হেরেও উইকেটকে দুষলেন না অধিনায়ক

পাকিস্তানের বিপক্ষে সাগরিকায় প্রথম টেস্টে লড়াই ছাড়াই যেন হেরেছে বাংলাদেশ দল। লিটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আর তাইজুলের দাপুটে বোলিং ছাড়া এই টেস্টে প্রাপ্তির সংখ্যা হাতে গোনা। শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলীদের সামনে যেমন দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা তেমনি পাকিস্তানি দুই ওপেনারের সামনে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশী বোলাররা।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সাগরিকায় প্রথম টেস্টে লড়াই ছাড়াই যেন হেরেছে বাংলাদেশ দল। লিটনের দায়িত্বশীল ব্যাটিং আর তাইজুলের দাপুটে বোলিং ছাড়া এই টেস্টে প্রাপ্তির সংখ্যা হাতে গোনা। শাহীন আফ্রিদি, হাসান আলীদের সামনে যেমন দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা তেমনি পাকিস্তানি দুই ওপেনারের সামনে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশী বোলাররা।

ম্যাচ শেষে প্রেস কনফারেন্সে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন চট্রগ্রামের উইকেট ছিলো ব্যাটিং সহায়ক। ফ্লাট উইকেটে বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতার কথা প্রসঙ্গে নিজের ব্যাটিং ব্যর্থতা নিয়েও বলেন মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমার আরো ভালো খেলা উচিত ছিলো। চারে ভালো একটা ইনিংস খেলতে পারলে ম্যাচের চিত্রটা বদলে যেতো। শুধু টেস্টই নয়, যেকোনো ফরম্যাটে ১০ ওভারে আপনি চার উইকেট হারালে আসলে মোমেন্টাম পাওয়া কঠিন। এই উইকেটে ৩৩০ রান করে লড়াই করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার।’

মুমিনুলের কথায় স্পষ্ট নিজের ব্যাটিং ব্যর্থতার সাথে সাথে তিনি দায়ী করেছেন টপ অর্ডারকেও। উইকেটের ব্যাপারে মুমিনুল বলেন, ‘উইকেট ফ্ল্যাট ছিলো। এখানে স্পিনারদের কিছু নেই। এই ধরনের উইকেটই আমার পছন্দ। এই ধরনের উইকেটই আমি চাই।’

টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ছাড়াও চোখে পড়েছে বাংলাদেশি দুই পেসারের হতাশাজনক বোলিং। এবাদত হোসেন উইকেটের দেখা পেলেও আবু জায়েদ রাহী ছিলেন নিষ্প্রভ। এবাদত এই টেস্টে তুলনামূলক ভালো করলেও টেস্ট ক্যারিয়ারে তার বোলিং গড় আর পরিসংখ্যান যেনো বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে পেস বিভাগের চিত্রই তুলে ধরে।

মুমিনুল বলেন, ‘ফ্ল্যাট উইকেটে কিভাবে বল করতে হবে সেটা তাদের জানতে হবে। কোচরা এই বিষয়ে আরো ভালো বলতে পারবেন। দেশে আর বিদেশে বল করার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। আমার কাছে মনে হয় তাদের উচিত বেশি বেশি চার দিনের ম্যাচগুলো খেলা। ভারত-পাকিস্তান কিন্তু অনেক বল করে।’

এদিকে তাইজুলের প্রশংসায় বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘অল্প কিছু প্রাপ্তির মধ্যে তাইজুলের বোলিংটাই সেরা। সে অনেক ভালো বোলিং করেছে।’

এছাড়া বাংলাদেশ দল স্পিন নির্ভর হয়ে পড়ছে কিনা, স্পিনাররা উইকেটে দাপট দেখাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে মুমিনুল জানান, ‘এই উইকেট স্পিন সহায়কও ছিলো না। টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ বা শেষ দুই দিনে যেভাবে স্পিনাররা টার্ন পায় এমন কিছুই না। এটা সম্পূর্ণ ফ্ল্যাট উইকেট।’

এদিকে পরের টেস্টে সাকিবের ফেরার ব্যাপারে জানতে চাইলে মুমিনুল বলেন এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তার সাথে কারো কোনো কথা হয়নি সাকিবের ব্যাপারে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...