আশাহীন পঞ্চম দিনের অপেক্ষা

গতকাল বাংলাদেশকে একটা বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচিয়েছিলেন লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। আজ তাঁদের কাঁধে দায়িত্ব ছিল দ্রুত লিড এনে দেয়া। প্রথম সেশনে দুজনে মিলে দারুণ একটা জুটি এনে দিয়েছেন। তবে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সাঝঘরে ফিরে যান লিটন দাস। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৮ রানের ইনিংস।

চতুর্থ দিনে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের কাজটা মোটামুটি করে দিয়েছেন। বোলারদের সামনে এনে দিয়েছেন ৬৮ রানের লিড। এছাড়া চারদিনের খেলার পর ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন সাগরিকার উইকেটও। আজ শেষবেলা টার্ন ও অনিয়মিত বাউন্স আদায় করে নিয়েছেন তাইজুলরা। আগামীকাল সকালে দ্রুত লংকানদের অল আউট করে ম্যাচ জিতবে পারবে বাংলাদেশ?

গতকাল মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটে চড়ে লিড নেয়ার স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন এই দুই ব্যাটার। আজ প্রথম সেশনে দুজনেই ছিলেন অপরাজিত। সকালের বৃষ্টিতে অবশ্য উইকেট থেকে খানিকটা সুবিধা পেয়েছিলেন বোলাররা। তবে এই দুই ব্যাটসম্যান যেন এসব কিছু পাত্তাই দিলেন না।

গতকাল বাংলাদেশকে একটা বিপর্যয়ের হাত থেকে বাচিয়েছিলেন লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিম। আজ তাঁদের কাঁধে দায়িত্ব ছিল দ্রুত লিড এনে দেয়া। প্রথম সেশনে দুজনে মিলে দারুণ একটা জুটি এনে দিয়েছেন। তবে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই সাঝঘরে ফিরে যান লিটন দাস। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৮৮ রানের ইনিংস।

এরপর তামিমও দ্রুতই ফিরে যান। ফলে আবারো একটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এই সেশনে তখন বাংলাদেশের দ্রুত কিছু রান প্রয়োজন ছিল। যেন লিড নিয়ে আবার শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো যায়। যদিও নার্ভাস নাইন্টিজে একটু দেখেশুনেই খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। ফলে সেই সময়টায় বাংলাদেশের রানের চাকা একটু থমকে গিয়েছিল।

ওদিকে টেস্ট ক্রিকেটে সময়টা ভালো যাচ্ছিল না মুশফিকুর রহিমের। দুই বছরেরও বেশি সময় পর টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরির দেখা পেলেন তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজার রান করার রেকর্ড গড়েন মুশফিক। সবমিলিয়ে ২৮২ বল খেলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এই ইনিংসটিতে ছিল মাত্র ৪ টি চার। এরপর অবশ্য স্যুইপ করতে গিয়েই নিজের উইকেট দিয়ে আসেন এই ব্যাটসম্যান।

শেষ পর্যন্ত তাইজুলের ২০ রানের ইনিংসে ভর করে ৬৮ রানের লিড পেয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ অল আউট হয় ৪৬৫ রানে। আজ শেষ বেলায় ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কার একাধিক উইকেট নিতে চেয়েছিল বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে এসে উইকেটও ভাঙতে শুরু করেছে। ফলে সাকিব, নাঈম, তাইজুলরা দ্রুতই শ্রীলঙ্কাকে অল আউট করে দিতে চাইবে। আগামীকাল সকাল এই স্পিন ত্রয়ীর বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে শ্রীলঙ্কাকে।

বাংলাদেশ বল হাতে নামলে আজ কাজের কাজটা করে দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। সাকিবের বলে দারুণ একটা থ্রো করে রান আউট করেন ওশাদা ফার্নেন্দোকে। এরপর দিনের শেষ বলে তুলে নেন লাসিথ এম্বুলডেনিয়ার উইকেট। ফলে ৩৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা।

ফলে আগামীকাল বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে দ্রুতই শ্রীলঙ্কাকে অল আউট করা। কাল সকালে দ্রুতই লংকানদের অল আউট করতে পারলে হয়তো বাংলাদেশ ম্যাচ জয়ের আশাও করতে পারে। চতুর্থ দিন শেষে এখনো ২৯ রানের লিড আছে বাংলাদেশের হাতে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...