শঙ্কিত ছিল ভারতীয় ড্রেসিংরুম

বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৭৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় সফরকারী ভারতীয় ক্রিকেট দল। এমন অবস্থায় ম্যাচ নিয়ে দল মহা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বলে স্বীকার করলেন ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।

ভারত অনেকটা খাঁদের কিনারাতেই ছিল। সেখান থেকে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আর শ্রেয়াস আইয়ারের ‍জুটি ম্যাচে ফেরায় তাঁদের। আর সেই জুটিতেই আসে জয়।

বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৫ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ৭৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় সফরকারী ভারতীয় ক্রিকেট দল। এমন অবস্থায় ম্যাচ নিয়ে দল মহা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল বলে স্বীকার করলেন ভারতীয় অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তবে দলের বাকি ব্যাটাররা ভারতকে হার থেকে রক্ষা করবেন বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বলে জানিয়েছেন সফরকারী অধিনায়ক।

শেষ পর্যন্ত শ্রেয়াস আইয়ার ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন অষ্টম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭১ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে হারের মুখ থেকে রক্ষা করে দলের তিন উইকেটে জয় ছিনিয়ে আনায় রাহুলের বিশ্বাসই সত্য প্রমানিত হয়েছে।
ম্যাচ শেষে রাহুল বলেন, ‘ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে ছেলেদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। আমরা পর্যাপ্ত ক্রিকেট খেলেছি, এজন্য যে কেউ দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে পারবে। আমি মিথ্যা বলতে চাচ্ছি না, ড্রেসিংরুমেও অনেক শঙ্কা ছিল। ব্যাট করার জন্য এটি কঠিন উইকেট ছিল। দুই ইনিংসেই তারা আমাদের চাপে ফেলেছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি নতুন বলের উইকেট ছিল। একবার বল নরম হয়ে গেলে রান করা সহজ হয়। নতুন বলকে ভাল খেলাই বড় বিষয় ছিল। আমরা রান তাড়াতে বেশি উইকেট হারিয়েছি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত কাজটি সম্পন্ন করেছি। জয় তুলে নিতে পেরেছি। অনেক বছর ধরে বোলিং আক্রমণ এমনই হয়ে আসছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদেশে যেখানেই খেলতে গিয়েছি আমরা ভাল করতে পেরেছি।’

এর আগে চট্টগ্রামে প্রথম টেস্ট ১৮৮ রানে জিতেছিল ভারত। দ্বিতীয় টেস্ট জয়ে ফেভারিট ছিল টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু প্রথম ইনিংসে ৮৭ রানের পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ চাপে পড়েও সময়মত নিজেদের সেরা রুপে ফিরতে পেরেছে। দিন গড়ানোর সাথে সাথে কঠিন হওয়া মিরপুরের উইকেটের অবস্থাকে ভালভাবেই কাজে লাগিয়ে ভারতকে চেপে ধরে দলের বোলাররা।

এমন কঠিন উইকেটে দলের জয় নিশ্চিতের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন অশ্বিন। আইয়ার ২৯ ও অশ্বিন ৪২ রানে অপরাজিত থেকে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন। অশ্বিন বলেন, ‘কখনও কখনও এই পরিস্থিতিতে মনে হয়েছে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। ভাল লাইন-লেন্থে বোলিং করেছে তারা। আমার মনে হয়েছে নিজেদের রক্ষণাত্মক খেলায় আমরা আস্থা রাখতে পারিনি।’

১৪৫ রানের টার্গেটে তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। ৫০-৫০, সমান সুযোগ নিয়ে চতুর্থ দিন খেলতে নামে দু’দল। কিন্তু দিনের সাত ওভারে ডেঞ্জারম্যান ঋষাভ পান্থসহ আরও তিন উইকেট পতনে জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। কারন এ সময় ভারতের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ৭৪ রান।

প্রথমে সতর্কতা ও পরে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের হাতের মুঠো থেকে ম্যাচ বের করে নেন আইয়ার ও অশ্বিন। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে শর্ট লেগে মমিনুল হক ক্যাচ না ফেললে ১ রানে ফিরতে পারবেন অশ্বিন।

অশ্বিন বলেন, ‘আমাদের খুব বেশি ব্যাটার ছিল না। এটি ম্যাচের এমন একটি অবস্থা যেখানে আমরা ছিটকে যেতে পারতাম। কিন্তু এ সময়ই আমরা জ্বলে উঠেছি। আইয়ার ভাল ব্যাটিং করেছে। আইয়ার যেভাবে ব্যাটিং করেছে সেটি ভাল লেগেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে উইকেট বেশ ভাল। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম বল সত্যিই দ্রুত নরম হয়ে গেছে। নির্দিষ্ট কিছু কিছু সময়ে আমাদেরকে সত্যিকারের চাপে ফেলার জন্য বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিতে হয়।’

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...