টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ!

দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। চলতি মাসে জাতীয় লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর সাথে প্রিমিয়ার লিগ নিয়েও ভাবছে বোর্ড। ক্রিকেটারদের স্বার্থে ওয়ানডের পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হলেও স্থগিত হওয়া অংশ দ্রুত শেষ করতে চায় ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত বছরের মার্চে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ স্থগিত হওয়ার মধ্য দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় দেশের সব ধরণের ক্রিকেট। গত বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) দুটি ঘরোয়া টুর্নামেন্ট দিয়ে ক্রিকেট মাঠে ফেরালেও এখনো স্থগিত হওয়া প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের জন্য ফাঁকা সময় বের করতে পারেনি; এমনকি মাঠে গড়ায়নি নিয়মিত হওয়া অন্য লিগ গুলোও।

দীর্ঘ বিরতির পর অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হচ্ছে। চলতি মাসে জাতীয় লিগ দিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট ফেরানোর সাথে প্রিমিয়ার লিগ নিয়েও ভাবছে বোর্ড। ক্রিকেটারদের স্বার্থে ওয়ানডের পরিবর্তে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হলেও স্থগিত হওয়া অংশ দ্রুত শেষ করতে চায় ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম)।

গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে সিসিডিএমের সভাপতি কাজী ইনাম আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করে যেভাবে হোক আমরা টুর্নামেন্টটা আয়োজন করতে চাই। এমনও যদি দরকার হয় ফরম্যাট বদলে আলাদা ফরম্যাটে করতে হয়। যেখানে আমাদের প্রিমিয়ার লিগ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট, যদি টি-টোয়েন্টিও করতে হয় তাহলে ক্লাবদের সঙ্গে আলাপ করে দেখব। ক্লাবগুলোর সঙ্গে সামনের শনিবার কিংবা রবিবার মিটিং করবো।’

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টেস্ট সিরিজ খেলার পর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছে বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেই টেস্ট সিরিজ খেলতে এপ্রিলে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে মুশফিক-তামিমরা। এরপরের মাসেই আবার ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ সফরে আসবে শ্রীলঙ্কা। ইনাম আহম্মেদ জানিয়েছেন

জাতীয় দলের এই ব্যস্ত সূচির কারণে মে-জুনে প্রিমিয়ার লিগ আয়োজনের চেষ্টা করছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘সব কিছু বিবেচনা করে আমরা একটা বা দুইটা উইন্ডো বের করার চেষ্টা করছি। দুর্ভাগ্যক্রমে মে-জুন মাসের আগে আমরা সেটা করতে পারছি না। যেহেতু আমরা জানি আন্তর্জাতিক ক্যালেন্ডারে আমাদের কি আছে। মে-জুন মাসে আমরা যদি মিনিমাম একটা উইন্ডো বের করতে পারি ২৫-৩০ দিনের চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়া ডিপিএলের স্থগিত হওয়া অংশ আয়োজনও সম্ভব নয়। কারণ ক্রিকেটারদের সাথে আগেই চুক্তি করেছে ক্লাব গুলো। এখন টুর্নামেন্টের মাঝপথে তাদের পরিবর্তে অন্য ক্রিকেটারদের স্কোয়াডে নেওয়াটাও কঠিন হবে দল গুলোর জন্য। তাই ক্লাব গুলোর মতামত নিয়ে সিসিডিএম সিদ্বান্ত নিয়েছে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করেই ডিপিএল আয়োজন করবেন তাঁরা।

সিসিডিএমের সভাপতি বলেন, ‘ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবার সকল জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা খেলছে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা যারা খেলছে তাদের কিন্তু এখন আবার আন্তর্জাতিক কমিটমেন্টে আছে। তাদেরকে বাদ দিয়েও কিন্তু টুর্নামেন্টটা করা কঠিন। তাদেরকে বাদ দিলে এমনও ১-২ টা দল আছে যাদের একাদশই হবে না। তাহলে সে কি অন্য দল থেকে খেলোয়াড় নেবে? টুর্নামেন্টের মাঝখানে তো আমরা দল বদল করতে পারছি না।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...