শেষ টি-টোয়েন্টি খেলবেন সাকিব

গুঞ্জন উঠেছে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলবেন না সাকিব আল হাসান। আজই যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন এই অলরাউন্ডার এবং নিউজিল্যান্ড সফরের আগেই আবার দেশে ফিরবেন তিনি। তবে এই বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

গুঞ্জন উঠেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে খেলবেন না সাকিব আল হাসান। আজই যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন এই অলরাউন্ডার এবং নিউজিল্যান্ড সফরের আগেই আবার দেশে ফিরবেন তিনি। তবে এই বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

খেলা ৭১ এর পক্ষ থেকে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ও বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের সাথে যোগাযোগ করা হলেও ফোনে পাওয়া যায়নি তাদের। তবে বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন সাকিবের ছুটি নেওয়ার বিষয়ে এখনো কিছু জানেন না তিনি।

আজ আকরাম খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ শেষেই আগস্টের দশ তারিখ থেকে ছুটিতে যাবেন ত্রিকেটারারা। ১৪ দিনের ছুটি কাটিয়ে ২৪ তারিখ থেকে আবার নিউজিল্যান্ড সিরিজের অনুশীলনে ফিরবেন তারা। গুঞ্জন উঠেছে সবাই দশ তারিখ থেকে ছুটিতে গেলেও একদিন আগেই ছুটি নিয়েছেন সাকিব। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে যে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলে তাঁর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার একটা সম্ভাবনা আছে।

গতকাল সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ বাদ দিয়ে বাকি সব ম্যাচেই ব্যাটে বলে সমান পারফরম্যান্স করেছেন এই অলরাউন্ডার। গতকাল ব্যাট হাতে ২৬ বলে করেন ১৫ রান ও বল হাতে চার ওভারে দেন ৫০ রান। এক ওখারেই হজম করেছিলেন পাঁচটি ছয়। সিরিজের চার ম্যাচে সাকিবের ব্যাট থেকে এসেছে ১০৩ রান। বল হাতে নিয়েছেন তিন উইকেট।

তবে জয় পাওয়া প্রথম তিন ম্যাচে সাকিব ছিলেন অনবদ্য। ঐ তিন ম্যাচে করেন ৮৮ রান। সাকিবের স্টাইকরেট ছিল ১৩১.৩৪, যা এই সিরিজের প্রেক্ষাপটে অবশ্যই অনবদ্য। বল হাতে জয়ী তিন ম্যাচে মাত্র ৫.৬৬ ইকোনোমিতে সাকিবের শিকার করেছিলেন তিন উইকেট।

তিন ম্যাচেই ধারাবাহিক ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। ইনিংস বেশি বড় করতে না পারলেও প্রতি ম্যাচেই দারুণ ব্যাটিংয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে নিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচে চতুর্থ ওভারেই উইকেটে এসে দলের হাল ধরেছিলেন সাকিব। বাকিদের যাওয়া আসার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ বলে ৩৬ রান করেন সাকিব।

স্ট্রাইক রেট নিয়ে কারো কারো প্রশ্ন থাকলেও এই ইনিংসে ভর করেই ১৩১ রানের লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। যা জয়ের জন্য এই উইকেটে যথেষ্ট ছিল। এরপর বল হাতে চার ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে শিকার করেন এক উইকেট।

দ্বিতীয় ম্যাচে ১২১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ দলীয় ৩ রানেই হারায় দুই ওপেনারকে। পাল্টা আক্রমণে চাপে থাকা বাংলাদেশকে মোমেন্টাম এনে দেন সাকিব। ইনিংস বেশি বড় করতে না পারলেও সাকিবের ১৭ বলে ২৬ রান দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর বল হাতে চার ওভারে ২২ রান দিয়ে শিকার করেন এক উইকেট।

তৃতীয় ম্যাচেও একই পরিস্থিতিতে ব্যাটিংয়ে নেমে করেন ১৭ বলে ২৬ রানই। বল হাতেও আগের ম্যাচের মতই চার ওভারে ২২ রান দিয়ে শিকার করেন এক উইকেট। তবে গতকাল পাওয়া উইকেটের কথা একটু আলাদা করে বলতেই হয়। ১২৭ রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৮ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে বেন ম্যাকডারমট ও মিশেল মার্শের জুটিতে ক্রমেই জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল সফরকারীরা।

সব ধরণের চেষ্টা করেও এই জুটিকে থামাতে পারছিল না বাংলাদেশ। এক পর্যায়ে এই জুটির ৬৩ রানের কল্যাণে অস্ট্রেলিয়ার রান ছিল ১ উইকেট হারিয়ে ৭১। অর্থাৎ, হাতে ৯ উইকেট নিয়ে প্রয়োজন ছিল ৪০ বলে ৫৭ রান। দারুণ এক বলে এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন সাকিব। মূলত এই জুটি ভাঙার পরই অস্ট্রেলিয়াকে পুরোপুরি চেপে ধরে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেন স্বাগতিক বোলররা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...