিনায়কত্বে ভার‍ত প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে। তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে ভারত প্রথম শিরোপা জয় করে। ওই টুর্নামেন্টে ৩০৩ রান করেন কপিল দেব!

যার মধ্যে জিম্বাবুয়ের এক ম্যাচে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। যেখানে একা হাতে দলের পক্ষে ম্যাচ জয় করেন এই অলরাউন্ডার। ওই ইনিংসটা না হলে আর বিশ্বকাপ জেতা হয় না ভারতের। বল হাতেও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান তিনি। ১২ উইকেট শিকার করেন এই ফাস্ট বোলার।

  • নিল জনসন (জিম্বাবুয়ে)

১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বাকে জিম্বাবুয়ে দলের আগ্রাসী বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার নিল জনসন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন। তবে দুই বছরের বেশি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দলের পক্ষে খেলতে পারেননি তিনি।

ওই বিশ্বকাপে জনসন ৩৬৭ রান সংগ্রহ করেন। সেই সাথে বল হাতে শিকার করেন ১২টি উইকেট।  বলাই বাহুল্য, তিনি ক্রিকেট ইতিহাসের এমন গুটিকয়েক ক্রিকেটারদের একজন যিনি একই সাথে বোলিং ও ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করতেন নিজের দলের।

  • সনাথ জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা)

ওয়ানডে ইতিহাসের সবচেয়ে বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবেই জানা হয় সাবেক লঙ্কান অলরাউন্ডার সনাথ জয়াসুরিয়া। ২০০৩ বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন এই তারকা। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ৩২৪ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ওই টুর্নামেন্টে বল হাতে ১০ উইকেটও শিকার করেন জয়াসুরিয়া! ওয়ানডে ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি।

  • সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)

বর্তমানে সময়ে ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবেই পরিচিত বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সবশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপেই তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্স ছিলো নজরকাঁড়া। যদিও বাংলাদেশ নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি সেখানে! সাকিব ছাড়া কেউ খেলতে পারেনি নিজের সেরাটা।

পুরো টুর্নামেন্টে ৬০৬ রান আর বল হাতে ১১ উইকেট শিকার করেন তিনি। যা টুর্নামেন্টের সেরা অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। শুধু ওই বিশ্বকাপেই এর আগের কোনো বিশ্বকাপেই সাকিবের মত ব্যাট-বলে এতটা উজ্জ্বল আর কেউ হতে পারেননি। বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে নিতে পারলে হয়তো, টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারটা তাঁর হাতেই উঠতো।

জানিয়ে রাখা ভাল, এই তালিকায় অল্পের জন্য জায়গা হয়নি ল্যান্স ক্লুজানারের। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে তিনি ১৭ উইকেট পেলেও রান করেছেন ২১৮। যদিও, তিনি ছিলেন বেশ ইমপ্যাক্টফুল। তাঁর অলরাউন্ডার পারফরম্যান্সেই দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনাল খেলে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...