বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষিক্তদের ত্রাস

অভিষেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে নিজেদের প্রমাণ করতে পারাদের তালিকাটা নেহায়েৎ ছোট নয়। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষিক্তদের সেরা বোলিং নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

টেস্ট ক্রিকেটে কোনো বোলারের রঙিন অভিষেক কথাটা বললেই আমাদের মনে ভেসে ওঠে নাঈম হাসান কিংবা মেহেদী হাসান মিরাজদের কথা। এরা সবাই তাঁদের অভিষেক টেস্টে ছিলেন ভীষণ উজ্জ্বল। বলতে গেলে একাই গুড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ।

এর বিপরীত ঘটনাও আছে। অভিষেকেই বাংলাদেশের বিপক্ষে বল হাতে নিজেদের প্রমাণ করতে পারাদের তালিকাটা নেহায়েৎ ছোট নয়। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষিক্তদের সেরা বোলিং নিয়ে আমাদের এবারের আয়োজন।

  • প্রাভিন জয়াবিক্রমা (শ্রীলঙ্কা): ৬/৯২ (পাল্লেকেলে, ২০২১)

অভিষেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা বোলিং ফিগারের মালিক প্রাভিন জয়াবিক্রমা। পাল্লাকেলে টেস্টে ৯২ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন তিনি। শ্রীলঙ্কার কোনো বোলারেরও অভিষেক ম্যাচে এটাই সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে ১৯৯৯ সালে উপুল চন্দনার ১৭৯ রানে ৬ উইকেট ছিল অভিষেকে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলিং। তাই ২২ বছর বয়সী এই স্পিনারই এখন অভিষেক ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলিং ফিগারের মালিক।

  • আকিলা ধনাঞ্জয়া (শ্রীলঙ্কা): ৫/২৪ (মিরপুর, ২০১৮)

তালিকার দ্বিতীয় বোলারও একজন শ্রীলঙ্কান। ২০১৮ সালে মিরপুরে আকিলা ধনাঞ্জয়া তাঁর অভিষেক ম্যাচেই বাংলাদেশের বিপক্ষে নেন পাঁচ উইকেট। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র পাঁচ ওভার বোলিং করে ২৪ রান দিয়েই তুলে নেন ৫ উইকেট। এর আগে প্রথম ইনিংসেও নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। অভিষিক্ত ধনাঞ্জয়ার বোলিং তোপে সেই ম্যাচ শ্রীলঙ্কার কাছে ২১৫ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।

  • শাব্বির আহমেদ (পাকিস্তান): ৫/৪৮ (করাচি, ২০০৩)

২০০৩ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় শাব্বির আহমেদের। করাচিতে সেই অভিষেক টেস্টেই পাঁচ উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানি এই বোলার। সেই ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৮ রান দিয়েই ৫ উইকেট পান শাব্বির। এছাড়া ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংসেও তিন উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ।

  • অ্যান্ডি ব্লিগনট (জিম্বাবুয়ে): ৫/৭৩ (বুলাওয়ে ২০০১)

জিম্বাবুয়ের এই বোলার অভিষেক ম্যাচ খেলেন ২০০১ সালে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ৭৩ রান দিয়ে তুলে নেন পাঁচ উইকেট। এছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছিলেন তিন উইকেট। সেই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের মাটিতে স্বাগতিকদের কাছে ইনিংস ব্যাবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন জাভেদ ওমর বেলিম।

  • নিজাত মাসুদ (জিম্বাবুয়ে): ৫/৭৯ (মিরপুর, ২০২৩)

নিজাত মাসুদ টেস্ট অভিষেকের প্রথম ডেলিভারিতেই ফেরান জাকির হাসানকে। প্রথম দিন শেষ করেন দুই উইকেট নিয়ে। দ্বিতীয় দিন মিরপুরে প্রথম আধাঘণ্টায় নেন আরও তিন উইকেট। মাত্র ২৪ বছর বয়সী তরুণ এই ফাস্ট বোলার অভিষেকেই নেন পাঁচ উইকেট।

  • ব্র্যান্ডন মাভুতা (জিম্বাবুয়ে): ৪/২১ (সিলেট, ২০১৮)

এই তালিকার পঞ্চম বোলার হিসেবে আছেন ব্র্যান্ডন মাভুতা। জিম্বাবুয়ের এই বোলার ২০১৮ সালে তাঁর অভিষেক ম্যাচ খেলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। সিলেটে সেই অভিষেক ম্যাচে তুলে নিয়েছিলেন চার উইকেট। মাতুভা সেই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে উইকেট শূন্য থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নেন মাত্র ২১ রান খরচ করেই। সেই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশকে হারিয়েছিল ১৫১ রানে।

এই তালিকার পাঁচ জন বোলারই তাঁদের অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে আলো ছড়িয়েছেন। তবে মজার বিষয় হচ্ছে এদের কেউই এত ভালো বল করেও ম্যাচ সেরা হননি। তবে প্রাভিন জয়াবিক্রমার সামনে সেই সুযোগ আছে। দ্বিতীয় ইনিংসেও অসাধারণ বল করে তিনি পেতে পারেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...