বিরুদ্ধ কন্ডিশনের সেরা স্পেল

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জয় মানেই এ যেন প্রত্যাশার চাইতেও অনেক বেশি কিছু। রঙিন পোশাকে বাংলাদেশের বেশ উন্নতি লক্ষ্য করা গেলেও সাদা পোশাকে এখনো সেই আগের দশা। ঘরের মাটিতে কিছুটা ভীত গড়তে পারলেও বিদেশের মাটিতে যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায় নেই। দলীয় পারফরম্যান্সের মাঝে অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাতে চায়।

বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের জয় মানেই এ যেন প্রত্যাশার চাইতেও অনেক বেশি কিছু। রঙিন পোশাকে বাংলাদেশের বেশ উন্নতি লক্ষ্য করা গেলেও সাদা পোশাকে এখনো সেই আগের দশা। ঘরের মাটিতে কিছুটা ভীত গড়তে পারলেও বিদেশের মাটিতে যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করা ছাড়া উপায় নেই। দলীয় পারফরম্যান্সের মাঝে অনেকেই ব্যক্তিগত ভাবে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে জেতাতে চায়।

সেই ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সটাও নিয়মিত নয়। এর মাঝেও কয়েকজন বোলার বিদেশের মাটিতে দারুণ বোলিং করেছেন। বিরুদ্ধ কন্ডিশনে সেরা সেসব বোলিং স্পেল নিয়েই আমাদের এবারের আয়োজন।

  • খালেদ মাহমুদ সুজন (২০০৩), প্রতিপক্ষ পাকিস্তন

২০০৩ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মুলতানে তৃতীয় টেস্টে ম্যাচে ১০৫ রানে ৭ উইকেট শিকার করেন সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভারে ৩৭ রানে ৪ উইকেট ও দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮ ওভারে ৬৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি।

তবে সেই টেস্টে মাত্র ১ উইকেটে হেরে যায় বাংলাদেশ! খালের মাহমুদের সেই অনবদ্য পারফরম্যান্সটি বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার হিসেবে অক্ষত ছিল ৬ বছর। পাকিস্তানের বিপক্ষে সুজনের পারফরম্যান্স বরাবরই ভাল। তিনিই ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের নায়ক ছিলেন।

  • সাকিব আল হাসান (২০০৯), প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২০০৯ সালে গ্রেনাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে সাকিব আল হাসান ১২৯ রানে ৮ উইকেট শিকার করেন। প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানে তিন উইকেট আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭০ রানে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি।

ওই টেস্টে ৪ উইকেটে জয়লাভ করে বাংলাদেশ দল। সেই সাথে প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় সাকিব-তামিমরা।

  • মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (২০০৯), প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২০০৯ সালেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একই সিরিজে এই তালিকায় নাম লেখান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেন ভিনসেন্টে প্রথম ইনিংসে ৫৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন তিনি। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে ৯৫ রানের জয়ে নেন দেন এই অলরাউন্ডার।

ম্যাচে ১১০ রানে মোট ৮ উইকেট তুলে নেন রিয়াদ। তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে প্রথমবার টেস্ট জয় করে বাংলাদেশ।

  • রবিউল ইসলাম (২০১৩), প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে

২০১৩ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৮৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন পেসার রবিউল ইসলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭১ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন তিনি।

তাঁর দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পরেও বাংলাদেশ ৩৩৫ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হেরে যায়। ১৫৫ রানে ম্যাচে ৯ উইকেট নিজের নামে করেন এই পেসার।

  • মেহেদী হাসান মিরাজ (২০২১), প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে

সদ্য সমাপ্ত হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারেতে একমাত্র টেস্টে ২২০ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। মেহেদি মিরাজের ১৪৮ রানে ৯ উইকেট শিকারে সহজ জয় পায় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে ৫ উইকেট শিকারের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন এই অফস্পিনার। বর্তমানে এটিই বিদেশের মাটিতে ম্যাচে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...