আইপিএলের পাঁচ ‘ফ্লপ’ দলপতি

অধিনায়ক হিসেবে কেউ কেউ সাফল্যের সর্বোচ্চ চূঁড়ায় পৌছান। আবার আবার কেউ কেউ সফলতা না পেয়ে নাম লিখান বাজে অধিনায়কের তালিকায়। তবে সব অধিনায়কই চায় তার দল সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকুক, তবু ভাগ্যে মাঝে মাঝে সাথে না থাকলে মূদ্রার উলটো পিঠটাও দেখা লাগে।

বছরের পর বছর ক্রিকেটে বেশ কিছু কিংবদন্তি অধিনায়ক এসেছেন গেছেন। এর মধ্যে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনিকে সেরা অধিনায়কদের একজন ধরা হয়। এখনো তিনি আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

অধিনায়ক হিসেবে কেউ কেউ সাফল্যের সর্বোচ্চ চূঁড়ায় পৌছান। আবার আবার কেউ কেউ সফলতা না পেয়ে নাম লিখান বাজে অধিনায়কের তালিকায়। তবে সব অধিনায়কই চায় তার দল সবচেয়ে ভালো অবস্থানে থাকুক, তবু ভাগ্যে মাঝে মাঝে সাথে না থাকলে মূদ্রার উলটো পিঠটাও দেখা লাগে।

তবে সবাই অধিনায়ক হিসেবে সফল হতে পারে না, অনেকেই অধিনায়ক হিসেবে দেখেছে মূদ্রার উলটো পিঠ! অনেকের কাছেই অধিনায়কত্ব মানেই হতাশা। আইপিএলের এরকম কিছু ব্যর্থ অধিনায়কের গল্প থাকছে আজ।

  • ক্যামেরন হোয়াইট (আইপিএল)

২০১২ মৌসুমের আইপিএল আসরে ডেকান চার্জার্সের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান ক্যামেরন হোয়াইট। দলের বাজে পারফরম্যান্সে কুমার সাঙ্গাকারা অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাড়ালে দায়িত্ব পান হোয়াইট। তবে হোয়াইটের হাত ধরেও ভাগ্য বদল হয়নি ডেকানের।

হোয়াইটের নেতৃত্বে পরের ৯ ম্যাচে মাত্র দুই জয় পায় ডেকান! ওই বছর ডেকান চার্জার্স পয়েন্টস টেবিলের শেষ দিক থেকে দ্বিতীয়তে থেকে লিগ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। ক্যামেরন হোয়াইটের নেতৃত্বে এমন বাজে পারফরম্যান্সের পরবর্তী বছর হোয়াইটকে সরিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় শিখর ধাওয়ানকে।

  • ইয়ন মরগ্যান (ইংল্যান্ড)

কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক হবার পর থেকে বেশ বাজে ফর্মে আছেন ইয়ন মরগ্যান। গত মৌসুমের মাঝখানে দীনেশ কার্তিক কলকাতার অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাড়ালে নতুন অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান ইয়ন মরগ্যান। তার কাছে সবাই বেশ ভালো কিছুই আশা করেছিলো।

তবে মরগ্যান আশার মূল্য দিতে পারেননি! বরং তার নেতৃত্বে এই মৌসুমে খেলা সাত ম্যাচের মধ্যে পাঁচটিতেই হেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এরপর মরগ্যানের অধিনায়কত্ব নিয়েও বেশ সমালোচনা-আলোচনা শুরু হয়। যদিও এখনো টুর্নামেন্ট শেষ হয়নি, তবুও তার পরিসংখ্যানের উপর ভিত্তি করে আইপিএলে পাঁচ ব্যর্থ অধিনায়ক পরিবর্তনে মরগ্যাকে ধরা হয়েছে।

  • রবিচন্দ্রন অশ্বিন (ভারত)

২০১৮ সালে রবীচন্দ্রন অশ্বিনকে দলে ভেড়ায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। পরবর্তীতে তাকে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সিনিয়র এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে তার কাছে দলের আশা ছিলো অনেক। কিন্তু অশ্বিন দলের সেই আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়!

ওই বছর পাঞ্জাব পয়েন্টস টেবিলে শেষের দিক থেকে দ্বিতীয়তে থেকে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। অশ্বিনের নেতৃত্বে ১৪ ম্যাচে মোটে ৬ জয় পায় পাঞ্জাব। পরবর্তী বছর অশ্বিনকে সরিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় লোকেশ রাহুলকে।

  • স্টিভ স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)

যখন স্টিভ স্মিথ বল টেম্পারিং কান্ডে ধরা পড়লো তার আগে থেকেই তিনি রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক ছিলেন। যার কারণে তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় আজিঙ্কা রাহানেকে। এরপর রাহানের নেতৃত্বে সেবার রাজস্থান প্লে অফে খেলে।

পরের বছর বাজে পারফরম্যান্সে রাহানেকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে পুনরায় দায়িত্ব দেওয়া হয় স্টিভ স্মিথকে। তবে অধিনায়কের দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজস্থানের অবস্থা বেশ অবনতি হয়। তার নেতৃত্বে পয়েন্টস টেবিলের শেষে থেকে সেবার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় রাজস্থান। ২০১৮ সালে প্লে অফ খেলা দল ২০২০ আইপিএলে পয়েন্টস টেবিলের একদম তলানিতে! পরবর্তীতে এবছর ২০২১ মৌসুমে স্মিথকে ছেড়ে দেয় রাজস্থান এবং সাঞ্জু স্যামসনকে নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করে।

  • শিখর ধাওয়ান (ভারত)

২০১৩ মৌসুমে ডেকান চার্জারসের ভরাডুবির পর সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় শিখর ধাওয়ানকে। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ব্যাটে খুব একটা ভালো সময় যাচ্ছিলো না ধাওয়ানের। অধিনায়ক হিসেবে ওই মৌসুমে ২৯ গড়ে করেছিলেন ৩৭৭ রান!

ধাওয়ানের অধিনায়কত্বে সেবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ পয়েন্টস টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয়। ১৪ ম্যাচের মধ্যে মোটে ৬ ম্যাচে জয় পায় হায়দ্রাবাদ। পূর্বের বছর থেকে কিছুটা ভালো পারফরম্যান্স হলেও ধাওয়নের নেতৃত্বে একটা বাজে মৌসুম পার করে হায়দ্রাবাদ।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...