শ্রীলঙ্কার ‘নতুন মেন্ডিস’

এবার ওয়ানডে অভিষেক রেকর্ড গড়ে রাঙিয়েছেন এই থিকশানা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অভিষেকে চার উইকেট শিকারি প্রথম লঙ্কান স্পিনার। রেকর্ড বইয়ে তার নাম লেখা হয়ে গেছে অবশ্য এই ম্যাচে নিজের প্রথম ডেলিভারিটি করেই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই নিয়েছেন উইকেট। শিকারটিও বেশ মূল্যবান। ক্যারিয়ারের প্রথম ৯ ওয়ানডেতে ৩ সেঞ্চুরি ২ ফিফটি করা ব্যাটসম্যান জেনম্যান মালানের উইকেট।

অ্যাকশনে খানিকটা মিল। প্রায় একই ঘরানার ক্যারম বল আর আঙুলের টোকায় কারিকুরি। সব মিলিয়ে মাহিশ থিকশানাকে বেশ কিছুদিন ধরেই শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে বলা হচ্ছিল, ‘আরেক রহস্য স্পিনার’, ‘নতুন অজন্তা মেন্ডিস’ – আরো কত কি!

এবার ওয়ানডে অভিষেক রেকর্ড গড়ে রাঙিয়েছেন এই থিকশানা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৭ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। অভিষেকে চার উইকেট শিকারি প্রথম লঙ্কান স্পিনার। রেকর্ড বইয়ে তার নাম লেখা হয়ে গেছে অবশ্য এই ম্যাচে নিজের প্রথম ডেলিভারিটি করেই। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই নিয়েছেন উইকেট।

শিকারটিও বেশ মূল্যবান। ক্যারিয়ারের প্রথম ৯ ওয়ানডেতে ৩ সেঞ্চুরি ২ ফিফটি করা ব্যাটসম্যান জেনম্যান মালানের উইকেট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেট শিকারি বোলাদের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। থিকশানাকে দিয়ে হলো ২৭ জন (আরও দুজন আছেন, প্রথম বৈধ বলে উইকেট শিকারি)।

ওই ২৭ জনের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নামটি নিঃসন্দেহে ইনজামাম উল হক। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই তিনি উইকেটের স্বাদ পেয়েছিলেন এবং সেই উইকেট কোনো ফাজলামো ছিল না। আউট করেছিলেন ৪৫ রান করা ব্রায়ান লারাকে!

যারা জানেন না, ইনজামাম বাঁ-হাতি বোলার ছিলেন। পেস, স্পিন-দুটিই করতেন। ফিল্ডিংয়ে থ্রো করতেনও বাঁহাতেই…
আলাদা করে বলা যায়, ভারতের সদাগোপান রমেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মার্টিন ফন জার্সফেল্ডের কথা। দুজনই ছিলেন নিখাদ ব্যাটসম্যান। কিন্তু ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম বলে উইকেট নিয়েছেন।

ফন জার্সফেল্ড উইকেটটি নিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০২ সালে বোল্ড করেছিলেন তালহা জুবায়েরকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি করতে পেরেছেন একজনই। বাংলাদেশের হয়েও করতে পেরেছেন কেবল একজন, মোসাদ্দেক হোসেন। ২০১৬ সালে আউট করেন তিনি হাশমতউল্লাহ শহিদিকে।  মোসাদ্দেকের সেটি ছিল অভিষেক ম্যাচ। ৪৫ বলে ৪৫ রান করার পর নেন ২ উইকেট। দল যদিও হেরে যায় ২ উইকেটে।

প্রথম বলে উইকেট শিকারিদের মধ্যে আমি লাইভ দেখেছি কেনিয়ার জোসেফাট আবাবু, দক্ষিণ আফ্রিকার ফন জার্সফেল্ড ও মন্ডে জন্ডেকি, শ্রীলঙ্কার কৌশল লোকুয়ারাচ্চি, ইংল্যান্ডের রিকি ক্লার্ক, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিদেল এডওয়ার্ডস, ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার, আমাদের মোসাদ্দেকের উইকেট।

দেখেছি শ্রীলঙ্কার চারিথা বুদ্ধিকা প্রথম দুটি বল ‘নো’ করে প্রথম বৈধ বলে উইকেট নিয়েছেন। এবার অবশ্য থিকশানার উইকেট লাইভ দেখতে পারিনি।

থিকশানার ৪ উইকেটের রেকর্ডে মনে পড়ল, ওয়ানডে অভিষেকে স্পিনে সেরা বোলিংয়ের বিশ্বরেকর্ড বাংলাদেশের তাইজুল ইসলামের। ১১ রানে ৪ উইকেট, সেটিও হ্যাটট্রিকসহ। থিকশানার জন্য শুভ কামনা। ২১ বছর বয়সী স্পিনারের ক্যারিয়ার সুন্দর হোক।

– ফেসবুক থেকে

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...